একটি গোলাকার বস্তু সর্বাধিক কত গতিতে ঘুরতে পারে তার একটি সীমা আছে।
বিশদভাবে বললে, সর্বদা একটি সীমা থাকে, তবে সীমাটি নির্ভর করে আপনি কি ধরনের বস্তু ঘুরাচ্ছেন তার উপর।
- কৃষ্ণ গহ্বরঃ একটি কৃষ্ণ গহ্বর সর্বোচ্চ সেই বেগে ঘুরতে পারে যা তার ঘটনা দিগন্তকে আলোর গতিতে ঘুরাবে। এটি আপেক্ষিকতার তত্ত্ব দ্বারা নির্ধারিত একটি সীমা।
- কৃষ্ণ গহ্বর ব্যতীত অন্য বস্তুগুলির সর্বোচ্চ ঘূর্ণন গতি নির্ধারন করে সেই পদার্থের অনুগুলোকে একত্রে ধরে রাখার বল। উদাহরণস্বরূপ, একটি নিউট্রন তারার কণা গুলো মহাকর্ষ দ্বারা একসাথে আবদ্ধ থাকে়। যদি একে যথেষ্ট দ্রুত ঘুরানো হয় (প্রতি সেকেন্ডে কয়েক হাজার বার) যে এর ঘুর্ণন শক্তি আর মাধ্যাকর্ষণ বল সমান হয়ে যায়, তাহলে এটি চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে যাবে (যদি পৃষ্ঠের গতি আলোর গতির উল্লেখযোগ্য ভগ্নাংশের সমান হয়)। সুতরাং এক্ষেত্রে গতির সীমা হচ্ছে উপরে উল্লেখিত অবস্থার আগ মুহুর্ত পর্যন্ত।
- যদি পদার্থটি তড়িৎচুম্বকত্ব দ্বারা একসাথে আবদ্ধ থাকে ((অর্থাৎ সাধারণ পদার্থ) তাহলে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রেকর্ডটি হল মাইক্রোমিটার আকারের গ্রাফাইট কণা, যাকে ৬০০,০০,০০০ আরপিএম (অক্টোবর ২০১০) এ ঘুরানো সম্ভব হয়েছে। ইউনিভার্সিটি অফ মেরিল্যান্ডের যে দলটি এটি করেছিল তারা বলেছিল যে গ্রাফিনের জন্য তাত্ত্বিক সীমা এর চেয়েও প্রায় এক হাজার গুণ বেশি।
এমনকি যথেষ্ট পরিমাণে জোরে ঘুরালেএকটি পারমাণবিক নিউক্লিয়াসও (শক্তিশালী নিউক্লিয়ার বল দ্বারা একসাথে আবদ্ধ) আলাদা হয়ে যাবে। যদি আমরা যথেষ্ট পরিমাণে শক্তিশালী একটি ডিস্ক তৈরি করতে পারি, যেন আমাদেরকে শুধু আপেক্ষিকতা সম্পর্কেই চিন্তা করতে হবে, তখন স্পর্শক বরাবর সীমাটি হবে = আলোর বেগ (c)। সুতরাং, কৌণিক বেগের, সীমা হবে = c/2 r π