প্রায় সব যানবাহনের চাকা কালো হয় কেন? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+1 টি ভোট
451 বার দেখা হয়েছে
"বিবিধ" বিভাগে করেছেন (1,260 পয়েন্ট)

4 উত্তর

+1 টি ভোট
করেছেন (9,280 পয়েন্ট)
গাড়ির টায়ার কেন কালো হয়?

প্রতিদিনই রাস্তায় হরেক রকম গাড়ির দেখা মেলে। আকার আকৃতি বা বর্ণে সেসবে থাকে নানা বৈচিত্র্য। যে কোনো গাড়ি বা যানবাহনের জন্য অত্যাবশ্যকীয় অংশ হচ্ছে এর চাকা। প্রায় সব গাড়ির চাকা তৈরি হয় রাবারের টায়ার ব্যবহার করে। গাড়ি যেমনই হোক, টায়ারের রঙটা কিন্তু সবসময় কালো হয়। কালো রঙের টায়ার তৈরির পিছনে আসলে কারণ কী?

রাবারের প্রাকৃতিক রঙ হচ্ছে দুধসাদা। প্রথম দিককার টায়ারগুলো সাদা রঙেরই হতো। পরে এর স্থায়ীত্ব এবং কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির জন্য তাতে কার্বন ব্ল্যাক মিশিয়ে টায়ার তৈরি শুরু হয়। কার্বন ব্ল্যাক হচ্ছে তেল বা গ্যাসের মতো জীবাশ্ম জ্বালানীর উপজাত। স্ট্যাবিলাইজিং পদার্থ হিসেবে এর পরিচিতি আছে। এটা অন্যন্য পলিমারের সাথে যুক্ত হয়ে টায়ারের ট্রেড যৌগ তৈরি করে। কার্বন ব্ল্যাক তাপ ও অতিবেগুনী রশ্মি শোষণ করে রাবারের গুণগত মান বজায় রাখতে সাহায্য করে। ফলে স্বায়ীত্ব বৃদ্ধি পায় টায়ারের।

সাদা টায়ার যেখানে ৫ হাজার মাইল পর্যন্ত ঠিকঠাক থাকত। সেখানে কার্বন ব্ল্যাকের তৈরি টায়ার ৫০ হাজার মাইল বা তার বেশি পথও নির্বিঘ্নে ব্যবহার করা যায়। টায়ারের কালো রঙ কেবল এর শক্তি এবং স্থায়ীত্ব বৃদ্ধিই করে না, একইসঙ্গে এটা ড্রাইভিংয়ের নিরাপত্তাকেও প্রভাবিত করে। যেহেতু টায়ারে ভর দিয়েই গাড়ি চলে, তাই টায়ারকে গাড়ির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে। টায়ারের ওপর একটি গাড়ির হ্যন্ডেলিং, ত্বরণ বা ব্রেকিংসহ পুরো নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা অনেকখানিই নির্ভর করে। টায়ার শক্তিশালী এবং দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার কারণে যানবাহনের সার্বিক নিরাপত্তা বেড়ে যায়।

এছাড়া কালো রঙের টায়ারের আরেকটা ভালো দিক হচ্ছে, এটা সহজে ময়লা হয় না। আবার পরিষ্কার করাও সহজ। সাদা বা অন্য রঙের টায়ারের গাড়ি যে বর্তমানে একেবারেই নেই এমন নয়। তবে, সেগুলো দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার করার জন্য উপযুক্ত নয়। এসব কারণে, নির্মাতা কোম্পানিগুলো সাধারণত কালো রঙের টায়ারই তৈরি করে।

লেখা : আব্দুল্লাহ্‌ আল মাকসুদ
সূত্র : লাইভ সায়েন্স
0 টি ভোট
করেছেন (1,260 পয়েন্ট)
কেন গাড়ির টায়ার কালো হয়?

গাড়ির টায়ারের রং কালো হয় মূলত ‘সুট’ এর কারণে। সুট হচ্ছে কার্বন জাতীয় জৈব, মিহি (গুড়াজাতীয়) , পদার্থ। অনেকে মনে করেন যে, এই সুট টায়ারের সাথে মিশিয়ে নিলে টায়ারের স্থায়ীত্ব বৃদ্ধি পায় , টায়ার হঠাৎ গরম হয়ে যাওয়া প্রতিহত হয় এবং টায়ার টেকসই হয়।

 

সে যাই হোক, বর্তমানে গাড়ির টায়ার কালো হবার কারন হচ্ছে , কালো কার্বনের রাসায়নিক যৌগ। অন্যান্য পলিমারের সাথে যোগ করে এই কার্বন টায়ারের উপরিভাগে প্রলেপের মতো দেওয়া হয়। চালক এবং প্রস্তুতকারকদের কাছে এই কালো রং অনেক বেশি কাঙ্ক্ষিত রং হয়। তারা মনে করেন এই রং চাকার স্থায়িত্ব বৃদ্ধি করে আর চাকাকে আরো বেশি শক্তিশালী করে তোলে।

 

collected
0 টি ভোট
করেছেন (9,390 পয়েন্ট)
টায়ারের রঙ কিছু ক্ষেত্রে আগে সাদা ছিল। টায়ার তৈরি হয় রাবার দিয়ে, যার রং হয় হালকা ধূসর। এর সঙ্গে টায়ার মজবুত করতে আগে মেশানো হতো জিঙ্ক অক্সাইড। যার ফলে টায়ার হয়ে যেত সাদা। পরবর্তীতে টায়ার কালো রঙ্গেরই দেখা যায়।

টায়ারের এই রং বদলের বিষয়টি প্রথম লক্ষ্য করেন এক সাংবাদিক ডেভিড ট্রেসি। ডেট্রয়েডের ‘ফোর্ড পিকিউ অ্যাভিনিউ প্লান্ট মিউজিয়াম’-এ ফোর্ড গাড়ির একটি মডেলে দেখেন সাদা টায়ারের। খোঁজ নিলে জানতে পারেন টায়ার প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলো ১৯১৭ সাল থেকে টায়ার প্রস্তুতকরণে কার্বন ব্লাকের ব্যবহার শুরু করেন।কার্বন ব্লাক হল মৌলিক কার্বন যা গ্যাস বা তেলের অসম্পূর্ণ জ্বলনের ফলে সৃষ্টি হয়। এটি টায়ারকে ইউভি রশ্মি থেকে রক্ষা করে, যার ফলে অতিরিক্ত গরমেও টায়ার ফেটে কোনো বিপত্তি ঘটে না। কার্বন ব্লাক ব্যবহারে টায়ারের কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি পায় আগের তুলনায়।কার্বন কার্বন ব্লাক হল মৌলিক কার্বন যা গ্যাস বা তেলের অসম্পূর্ণ জ্বলনের ফলে সৃষ্টি হয়। এটি টায়ারকে ইউভি রশ্মি থেকে রক্ষা করে, যার ফলে অতিরিক্ত গরমেও টায়ার ফেটে কোনো বিপত্তি ঘটে না। কার্বন ব্লাক ব্যবহারে টায়ারের কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি পায় আগের তুলনায়। হল মৌলিক কার্বন যা গ্যাস বা তেলের অসম্পূর্ণ জ্বলনের ফলে সৃষ্টি হয়। এটি টায়ারকে অতিবেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা করে। যার ফলে অতিরিক্ত গরমেও টায়ার ফেটে বিপত্তি ঘটে না।সংস্থাগুলোর দাবি, আগে যে সব টায়ারে কার্বন ব্লাক ব্যবহার করা হত না, সেগুলো পাঁচ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত ভালো অবস্থায় চলত। কার্বন ব্লাক ব্যবহার শুরু করার পর টায়ারগুলো এখন চলে প্রায় ৫০ হাজার কিলোমিটার।

তবে কার্বন ব্লাক ব্যবহারের পিছনে রয়েছে অন্য একটি কারণও। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় বুলেট তৈরি করতে প্রয়োজন পড়েছিল প্রচুর পরিমাণে জিঙ্ক ওক্সাইডের। তাই টায়ার প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলো এক রকম বাধ্য হয়েই কার্বন ব্লাকের ব্যবহার শুরু করেন।তবে এখনও কার্বন ব্লাকের সঙ্গে সামান্য পরিমাণ জিঙ্ক ওক্সাইড ব্যবহার করেই টায়ার তৈরি করা হয়। বর্তমানে প্রায় ৭০ শতাংশ কার্বন ব্লাকই টায়ার প্রস্তুত করাতে ব্যবহৃত হয়।

তথ্য সংগ্রহেঃ মাহফুজুর রহমান রিদোয়ান
কালেক্টেড ফ্রম জাগো নিউজ
0 টি ভোট
করেছেন (7,560 পয়েন্ট)
আপনি কি চাকা বুঝাতে চেয়েছেন নাকি টায়ার?কারণ গাড়ির টায়ার সাধারণত কালো হয়ে থাকে, চাকা নয়।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

0 টি ভোট
1 উত্তর 222 বার দেখা হয়েছে
13 জানুয়ারি 2022 "প্রযুক্তি" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Aramita (2,350 পয়েন্ট)
+8 টি ভোট
1 উত্তর 686 বার দেখা হয়েছে
+2 টি ভোট
1 উত্তর 661 বার দেখা হয়েছে
+5 টি ভোট
1 উত্তর 1,022 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
1 উত্তর 271 বার দেখা হয়েছে

10,775 টি প্রশ্ন

18,456 টি উত্তর

4,742 টি মন্তব্য

265,622 জন সদস্য

109 জন অনলাইনে রয়েছে
1 জন সদস্য এবং 108 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Farhan Anjum

    140 পয়েন্ট

  2. Saif Sakib

    110 পয়েন্ট

  3. Tasfima Jannat

    110 পয়েন্ট

  4. JosefinaFett

    100 পয়েন্ট

  5. GladisScc821

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...