দুটি স্থানের বায়ুচাপের তারতরম্যের কারণের বায়ুপ্রবাহ সৃষ্টি হয়। কিন্তু বায়ুচাপের পার্থক্যটা খুব বেশি হলে উভয় স্থানে বাতাসের চাপের সামঞ্জস্যতা আনার জন্য উচ্চচাপীয় স্থান হতে বাতাস নিম্ন চাপীয় স্থানে খুব দ্রুতবেগে গমন করে যার ফলে ঝড়ের সূচনা হয়।
গ্রীষ্মকালে সূর্য দক্ষিণ গোলার্ধে সরাসরি খাড়া কিরণ দেয় যায়। অত্যাধিক তাপের কারণে তখন দেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় স্থানের বায়ু হালকা হয়ে উপরের দিকে উঠে যায় এবং অই স্থানে নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে উত্তর গোলার্ধে তখন বায়ুর চাপ তুলনামূলক কিছুটা বেশি থাকে। বাতাসের চাপের এই তারতরম্যের কারণে বৈশাখ মাসে দেশের উত্তর-পশ্চিম দিক হতে তীব্র বেগে আগত বায়ু দক্ষিন-পূর্বদিকে ছুটে যাওয়ার মাধ্যমে ঝড় এবং হালকা বৃষ্টিপাতের সূচনা ঘটায়। আর বৈশাখ মাসে হওয়া এসব ঝড়কে বলা হয় "কালবৈশাখি ঝড়"।
বছরের অন্যান্য সময়ের তূলনায় এই সময়টাতে বায়ুচাপের তারতরম্য একটু বেশিই ঘটে এবং ঘনঘন নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়। যার যার কারনে অন্যান্য সময়ের তুলনার এই সময়ে দেশের উত্তরাঞ্চলীয় জেলাগুলোতে ঝড়ের প্রকোপ বেশি থাকে।