লাল/রক্ত বৃষ্টি কি এবং কেন হয়? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

0 টি ভোট
609 বার দেখা হয়েছে
"পরিবেশ" বিভাগে করেছেন (9,390 পয়েন্ট)

1 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (9,390 পয়েন্ট)



কেরালার রক্ত বৃষ্টি
 

বৃষ্টি আমাদের সবারই পছন্দ। কিন্তু বৃষ্টির রঙ যদি হয় লাল তাহলে তা চিন্তা করতেই কেমন ভয়ঙ্কর লাগে। হ্যাঁ আপনারা ঠিকই শুনেছেন বৃষ্টির রং ও লাল হয়।

এমনটা ঘটে ছিল ভারতের  ২০০১ সালের ২৫ শে জুলাই কেরালা রাজ্যে। কেরালার কোট্টাম এবং ইড্ডুকি জেলার মানুষের কাছে ছিল গরমকালের একটি সাধারণ দিনের মতোই। হঠাৎ আকাশ মেঘে ঢেকে গেল। বৃষ্টি নেমে এলো আকাশ থেকে। এই বৃষ্টি কিন্তু বৃষ্টি আর পাঁচটা সাধারণ বৃষ্টির মতো ছিল না। এই বৃষ্টির রঙ ছিল লাল। দেখে মনে হবে যেন রক্তের বন্যা। প্রত্যক্ষদর্শীরা কেবলমাত্র লাল রঙই না হলুদ, সবুজ ও কালো রঙের বৃষ্টির কথা বলেছেন।

২৫ শে জুলাই থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে এই রক্ত বৃষ্টির খবর পাওয়া যায়। ১৮৯৬ সাল থেকে বহুবার এই অঞ্চল থেকে রক্ত বৃষ্টির খবর এসেছে। ২০১২ সালের ১৫ ই নভেম্বর থেকে ২৭ ডিসেম্বরের মধ্যে পূর্ব ও দক্ষিণ মধ্য শ্রীলংকার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে রক্ত বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান বৃষ্টির আগে আওয়াজ শোনা গিয়েছিল ও আকাশ উজ্জ্বল আলোয় ভরে উঠেছিল। বৃষ্টির ফলে গাছের পাতা ঝরে পড়ে এবং পাতায় ধূসর রঙের পোড়া দাগ তৈরি হয়। মাত্র কয়েক কিলোমিটার অঞ্চলে এই বৃষ্টি হয়েছিল। বেশিরভাগ বৃষ্টির সময় ছিল ১০ থেকে ২০ মিনিট। প্রতি কিলোমিটার বৃষ্টিপাতে প্রায় ৯ মিলিয়ন লাল রঙের কণা পাওয়া গেছে। সেই হিসাবে ৫০,০০০ কিলোগ্রাম কণা বৃষ্টির পানির সাথে নেমে এসেছিল।

 

এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করে সেন্টার ফর আর্থ সাইন্স স্টাডিজ (CESS ) এর বিজ্ঞানীরা। প্রাথমিকভাবে এই বৃষ্টির জন্য উল্কা বিস্ফোরণ কে দায়ী করে । উল্কাপিন্ডের বিস্ফোরণের কারণে কয়েক টন উল্কা খন্ড মেঘের সাথে মিশে যায় ও বৃষ্টির সাথে ঝরে পড়ে । কিন্তু এই কারণটা খুব একটা যুক্তিযুক্ত ছিল না। কারণ স্ট্রাটোস্ফিয়ার এর উপর ছড়িয়ে পড়া উল্কা খন্ড কখনোই বারবার একই জায়গায় বৃষ্টির সাথে নেমে আসতে পারে না।

এছাড়া এর বিজ্ঞানীরা কয়েকদিন পরে বৃষ্টির নমুনায় কিছুর স্পোর লক্ষ করেন। তাই তারা তদন্তের দায়িত্ব দেয় ট্রপিক্যাল বোটানিক্যাল গার্ডেন এন্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট (TBGRI ) এর হাতে। তারা এ নমুনা পর্যবেক্ষণ করে এবং পর্যবেক্ষণের পর ২০০১ সালের নভেম্বর মাসে CESS ও TBGRI ভারত সরকারের তরফ থেকে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। রিপোর্ট অনুযায়ী বৃষ্টির লাল রঙের কারণ হিসেবে বৃষ্টিতে Trentepohlia প্রজাতির লাইকেনের অতিরিক্ত মাত্রায় উপস্থিতি দায়ী করা হয়েছে। পরবর্তীকালে বৃষ্টিপাতের এলাকায় পুনরায় পর্যবেক্ষণ করে এলাকায় ওই একই প্রজাতির লাইকেন লক্ষ্য করা যায়।

২০০৩ সালে কেরালার মহাত্মা গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক গডর্ফে লুইস ও সন্তোষ কুমার এই ঘটনার ওপর একটি কারণ ব্যাখ্যা করেন। CESS ও TBGRI এর রিপোর্টে যেখানে বলা হয় লাল বৃষ্টির আগে শুনতে পাওয়ার শব্দ ও উজ্জ্বল আলোর কোন সম্পর্ক নেই সেখানে লুইস ও কুমারের মতে ওই শব্দ ও আলোর মধ্যে এই রহস্যের উত্তর লুকিয়ে আছে। তারা লাল রংয়ের বৃষ্টিপাতের জন্য উল্কা খন্ড বিস্ফোরণকে কারণ হিসেবে ব্যাখ্যা করেন এবং জীবন্ত কোষ এর উপস্থিতি ব্যাখ্যা করতে তারা Panspermia hypothesis এর কথা উল্লেখ করেন। লাল বৃষ্টি থেকে প্রাপ্ত কোষগুলোকে মহাজাগতিক প্রাণের চিহ্ন হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

বিজ্ঞানী চন্দ্রা বিক্রমসিংহ এরকম একটি তথ্য উপস্থাপন করেন।

অনেক গবেষক এ লাল বৃষ্টিকে মহাজাগতিক প্রাণের উৎস বলে উল্লেখ করেন। এমন নানা সিদ্ধান্ত এ অলৌকিক ঘটনাকে রহস্যময় করে তুলেছে বটে কিন্তু ঘটনাটির সঠিক কারণ বের করা আজও সম্ভব হয়ে ওঠেনি। 
সুত্রঃ ইন্টারনেট

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+1 টি ভোট
6 টি উত্তর 4,050 বার দেখা হয়েছে
08 নভেম্বর 2021 "জীববিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Roky palit (550 পয়েন্ট)
+1 টি ভোট
2 টি উত্তর 407 বার দেখা হয়েছে
28 ফেব্রুয়ারি 2022 "স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Rayhan Shikder (9,310 পয়েন্ট)
+1 টি ভোট
1 উত্তর 343 বার দেখা হয়েছে
30 সেপ্টেম্বর 2021 "জীববিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন shahadat (2,110 পয়েন্ট)
+5 টি ভোট
5 টি উত্তর 9,326 বার দেখা হয়েছে
07 এপ্রিল 2021 "তত্ত্ব ও গবেষণা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Admin (71,300 পয়েন্ট)

10,852 টি প্রশ্ন

18,553 টি উত্তর

4,746 টি মন্তব্য

854,775 জন সদস্য

73 জন অনলাইনে রয়েছে
0 জন সদস্য এবং 73 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. xocdia88aeorg

    100 পয়েন্ট

  2. pu88now

    100 পয়েন্ট

  3. Ggpokerrrcom1

    100 পয়েন্ট

  4. n8gamesorg

    100 পয়েন্ট

  5. hbbet2pro

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ পৃথিবী এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল #science ক্ষতি চুল চিকিৎসা কী পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত মহাকাশ বৈজ্ঞানিক #biology পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান গরম খাওয়া #জানতে শীতকাল ডিম বৃষ্টি চাঁদ কেন কারণ কাজ বিদ্যুৎ রং রাত শক্তি উপকারিতা সাপ লাল মনোবিজ্ঞান আগুন গাছ খাবার সাদা মস্তিষ্ক আবিষ্কার শব্দ দুধ উপায় হাত মাছ মশা ঠাণ্ডা ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন কালো উদ্ভিদ পা মন কি বিস্তারিত রঙ পাখি গ্যাস সমস্যা বাচ্চা মেয়ে বৈশিষ্ট্য মৃত্যু হলুদ বাংলাদেশ সময় ব্যথা চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি কান্না দাঁত বিড়াল আম
...