রেইন গেজের সাহায্যে বৃষ্টির পরিমাণ নির্ণয় করা হয়।
বৃষ্টি মাপার যন্ত্রটি ৫১ সেন্টিমিটার দীর্ঘ এবং ২১ সেন্টিমিটার ব্যাসের একটি কাচের বোতল বা জার। বোতলটি রাখা হয় লোহার একটি সিলিন্ডারের মধ্যে। বোতলের মুখে লাগানো থাকে ২১ সেন্টিমিটার ব্যাসের একটি চুঙ্গি বা কাপ। একে বলা হয় ফানেল। ফানেলের মুখটির ব্যাস বোতলের মুখের চেয়ে ১০ গুণ বড় হয়। বৃষ্টি মাপার জন্য এই যন্ত্রটি রাখা হয় সমতল, খোলামেলা এবং নিরাপদ জায়গায়। যাতে গাছপালা, দালানকোঠা বৃষ্টির পানি পড়ায় কোনো বাধার সৃষ্টি করতে না পারে।
ফানেলের মুখে বৃষ্টির পানি ছাড়া অন্য পানি যাতে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য ভূমি থেকে ফানেলের মুখটি ৩০ সেন্টিমিটার উঁচুতে স্থাপন করতে হয়। যখন বৃষ্টি হয় তখন বৃষ্টির পানি ফানেলের মুখে পড়ে জমা হয় বোতলে। নির্দিষ্টি সময় অর্থাৎ ২৪ ঘণ্টা পর বেতলে জমা বৃষ্টির পানি দাগকাটা একটি কাচের পাত্রে ঢালা হয়। কাচের পাত্র বা জারের ছোট ছোট দাগগুলো মিলিমিটার বা ইঞ্চির।
ফানেলের মুখের ক্ষেত্রফল যদি পানি মাপা কাচের পাত্রের ক্ষেত্রফলের সমান হয় এবং পানি মাপা পাত্রের ১২ সেন্টিমিটার পরিমাণ উঁচুতে পানি ওঠে তাহলে বুঝতে হবে ওই স্থানে ১২ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
বৃষ্টি মাপতে হলে বৃষ্টিমাপক যন্ত্রের উপর থেকে ফানেল এবং বোতলটি উঠিয়ে নিতে হবে। তারপর বোতলে জমা পানি দাগকাটা পরিমাপক পাত্রটিতে আস্তে আস্তে ঢালতে হবে। পাত্রে পানি ঢালার পর পাত্রটি সমান জায়গায় খাড়া করে রাখতে হবে। তারপর পাত্রের গায়ের দাগের সাথে মিলিয়ে মাপ নিতে হবে। অর্থাৎ বৃষ্টির পানি কাচের পাত্রে ঢালার পর পানি যদি পাত্রের ৩ সেন্টিমিটারের ঘর ছোঁয় তাহলে বুঝতে হবে ঐ স্থানে ২৪ ঘণ্টায় ৩ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
যেসব স্থানে বছরে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ২৫৪ মিলিমিটারের (১০ ইঞ্চি) কম সেসব স্থানকে মরুভূমি বলা হয়। বছরে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ২৫৪ থেকে ৫০৮ মিলিমিটারের (১০-২০ ইঞ্চি) মধ্যে হলে সেখানে কিছু সবুজ গাছপালা জন্মে। তবে কৃষিকাজের জন্য বৃষ্টিপাতের পরিমাণ হওয়া দরকার বছরে ৫০৮ মিলিমিটারের (২০ ইঞ্চি) বেশি।