ভিটামিন “এ” সমৃদ্ধ ফল
প্রায় সকল প্রকার পাকা ফলেই ভিটামিন এ বেশি থাকে। তবে কিছু কিছু ফলে ভিটামিন এ বেশি থাকে; যেমনঃ পাকা আম, পাকা কাঁঠাল, পাকা পেঁপে, আনারস, আমড়া, পেয়ারা, বড় বাতাবি লেবু, জাম, জামরুল,বাঙি ইত্যাদি ইত্যাদি ফলে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন এ থাকে।
ভিটামিন বি১ সমৃদ্ধ ফল
ভিটামিন বি১ সমৃদ্ধ ফল হলো ; পাকা আম, পাকা কাঁঠাল, আমড়া, কামরাঙ্গা, কদবেল, পানিফল, পাকা কলা, ডাবের পানি, আনারস, বাঙি, ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন বি১ থাকে।
ভিটামিন বি২ আছে যে ফলে
পেয়ারা, পাকা কাাঁঠাল, বাঙি, জামরুল, আমলকি, আতা, লিচু, বরই, ডেউয়া, লটকন, অরবরই ইত্যাদি ফলে প্রচুর পরিমনে ভিটামিন বি২ থাকে।
ভিটামিন সি আছে যে ফলে
আমরা যত প্রকার উৎস থেকে ভিটামিন সি পাই তার মধ্যে ফলই প্রধান। কারন ভিটামিন সি তাপে নষ্ট হয়ে যায়; এজন্য অন্য রান্না করা খাবার থেকে আমরা সাধারনত ভিটামিন সি পাই না! তাই ফলই ভিটামিনের প্রধান উৎস হিসেবে ধরা হয়।
যে ফলে ভিটামিন সি বেশি থাকে তা হলোঃ পেয়ারা, আমলকি, অরবরই, লেবু, বাতাবি লেবু, জাম্বুরা, কামরাঙ্গা, আমড়া , জলপাই, খুদিজাম, কাচা আম, কমলা, লিচু সহ টক জাতীয় ফলগুলোতে বেশি পরিমানে ভিটামিন সি থাকে।
ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ ফল সমূহ
ডালিম, খেজুর, গাব, কদবেল, নারিকেল, আমড়া, জগ ডুমুর, বেল, জাম্বুরা, পেঁপে, তেঁতুল ইত্যাদি ফলে প্রচুর পরিমানে ক্যালসিয়াম থাকে। এছাড়াও সজিনা, ঢেঁরস ইত্যাদিতেও প্রচুর পরিমানে ক্যালসিয়াম থাকে।
আয়রণ বেশি আছে যে ফলে
জাম, পেয়ারা, তরমুজ, আম, আতা, কামরাঙ্গা, নারিকেল, আমলকি, জগডুমুর ইত্যাদি ফলে প্রচুর পরিমানে আয়রণ বা লৌহ উপাদান রয়েছে। এছাড়াও কচু শাক ও কচুতে প্রচৃুর পরিমানে আয়রণ থাকে।
ফসফরাস বেশি থাকে যে ফলে
কলা, কাঁঠাল, আম, তালের শাঁস, ডালিম, খেজুর, জলপাই, নারিকেল, পেয়ারা, জাম্বুরা ইত্যাদি ফলে প্রচুর পরিমানে ফসফরাস থাকে।
খাদ্য শক্তি বেশি আছে যে ফলে
ভিটামিনের পাশাপাশি কোন ফলে খাদ্যশক্তি বেশি রয়েছে তাও আমাদের জেনে রাখা দরকার। খেজুর, নারিকেল, কলা, ডালিম, বেল, চালতা, বিলাতি গাব ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমানে খাদ্যশক্তি রয়েছে।
শর্করা আছে যে ফলে
তাল, খেজুর , কলা, আম, জাম, আপেল ইত্যাদি ফলে প্রচুর শর্করা রয়েছে। শর্করা মানে হলো কার্বহাইড্রেট। আমরা কাজ করার শক্তি প্রধানত শর্করা জাতীয় খাবার থেকেই পেয়ে থাকি।