আমরা আমাদের মস্তিষ্কের কত শতাংশ কাজে লাগাতে পারি.? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+17 টি ভোট
585 বার দেখা হয়েছে
"চিন্তা ও দক্ষতা" বিভাগে করেছেন (17,750 পয়েন্ট)
পূনঃট্যাগযুক্ত করেছেন

3 উত্তর

+3 টি ভোট
করেছেন (17,750 পয়েন্ট)
Nishat Tasnim- আমাদের মস্তিষ্কে রয়েছে প্রায় ৮৬ বিলিয়ন নিউরন আর প্রায় ১০০০ ট্রিলিয়ন সিন্যাপস(দুটি নিউরনের সংযোগস্থল,এর মাধ্যমেই সংকেত একটি নিউরন থেকে আরেকটিতে যায় ফলে আমরা কার্যকর উদ্দীপনা প্রদান করতে পারি)।

ঊনবিংশ শতাব্দীর আশির দশকে আমেরিকার বিখ্যাত মনোবিজ্ঞানী উইলিয়াম জেমস একটি ছেলের আইকিউ পরীক্ষার পর বলেন মানুষ তার মস্তিষ্কের সবটুকুই সঠিকভাবে ব্যবহার করে না।বিভিন্ন প্রচারণা মাধ্যম, ম্যাগাজিন আর লোকমুখে দেশ-দেশান্তরে ছড়িয়ে পড়তে থাকে এই অপরীক্ষিত অদ্ভুত তত্ত্ব। শুধু তা-ই নয় লুসি, লিমিটলেস, ফ্লাইট অব দ্য নেভিগেটর এর মতো বিখ্যাত কিছু হলিউড মুভিতেও এই তত্ত্বের দেখা মেলে।

প্রথমত, যদি আমাদের ব্রেনের ১০% কাজ করতো তাহলে বাকী ৯০% জায়গায় যদি কোনো আঘাত লাগতো বা ক্ষতি হতো তাহলে তো আমাদের কোনো শারীরিক বা মানসিক সমস্যা হওয়ার কথা ছিলো না।কিন্তু এমনটি দেখা যায় না।

দ্বিতীয়ত, বিবর্তন তত্ত্ব অনুসারে, যদি আমাদের ব্রেনের ১০% কাজ করে অর্থাৎ, বাকী ৯০% যেহেতু অপ্রয়োজনীয় তাই সেই অংশের অনেক আগেই বিবর্তনের মাধ্যমে বাদ পড়ে যাওয়ার কথা ছিল।কিন্তু মানুষের পৃথিবীতে আগমনের ২ মিলিয়ন বছর পরও এমনটি হয় নি।

তাই প্রকৃতপক্ষে, আমাদের ব্রেনের পুরোটাই কাজ করতে পারে। কিন্তু মস্তিষ্ক কখনোই একইসাথে একশ ভাগ ব্যবহার করে না। নির্দিষ্ট কাজের জন্য মস্তিষ্কের নির্দিষ্ট অংশ উদ্দীপ্ত হয়। কোনো একটি নির্দিষ্ট মুহূর্তে মস্তিষ্কের এক থেকে ষোল শতাংশ পর্যন্ত কার্যকর হয়।

তাহলে যদি এমন হতো যে আমাদের মস্তিষ্ক কোনো একটি কাজে ১০০% সক্রিয় হয়ে যায়! তাহলে তখন আপনি একসাথে অনেকগুলো কাজ করতে পারবেন। সাধারন অবস্থায় একইসময়ে মনোযোগ দিয়ে কখনোই একের অধিক কাজ করা যায় না।কারণ, একের অধিক কাজের জন্য পর্যাপ্ত সক্রিয়তা মস্তিষ্কের থাকে না।
0 টি ভোট
করেছেন (33,350 পয়েন্ট)
আসলে, একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষ প্রতিদিন তার মস্তিষ্কের ১০০ শতাংশই ব্যবহার করেন। অনেকেই মনে করেন, মস্তিষ্কের ১০% ব্যবহার করা হয়। এগুলো ভিত্তিহীন আর শুনলে বিশ্বাস করার প্রয়োজন নেই।

আমরা আমাদের মস্তিষ্কের ১০০ শতাংশই ব্যবহার করি। বিভিন্ন অংশের কাজ ভিন্ন ভিন্ন। আমাদের মস্তিষ্কের প্রায় ১৯ শতাংশ (প্রায় ১৬ বিলিয়ন নিউরন) জায়গা জুড়ে আছে মস্তিষ্কের একটা বিশেষ অংশ, যার নাম 'কর্টেক্স'। আমাদের পুরো মস্তিষ্ক জুড়ে শুধু এ অংশটাই উদ্বিগ্ন (concious)। বাকি সবটা যন্ত্রের মতো নিজে থেকেই কাজ করে, যার ওপর আমাদের নিয়ন্ত্রণ নেই। এক গবেষণায় দেখা গেছে, একটা বেসবলে ব্যাট আঘাত করতে ৫০ শতাংশ মস্তিষ্ক সক্রিয় করতে হয়। তাহলে দৈনন্দিন জীবনের সকল কাজ করতে কতটুকু সক্রিয় করতে হবে?

মস্তিষ্কের সম্পূর্ণ অংশ ব্যবহার না করে আমরা সামান্য হাঁটতেও পারতাম না। সব কাজেই কম-বেশি আমরা আমাদের মস্তিষ্কের ১০০% ব্যবহার করি। কারণ মস্তিষ্ককে শুধু ওই নির্দিষ্ট কাজই করতে হয় না। ভারসাম্য রক্ষা, শারীরবৃত্তীয় কাজসহ আরও নানাবিধ কাজ করতে হয়। যেমন: আমাদের ভারসাম্য রক্ষার জন্য কানের তিনটি অংশ (বাহির, মধ্য, ভিতর) এবং দেহের বিভিন্ন অস্থি এবং অস্থিসন্ধি থেকে ভ্যাস্টিবুলার সিস্টেমে সংকেত পাঠানো হয়। তারপর মস্তিষ্ক সেটা জটিল প্রক্রিয়ায় বিশ্লেষণ করে বিভিন্ন অঙ্গে সংকেত পাঠানোর মাধ্যমে ভারসাম্য রক্ষা করে। এখানে মস্তিষ্কের অনেকগুলো অংশ কাজ করে। তাহলে দেখুন, এক দেহের ভারসাম্য রক্ষা করার জন্যই এত কারবার। তাহলে অন্যান্য কাজ করতে কত কিছু করতে হয়! এতে সহজেই বোঝা যায় যে আমরা মোটেও মস্তিষ্কের ১০% ব্যবহার করি না। তাছাড়া, fMRI (Functional Magnetic Resonance Imaging), MRI (Magnetic Resonance Imaging), PET(Positron Emission Tomography) এর মতো বিভিন্ন পরীক্ষায় দেখা গেছে, খুব সাধারণ কাজ যেমন : হাত-পা নাড়ানো, বসে থাকা ইত্যাদি কাজের সময়ও মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশ এক গতিশীল প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত হয়। তবে নিদিষ্ট কাজের সময় নিদিষ্ট কিছু অংশ বেশি অ্যাক্টিভ থাকে যেমন: দেখার সময় ভিজ্যুয়াল কর্টেক্স, শোনার সময় অডিটরি কর্টেক্স ইত্যাদি৷

মস্তিষ্ক ১০০%-ই কাজ করে। কিন্তু মস্তিষ্কের ১০০%-ই মানুষ তার চিন্তায় ব্যয় করতে পারে না। কারণ মস্তিষ্কের একেক অংশের কাজ একেকটা যেটা আমি আগেই বলেছি। যে অংশ নার্ভাল সিস্টেম নিয়ন্ত্রণ করে, সে অংশ চিন্তা করতে পারে না। এমনকি ঘুমের ভেতরেও মস্তিষ্কের মেমোরি সংক্রান্ত পার্ট অ্যাক্টিভ থাকে এবং স্মৃতি গোছানোর কাজে ব্যস্ত থাকে। আমরা মস্তিষ্কের নিউরনগুলার মধ্যে সঠিকভাবে সমন্বয় করতে পারি না যার জন্য অনেকে অনেক মেধাবী আর অনেকে দুর্বল হয়ে থাকে। কিন্তু অনুশীলন করলে মস্তিস্কের সমন্বয় সাধন সহজ হয়, আর আমাদের মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতাও বাড়ানোও সম্ভব।
0 টি ভোট
করেছেন (43,930 পয়েন্ট)
আমাদের মস্তিষ্কের 100% কাজ করে। যদি 100 বদলে 99.99 শতাংশ মস্তিষ্ক কাজ করে তাহলে আমাদের দেহের কোন না কোন অঙ্গের বিকলতা হতে বাধ্য। মস্তিষ্কের পুরো অংশটাই কাজ করে তাই আমরা সুস্থ এবং স্বাভাবিক।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+27 টি ভোট
2 টি উত্তর 1,275 বার দেখা হয়েছে
+2 টি ভোট
2 টি উত্তর 457 বার দেখা হয়েছে
25 ডিসেম্বর 2021 "বিবিধ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন PrO Mi Ty (1,030 পয়েন্ট)
+3 টি ভোট
2 টি উত্তর 551 বার দেখা হয়েছে
28 ফেব্রুয়ারি 2021 "জীববিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Hojayfa Ahmed (135,480 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
4 টি উত্তর 1,333 বার দেখা হয়েছে
+11 টি ভোট
2 টি উত্তর 868 বার দেখা হয়েছে

10,776 টি প্রশ্ন

18,469 টি উত্তর

4,743 টি মন্তব্য

272,684 জন সদস্য

38 জন অনলাইনে রয়েছে
1 জন সদস্য এবং 37 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Shariar Rafi

    420 পয়েন্ট

  2. Tazriyan

    190 পয়েন্ট

  3. Shourov Viperr

    110 পয়েন্ট

  4. Khandoker Farhan

    110 পয়েন্ট

  5. Eyasin

    110 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...