Nishat Tasnim-
এগুলোকে Vent Spew বলা হয়। এগুলো নতুন টায়ারে দেখতে পাওয়া যায়। এগুলো ইচ্ছাকৃত ভাবে তৈরী করা হয় না বা এগুলো একটা টায়ার কার্যক্ষমতাও বাড়ায় না। এগুলো একটা টায়ার কিওর করার সময় তৈরী হয়।
টায়ার কিওরিং হচ্ছে একটা পদ্ধতি যেখানে নরম রাবার দিয়ে তৈরী গ্রীন টায়ারকে চাপ ও তাপের সাহায্যে vulcanize করে দৃঢ় করা হয় ও টায়ারটাকে অন্তিম রুপে নিয়ে আসা হয়।
টায়ার কিওর করার সময় যে জিনিস গুলোর প্রয়োজন হয় সেগুলো হচ্ছেঃ
টায়ার মোল্ড:
এটা ধাতুর তৈরী একটা ছাচ। এটা দুই বা ততোধিক অংশে আলাদা করা যায় এবং এর মধ্যে গ্রীন টায়ারকে ঢুকিয়ে অংশ গুলোকে জোড়াদিয়ে ছাচটা পুর্বের অবস্থায় নিয়ে আসা হয়।
এটা হচ্ছে গ্রীন টায়ার । টায়ার তৈরীতে ব্যাবহরিত অংশ গুলিকে যেমন বীড, রাবার প্লাই, স্টীল বেল্ট ইত্যাদিকে একত্রিত করে টায়ারের একটা প্রাথমিক রুপ দেওয়া হয়। কিওর করার সময় গ্রীন টায়ার ছাচের ভেতর থাকে। গ্রীন টায়ারের রাবার নরম অবস্থায় থাকে।
এটা টায়ার কিওরিং ব্লাডার। রাবারের তৈরী। কিওর করার সময় ব্লাডারটাকে গ্রীন টায়ারের মধ্যে ঢুকিয়ে রাখা হয়।
টায়ার কিওরিং প্রক্রিয়াটা একটা টায়ার কিওরিং প্রেস এর মধ্যে ঘটানো হয়। এই প্রক্রিয়ায় গরম জল বা বাস্প ব্লাডারের মধ্যে প্রবেশ করিয়ে গ্রীন টায়ারের উপর উচ্চচাপ ও তাপ প্রয়োগ করা হয় ফলে গ্রীন টায়ারটা ছাচের আকৃতি পায় সঙ্গে সঙ্গে vulcanize হয়ে এটা তৈরী টায়ারের আকৃতি ও শক্তি পায়।
এই প্রক্রিয়ার সময় কিছুটা পরিমান বাতাস গ্রীন টায়ার ও ছাচের মধ্যে আটকা পড়ে যায় এবং এই বাতাসটাকে বের করে না দিলে তৈরী টায়ারের মধ্যে কিছু খুত তৈরী হয়। বাতাস বের করার জন্য ছাচের মধ্যে কিছু সূক্ষ্ম ফুটো রাখা হয়। এগুলোকে spew hole বা vent spruce বলে। কিওর করার সময় প্রচন্ড চাপ ও তাপে বাতাসের সঙ্গে সঙ্গে কিছুটা রাবার spew hole দিয়ে বের হওয়ার চেস্টা করে তাই আমরা তৈরী টায়ারে vent spew দেখতে পাই।
©MH Mehedi Hasan