প্রথম বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে ফ্রান্স ও ইংল্যান্ড জার্মানির জন্য তোষণ নীতি গ্রহণ করে।তোষণ শব্দের এক্সাক্ট অর্থ জানা নাই-তবে এই নীতি টা ছিল যুদ্ধ বা পাল্টা আক্রমণ না করে সহনশীলতার পথ অনুসরণ করা।ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের তোষণ নীতি গ্রহণ করার কারণ গুলো হল-
(১)প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরবর্তী সময়ে ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স সামরিক শক্তিতে প্রস্তুত ছিল না,
(২) নাৎসি জার্মানি ছিল ব্রিটিশ বাণিজ্য পণ্যের অন্যতম ক্রেতা তাই ব্রিটেনের অর্থনৈতিক স্বার্থরক্ষার জন্য জার্মানির প্রতি ব্রিটেন ও ফ্রান্স তোষণ নীতি গ্রহণ করেছিল ,
(৩) একদিকে ইটালি ও জার্মানির ফ্যাসিবাদ ও অন্যদিকে রাশিয়ার সাম্যবাদ -এর কোনটিই ইংল্যান্ড ও ফ্রান্স চাইছিল না ।
(৪) অর্থনৈতিক সংকট, অভ্যন্তরীণ গোলযোগ এবং সর্বোপরি প্রতিবেশী রাষ্ট্র ইটালি এবং জার্মান কর্তৃক আক্রমনের ভয় দুটি দেশকে নিশ্চেষ্ট থাকতে বাধ্য করে ।
তোষণ নীতির ফলে জার্মানি শক্তিশালী হয়ে উঠতে পেরেছিল।অনেকে ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের এই তোষণ নীতি কে ২য় বিশ্বযুদ্ধ সূচনার কারণ মনে করেন।
তোষণ শব্দের ইংলিশ হল adulation যার মানে অধিক প্রশংসা করা।আশা করি আপনি এখানে তোষণ শব্দটার প্রাসঙ্গিকতা বুঝতে পারছেন।