বাজারে মিনিকেট নামে যে চাল পাওয়া যায় তা কোন ধান থেকে যায়? এর নাম মিনিকেট হলো কিভাবে? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+2 টি ভোট
417 বার দেখা হয়েছে
"চিন্তা ও দক্ষতা" বিভাগে করেছেন (15,280 পয়েন্ট)

2 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (2,110 পয়েন্ট)

মিনিকেট শব্দটি এসেছে ইংরেজি শব্দ ‘মিনি’ ও ‘কিট’ থেকে। ভারত সরকার নতুন উদ্ভাবিত কোনো ধানের বীজ ছোট বা মিনি প্যাকেটে কৃষকদের দেয়, তা থেকে কথ্য ভাষায় এই নাম হয়। পরে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে ভারত থেকে কিছু ধানের জাত বাংলাদেশে আসে।

ড. কৃষ্ণপদ বলেন, “মূলত মিনিকেট নামে প্রচলিত ধানের আবাদ বাংলাদেশে খুব বেশি একটা হয় না। ধান গবেষণা কেন্দ্র থেকে উদ্ভাবিত বিভিন্ন উচ্চ ফলনশীল ধান থেকে চাল তৈরি করে সেটাই মিনিকেট হিসাবে বিক্রি করছে মিল মালিকরা।

“এখন এমন আধুনিক যন্ত্রপাতি এসেছে যে যে কোনো ধানকে কেটে যে কোনো আকৃতি দেওয়া হয়। ফলে ধান যাই হোক, মিনিকেট চাল তৈরিতে মিলগুলোর কোনো সমস্যা হয় না।”

দেশে মিনিকেটের সবচেয়ে বড় জোগানদাতা রশিদ এগ্রোর প্রতিষ্ঠাতা রশিদ এ বিষয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা যারা হাস্কার, আমরা প্রথমে ধানের উপর থেকে খোসা ছাঁটাই করি। তারপরে এটাকে হোয়াইটনারে দিয়ে সাদা চকচকে করি। বাজারের চাহিদার কারণে আমরা বাড়তি প্রযুক্তি ও শ্রম ব্যবহার করে চালকে আরও উজ্জ্বল করে থাকি।”

তথ্যসূত্র: bdnews24

0 টি ভোট
করেছেন (33,350 পয়েন্ট)
বাজারের সবচেয়ে জনপ্রিয় চালের নাম মিনিকেট। ঝকঝকে, ঝরঝরে চিকন এই চালের দাম কিছুটা বেশি হলেও ক্রেতাদের প্রথম পছন্দ মিনিকেট। কিন্তু অবাক করার ব্যাপার হল পৃথিবীতে মিনিকেট নামে কোন ধানের জাতই নেয় অথচ বাজারের মিনিকেট চালের ব্যবসা চলছে রমরমা। আর এই মিনিকেট চাল ক্যান্সারের জন্য দায়ী। এখন প্রশ্ন জাগতে পারে, যে ধানের অস্তিত্ব নেই সেই নামের চাল আসে কোথায় থেকে? আসলে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি মিনিকেট চাল আসে উত্তর বঙ্গের শস্যভাণ্ডার দিনাজপুরে। এখানে এক শ্রেণির চাল কলের মালিক আছেন যারা মোটা চাল থেকে মেশিনের মাধ্যমে চাল সরু এবং চিকন করে মিনিকেট বলে চালিয়ে দিচ্ছে বাজারে। কাটিং এবং পলিশ করার জন্য চালে ব্যবহার করা হচ্ছে ভিবিন্ন ধরনের রাসায়নিক যা স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। বিশেষজ্ঞদের মতে এতে চালের পুষ্টিগুন যেমন কমে যায় তেমনি তা আমাদের দেহে ক্যান্সার এবং নানা রকম রোগের জন্য দায়ী। ‘১৯৯৫ সালের দিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ভারতের কৃষকদের মাঝে সে দেশের ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট নতুন জাতের চিকন ‘শতাব্দী’ ধানবীজ বিতরণ করে। মাঠপর্যায়ে চাষের জন্য কৃষকদের এ ধানবীজের সঙ্গে আরো কিছু কৃষি উপকরণসহ একটি মিনি প্যাকেট দেয়া হয়। ওই প্যাকেটটাকে ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট বলত ‘মিনি কিটস’ বলে। সেখান থেকেই ‘শতাব্দী’ ধানের নাম হয়ে যায় ‘মিনিকেট’। তবে নামের পেছনে ঘটনা যা-ই থাক, মিনিকেট নামে কোনো চালের জাত নেই এটাই বাস্তবতা। মোটা চালকে পলিশ করে মিনিকেট চাল বলে বিক্রি করা হচ্ছে দেশের বাজারে। খোঁজ নিয়ে মিনিকেট চাল বানানোর একটা যান্ত্রিক প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানা গেছে। চলুন দেখে নিই প্রক্রিয়াটি। অটোরাইস মিলে এমন অতিবেগুনি রশ্মি রয়েছে যার ডিজিটাল সেন্সর চাল থেকে সকল কালো চাল, পাথর, ময়লা সরিয়ে ফেলে। এর পর এই চাল চলে যায় অটোমিলের বয়লার ইউনিটে সেখানে ৫ টি ধাপে মোটা চাল সাদা রং ধারণ করে। এর পর পলিশিং মেশিনে মোটা চাল কেতে চিকন করা হয়। আর চকচকে করার জন্য ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন ক্যামিকেল যা মানবদেহে ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেক বাড়িয়ে দেয়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ‘মিনিকেট’ নামে বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত কোনো জাতের ধান নেই। বিআর ২৮, কল্যাণী, স্বর্ণা, গুটিস্বর্ণা, লাল স্বর্ণা, আইঅর-৫০, জাম্বু ও কাজল লতা জাতের ধান ছেঁটে মিনিকেট বলে বস্তায় ভরে বিক্রি করা হচ্ছে। বাজারে এ চালের ব্যাপক চাহিদার জন্য ‘মিনিকেট’ নামে প্রতারণার ব্যবসা চলছে জমজমাট। তথ্যসূত্রঃ ইত্যাদি নিউজ

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

0 টি ভোট
1 উত্তর 221 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
2 টি উত্তর 1,240 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
2 টি উত্তর 343 বার দেখা হয়েছে
+9 টি ভোট
1 উত্তর 327 বার দেখা হয়েছে

10,775 টি প্রশ্ন

18,456 টি উত্তর

4,742 টি মন্তব্য

265,684 জন সদস্য

165 জন অনলাইনে রয়েছে
1 জন সদস্য এবং 164 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Farhan Anjum

    140 পয়েন্ট

  2. Saif Sakib

    110 পয়েন্ট

  3. Tasfima Jannat

    110 পয়েন্ট

  4. SheriSaddler

    100 পয়েন্ট

  5. ElmaBrazil98

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...