কৃষিকাজ বলতে যদি প্রচুর পরিমাণ শস্য বা সব্জী উৎপাদন বোঝানো হয়ে থাকে তাহলে স্পেস স্টেশনে তা এখনও করা যায়নি বা । কিন্তু স্পেস স্টেশনে উদ্ভিদ অবশ্যই ফলানো গেছে- তা খাওয়াও হয়েছে। এছাড়া সবুজ সজীব উদ্ভিদ ও ফুলের উপস্থিতি মহাকাশের কঠোর পরিবেশে কাটানো মহাকাশচারীদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্যও কার্যকর ও গুরুত্বপূর্ণ। মহাকাশ উদ্ভিদের ফলন এখনও পরীক্ষানিরীক্ষার পর্যায়ে আছে।

ভিটামিন C ও অন্যান্য ভিটামিনের অভাবে স্কার্ভি ও অন্যান্য শারীরিক সমস্যা হতে পারে। বর্তমানে পৃথিবী থেকে মহাকাশ স্টেশনে খাদ্য, জল, সরঞ্জাম ইত্যাদি নিয়মিত ব্যবধানে পাঠানো হয়। তাতে টাটকা সব্জীও প্যাকেজ করে পাঠানো হয়। কিন্তু যখন ভবিষ্যতে মঙ্গলগ্রহের মত গন্তব্যে দূর মহাশুন্য অভিযান হবে তখন মাসের পর মাস পৃথিবী থেকে কোনওকিছুর যোগান সম্ভব হবে না। তাই মহাকাশযানের মধ্যেই যতটা সম্ভব টাটকা সব্জী ফলাতে হবে। মূল সমস্যা সূর্যালোক ও মহাকর্ষের অভাব এবং জলের পরিমাণ খুব সীমিত। তাই এইসবের জন্য প্রস্তুত হতে বর্তমানে পৃথিবীর কাছাকাছি মহাশুন্যে অবস্থিত মহাকাশ স্টেশনে নানারকম গবেষণা চালানো হয়।
সোভিয়েত ইউনিয়নের আমল থেকেই মহাশুন্যে উদ্ভিদ নিয়ে গবেষণা চলছে। সোভিয়েত স্যালিউট-৭ মহাকাশ স্টেশনে প্রথম মহাশুন্যে ফুল ফোটানো সম্ভব হয়েছিল। এগুলি ছিল অ্যারাবিডপসিস জাতীয় উদ্ভিদ যারা একপ্রকার ছোট সপুষ্পক উদ্ভিদ এবং প্রজাতি হিসেবে বাঁধাকপি ও সরিষার সাথে সম্পর্কিত।