মধু পচে না কেন? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

0 টি ভোট
884 বার দেখা হয়েছে
"রসায়ন" বিভাগে করেছেন (15,280 পয়েন্ট)

3 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (12,550 পয়েন্ট)
কোন কিছু পচানোর জন্য সেখানে এমন কিছু থাকার দরকার যা পচন সৃষ্টি করে। এই পচন সৃষ্টিকারী জীবটির নাম হল ব্যাক্টেরিয়া। মধু পচে না বলে আমাদের ধরেই নিতে হবে যে মধু এমন এক ইউনিক অরগানিক কম্পাউন্ড দিয়ে গঠিত যা ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ প্রতিহত করে।

মধুর বেশিরভাগ অংশই সুপারস্যাচিউরেটেড বা অতিমাত্রায় সম্পৃক্ত। এই অংশটুকু হাইড্রোস্কোপিক বা পানিশোষণকারী অংশ হিসেবে কাজ করে। অর্থাৎ এটি পানির প্রতি আকৃষ্ট হয়। আর তাই ব্যাকটেরিয়া এবং অন্যান্য মাইক্রোঅর্গানিজম মধুর সংস্পর্শে আসলে শুষ্ক হয়ে যায় যার অর্থ ব্যাক্টেরিয়া এর মৃত্যু। অবশ্য মধুর এই সুপারস্যাচিউরেশন অবস্থার জন্য মধু ইস্ট এবং অন্যান্য ফাংগাল স্পোরের বসবাসের স্থান হয়ে ওঠে।

মধুর pH হল ৩.২৬ থেকে ৪.৪৮ যা ব্যাক্টেরিয়ার জন্য একটা কিলিং ফিল্ড। এই এসিডিটি ব্যাকটেরিয়ার সেল ওয়াল দুর্বল করে দেয়। সুতরাং উপরের হাইড্রোস্কোপিক প্রভাব আর এই pH মিলে যে অবস্থার সৃষ্টি করে তা ব্যাকটেরিয়া তাড়ানোর জন্য যথেষ্ট।

কিন্তু সেটাও যদি যথেষ্ট না হয়? মৌমাছিরা মধু একটা বিশেষ এনজাইমের সাহায্যে প্রস্তুত করে। এর নাম গ্লুকোজ অক্সাইডেজ। এটা শ্যুগারকেভেঙ্গে গ্লুকোনিক এসিড এবং হাইড্রোজেন পারক্সাইড তৈরি করে। এই গ্লুকোনিক এসিডই মধুর ওইরকম pH এর জন্য দায়ী। কিন্তু আপনারা কি জানেন গ্লুকোজ অক্সাইডেজ আরও একটা জিনিস তৈরি করে? এই জিনিসটাকে আগে ‘পেনিসিলিন এ’ বলা হত। এখন নোটাটিন বলে। সত্যি ব্যাকটেরিয়ার কপাল মন্দ!

কিন্তু মধুর এতো বড় ব্যাক্টেরিয়ারোধী ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও কিন্তু মধুর জারের ঢাকনা খুলে রাখা যাবে না। এই হাইড্রোস্কোপিক সুপারস্যাচিউরেটেড শ্যুগার সলিউশন খোলা অবস্থায় রাখলে তার হাইড্রোস্কোপিক গুণের জন্য বাতাসের জলীয়বাষ্প শোষণ করবে এবং ধীরে ধীরে তার ব্যাক্টেরিয়ারোধী ক্ষমতা হারিয়ে ফেলবে।

সর্বশেষ সতর্কতা! আপনারা নিশ্চই জানেন খাদ্যে বিষক্রিয়া বা বটুলিজমের জন্য দায়ী ব্যাক্টেরিয়াটি হল ক্লস্ট্রিডিয়াম বটুলিনাম। মধুতে এই ব্যাক্টেরিয়ার নিষ্ক্রিয় স্পোর থাকতে পারে। একজন সুস্থ ব্যক্তি এটার জন্য অসুস্থ হবেন না। কিন্তু একটা শিশুর পরিপাকনালী মধু পরিপাক না করে লঘু বা ডিলিউট করে। তাই শিশুরা খুব সহজেই মধু খেয়ে অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। তাই গামা রের রেডিয়েশন দ্বারা যেসব মধুর স্পোরগুলো ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে সেগুলোই শিশুদের খেতে দেয়া উচিৎ অন্যথায় দেয়া উচিৎ নয়।
0 টি ভোট
করেছেন (15,280 পয়েন্ট)
মধুর অনেক ম্যাজিক। একটি চমত্কার ম্যাজিক হলো, এটি সহজে নষ্ট হয় না। এর প্রধান কারণ হলো, প্রাকৃতিক মধুতে খুব কমই পানির বিন্দু থাকে। মধুর উপদানের একটি অংশ সুগার বা চিনি জাতীয় পদার্থ। মধুতে চিনির ঘনমাত্রা বেশি। আবার জীবাণুদের কোষেও চিনি জাতীয় পদার্থ থাকে। কোষের মধ্যে চিনির ঘনমাত্রা মধু থেকে অনেক কম। তাই মধুর মধ্যে যখন কোনো জীবাণু পড়ে তখন অভিস্রাবন প্রক্রিয়ায় জীবাণু কোষ থেকে মধুর মধ্যে পানি চলে যায়। অতিরিক্ত পানি বেরিয়ে যাবার কারণে জীবাণু মারা পড়ে। তাই ব্যাকটেরিয়া বা অন্য কোনো জীবাণু মধুতে টিকতে পারে না বলেই মধু পচে না। কারণ, কোনো দ্রব্য পচে তখনই, যখন কোনো জীবাণু সেখানে বাসা বাঁধে। আরেকটি বিষয় হলো এর অ্যাসিডিটি। মধুর পিএইচ (পটেনশিয়াল অব হাইড্রোজেন) মাত্র ৩ দশমিক ২৬ থেকে ৪ দশমিক ৪৮। পিএইচ যত কম হবে, সেই দ্রব্যের অ্যাসিড মাত্রা তত বেশি আর পিএইচ বেশি হলে খারের মাত্রা বেশি। সুতরাং মধুর অ্যাসিড সহজেই সব জীবাণু ধ্বংস করে। ফলে মধু সহজে পচে না। মৌমাছি ফুল থেকে মধু সংগ্রহ করে মৌচাকের কুঠুরিতে তা মুখ থেকে বের করে ঢেলে দেয়। এ সময় মৌমাছির পেটের ভেতরের কিছু জৈব রাসায়নিক পদার্থ বা এনজাইমও বের হয়। মধুর সঙ্গে এই এনজাইমের বিক্রিয়ায় তৈরি হয় গ্লুকোনিক অ্যাসিড ও হাইড্রোজেন পেরোক্সাইড। হাইড্রোজেন পেরোক্সাইড মধুতে কোনো জীবাণু জমতে দেয় না। ফলে মধু নষ্ট হয় না। তবে মধু যদি স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় থাকে, তাহলে আর্দ্রতায় মধু নষ্ট হতে পারে।
0 টি ভোট
করেছেন (14,120 পয়েন্ট)

তরল মধু নষ্ট হয় না, কারণ এতে চিনির উচ্চ ঘনত্বের কারণে প্লাজমোলাইসিস প্রক্রিয়ায় ব্যাকটেরিয়া মারা যায়। প্রাকৃতিক বায়ুবাহিত ইস্ট মধুতে সক্রিয় হতে পারে না, কারণ মধুতে পানির পরিমাণ খুব অল্প। প্রাকৃতিক, অপ্রক্রিয়াজাত মধুতে মাত্র ১৪% হতে ১৮% আর্দ্রতা থাকে। আর্দ্রতা মাত্রা ১৮% এর নিচে যতক্ষণ থাকে, ততক্ষণ মধুতে কোন জীবাণু বংশবৃদ্ধি করতে পারে না।তাই সাধারণত মধু পচে না।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+2 টি ভোট
1 উত্তর 229 বার দেখা হয়েছে
28 ফেব্রুয়ারি 2022 "তত্ত্ব ও গবেষণা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Rayhan Shikder (9,310 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
1 উত্তর 386 বার দেখা হয়েছে
19 ফেব্রুয়ারি 2022 "বিবিধ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Rayhan Shikder (9,310 পয়েন্ট)
+4 টি ভোট
6 টি উত্তর 1,160 বার দেখা হয়েছে
10 মার্চ 2021 "প্রাণিবিদ্যা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন noshin mahee (110,330 পয়েন্ট)
+10 টি ভোট
4 টি উত্তর 1,618 বার দেখা হয়েছে
02 জানুয়ারি 2021 "তত্ত্ব ও গবেষণা" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন noshin mahee (110,330 পয়েন্ট)

10,775 টি প্রশ্ন

18,456 টি উত্তর

4,742 টি মন্তব্য

265,635 জন সদস্য

142 জন অনলাইনে রয়েছে
0 জন সদস্য এবং 142 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Farhan Anjum

    140 পয়েন্ট

  2. Saif Sakib

    110 পয়েন্ট

  3. Tasfima Jannat

    110 পয়েন্ট

  4. JooBryanFern

    100 পয়েন্ট

  5. VickiRalph17

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...