মহাবিশ্বের মধ্যে বিদ্যমান যে কোনো দুটি বস্তুর মধ্যে আকর্ষণ বলকে বলা হয় মহাকর্ষীয় বল এবং সেই আকর্ষিত বস্তু দুটির মধ্যে একটি যদি হয় পৃথিবী তবে পৃথিবীর প্রতি অপর বস্তুর আকর্ষণকে বলা হয় মধ্যাকর্ষণ শক্তি বা অভিকর্ষজ বল। এটির শক্তি ভেক্টর মান নির্ভর এবং মহাকর্ষীয় শক্তি কেবলমাত্র এক ভর নির্ভর। মহাকর্ষ একটি প্রাকৃতিক ঘটনা বিশেষ এবং শারীরিক বস্তুসমূহের ওজনদাতা। এটি যে কোনো পতিত বস্তুকে সোজা পতিত হওয়ার যুক্তি প্রদান করে।
অভিকর্ষজ বল মহাকর্ষীয় বলেরই অংশ। মহাকর্ষীয় ক্ষেত্র তীব্রতা ও মহাকর্ষীয় ত্বরণ নামে পরিচিত এবং এটি সর্বদা নেগেটিভ বা শূন্যমানের। অন্যদিকে মধ্যাকর্ষন শক্তির প্রবক্তা হলেন স্যার আইজাক নিউটন। তিনিই মহাকর্ষ বলের গাণিতিক ব্যাখ্যা দান করেন- যা নিউটনের মহাকর্ষ সূত্র নামে পরিচিত। পৃথিবী পৃষ্ঠে বা কাছাকাছি বিদ্যমান যে কোনো বস্তুকে পৃথিবী আকর্ষণ করে যাকে বলে অভিকর্ষজ বা মধ্যাকর্ষণ শক্তি। বস্তুর উপর পৃথিবী বল প্রয়োগ করে বলেই একে অভিকর্ষজ বলে। এটিই বিজ্ঞানী নিউটনের আপেল থিউরী। বিজ্ঞানের ধারণায় সব অভিকর্ষ বলই মহাকর্ষ কিন্তু সব মহাকর্ষ বল অভিকর্ষ নয়। অভিকর্ষজ ত্বরণ ভরের উপর নির্ভরশীল নয়। কিন্তু মহাকর্ষীয় বল ভর ও দূরত্ব উভয়ের উপরই নির্ভরশীল।