সিটি কর্পোরেশনে মশা নিধনের জন্য ফগার মেশিনে ড্রাই আইস, তরল নাইট্রোজেন, বিভিন্ন ক্যামিক্যাল এবং পানি মিক্স করে ধোঁয়া তৈরীর মাধ্যমে রাস্তা, বিভিন্ন অলি-গলি যেখানে মশার উপদ্রপ বেশি সেখানে প্রয়োগ করা হয়। মশা নিধনের ঔষধ হিসেবে সাধারনত ডেল্টামেথ্রিন, মেলাথিউন, বিন্ডিওক্রাব, প্রপোক্সার জাতীয় কেমিক্যাল ব্যাবহার করা হয়।
তবে যেই ঔষধ ব্যবহার করা হোক না কেন যদি নির্দিষ্ট কোন একটি কীটনাশক একটানা কয়েক বছরের বেশি ব্যবহার করা হয় তাহল মশা সেই কীটনাশকের বিপক্ষে সহনশীলতা তৈরি করে। আর শুধু মশাই নয় যেকোনো পোকামাকড়ই একটা সময় পরে তার শারীরবৃত্তীয় অভিযোজনের মাধ্যমে একটা সময় পর তার নিজের জন্য ক্ষতিকারক ফ্যাক্টরগুলোর বিরুদ্ধে সহনশীল হয়ে উঠতে পারে। অভিযোজন একটি জেনেটিক মেকানিজম যার মাধ্যমে কোনো প্রাণী টিকে থাকার জন্য নিজের শরীরে পরিবর্তন আনে।
এখন আমাদের দেশে সিটি কর্পোরেশনের প্রয়োগ করা মশার ঔষধগুলো যদি কাজ না করে তাহলে ধরে নিতে হবে মশারা ইতিমধ্যে অই ঔষধের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে। আর এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে যতবার ঔষধ চেঞ্জ করা হয় এতে সাময়িক উপকার পাওয়া গেলেও দেখা যাবে একটা সময় পর আর কোনো ঔষধই কাজ করবেনা।
তাই মশার উপক্রম থেকে বাঁচতে বিশ্বব্যাপি বিকল্প পদ্ধতি বের করার চেষ্টা সমসময় চলছে। যেমনঃ
আমাদের দেশে যেখানে ঔষধ প্রয়োগের মাধ্যমে মশা মারার বৃথা চেষ্টা চলছে সেখানে সিঙ্গাপুরের লোকেরা মশা নিধনের উপায় হিসেবে ল্যাবে মশা চাষ করছে।
সিঙ্গাপুরের গবেষকরা এমন এক ধরনের মশার প্রজাতি বের করেছে যারা মানুষের জন্য যেমন ক্ষতিকারক তো নয়ই বরং উলটা এরা স্ত্রী এডিস মশার সাথে মিলন ঘটায় এবং যখনই ল্যাবে তৈরী এই মশাগুলো কোনো স্ত্রী এডিস মশার সাথে মিলিত হয় মিলনের ফলে স্ত্রী মশাগুলো আর ডিম দিতে পারেনা। অর্থাৎ প্রজনন ক্ষমতা হারায়।