সিস্টেম সফটওয়্যার একটি কম্পিউটার সফটওয়্যার যেটার নকশা করা হয়েছে, কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার কে পরিচালনা করার জন্য এবং এপ্লিকেশন সফটওয়্যারগুলোকে কাজ করার উপযোগী পরিবেশ প্রদানের জন্য।[১][২]
উইন্ডোজ ১০ সিস্টেম সফ্টওয়্যার একটি উদাহরণ
সাধারণ সিস্টেম সফটওয়্যারের প্রকারগুলো হল:
- কম্পিউটারের বাইওস (BIOS) এবং ডিভাইস ফার্মওয়্যার ( firmware) যেটা হার্ডওয়্যার (আগে থেকে অর্ন্তভুক্ত বা পরে লাগানো) পরিচালনার এবং নিয়ন্ত্রণের সাধারণ কাজ করে থাকে।
- অপারেটিং সিস্টেম যা কম্পিউটারের সকল অংশকে একত্রে কাজ করায়। যেমন ডেটা আদান প্রদান, আউটপুট তৈরী এবং প্রদর্শন। এটা উচ্চ-স্তরের সিস্টেম সফটওয়্যার চালানোর এবং এপ্লিকেশন সফটওয়্যার চালানোর একটি প্লাটফর্ম ও বটে।
- ইউটিলিটি সফটওয়্যার এটা কোন কিছু বিশ্লেষণ, বাছাই বা পছন্দ নির্ধারণ, তরান্বিতকরণ এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা দেয়।
কিছু কিছু প্রকাশনায়, সিস্টেম সফটওয়্যারের ব্যাখ্যায় সফটওয়্যার উন্নয়নের টুলস যেমন কম্পাইলার, লিঙ্কার অথবা ডিভাগার ইত্যাদিকেও এর আওতায় ফেলা হয়েছে।[৩]
সিস্টেম সফটওয়্যারের বিপরীতে, এপ্লিকেশন সফটওয়্যার বলতে বুঝায় যে সফটওয়্যার দ্বারা ব্যবহারকারী লেখা লিখতে পারে, গেমস খেলতে পারে, গান শুনতে পারে অথবা ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারে।[৪]
সিস্টেম সফটওয়্যারের প্রকারভেদ
সিস্টেম সফটওয়্যার অপারেটিং সিস্টেম এবং কম্পিউটার সিস্টেম ব্যবহার করার সুযোগ দেয়। এটাতে আছে ডাইগনস্টিক টুলস, কম্পাইলার, সার্ভার, ইউটিলিটি, ভাষা পরিবর্তনের সুযোগ, ডেটা আদান প্রদানের সুযোগ, ডেটাবেস সিস্টেম এবং আরো অনেক কিছু। সিস্টেম সফটওয়্যারের উদ্দেশ্য হল, এপ্লিকেশনগুলোকে পৃথক করা প্রোগ্রামারদের জন্য যাতে জটিলতা এবং বিশেষ ব্যবহার এড়িয়ে চলা যায়।
বিশেষ ধরনের সিস্টেম সফটওয়্যারের মধ্যে আছে:
- লোডার
- লিঙ্কার
- ইউটিলিটি
- গ্রাফিক ইউজার ইন্টাফেস বা জিইউআই
- শেল
- বাইওস
- হাইপারভিসরস
- বুট লোডারস
- ডেটাবেজ ব্যবস্থাপনা (এসকিউএল, নোএসকিউএল)
যদি সিস্টেম সফটওয়্যারকে স্থায়ী স্মৃতিতে জমা রাখা হয় একে ফার্মওয়্যার বলে যেমন, আইসি।