লুসিড ড্রিম বা স্বপ্নকে নিয়ন্ত্রণ করা কিভাবে সম্ভব ? [poll] - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+3 টি ভোট
2,333 বার দেখা হয়েছে
"বিবিধ" বিভাগে করেছেন (150 পয়েন্ট)
### no choices found for poll!

2 উত্তর

+1 টি ভোট
করেছেন (2,630 পয়েন্ট)
স্বপ্ন এমন এক জগতের দুয়ার উন্মুক্ত করে দেয় যেখানে ব্যক্তি জীবনের বাস্তবতা থেকে হারিয়ে যায়। সেই দুনিয়ার ওপর আমাদের নিয়ন্ত্রণ অল্প-ই থাকে। "আমি এখন স্বপ্ন দেখছি, আর স্বপ্নে দেখা ঘটনার ওপর আমার নিয়ন্ত্রণ আছে"- এ অনুভূতি টের পাওয়ার অভিজ্ঞতাকে-ই বলে লুসিড ড্রিমিং। (Lucid Dreaming)

একজন চাইলেই প্রতিরাতে স্বপ্নে দেখা ঘটনাবলীর উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রাখার ক্ষমতা অর্জন করতে পারেন।  

প্রথম ধাপ:- প্রতিরাতে (বা দিনে) স্বপ্নে কী কী দেখলেন, তার বিবরণ ডায়েরীতে টুকে রাখবেন। ধীরে ধীরে স্বপ্নগুলোকে মনে হবে আগের চাইতে স্পষ্ট। তাতে নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতাও বাড়বে।

দ্বিতীয় ধাপ:- খেয়াল করেছেন কখনো, আপনি যে বাস্তব জীবনে নেই, আসলে স্বপ্ন দেখছেন- সে বিষয়ে তখনই নিশ্চিত হন যখন অবান্তর কিছু ঘটে; বা প্রাত্যহিক জীবনে দেখা কোনো খুঁটিনাটি ডিটেইলস স্বপ্নে বাদ পড়ে যায়। এজন্যই, নিয়মিত ঘড়ি দেখা বা আঙ্গুল গণনার মতো কাজ করার অভ্যাস গঠন করতে বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন। ফলে স্বপ্নেও যখন একই কাজ করতে যাবেন, তখন মনে হবে কিছু একটা গড়বড় আছে! সম্ভবত ঘড়ির কাঁটা উলটো দিকে ঘুরতে দেখবেন বা আঙ্গুলের সংখ্যা একটা-দুটা বেড়ে যাবে।

তৃতীয় ধাপ:- Mnemonically Induced Lucid Dreaming (MILD)

ঘুমিয়ে পড়ার পরপরই আগে দেখা কোনো স্বপ্ন স্মরণ করার চেষ্টা করুন। কল্পনা করুন, আপনি সে স্বপ্ন নিয়ন্ত্রণ করছেন। নিদ্রায় যাওয়ার পুর্বে মনে মনে বলুন, " আমি আজ লুসিড ড্রিম দেখবই-দেখব।" সমীক্ষায় দেখা গেছে, মাঝরাতে আধ-ঘন্টার জন্য জেগে এ কাজ করলে সবচেয়ে বেশি সফলতা অর্জিত হয়।

চতুর্থ ধাপ:- এটা সবচেয়ে কঠিন। Wake Induced Lucid Dreaming (WILD)

এই ধাপের মূল উদ্দেশ্য হল ঘুমিয়ে থাকার সময়েও ইন্দ্রিয় সজাগ রাখার চেষ্টা করা। এটি ঝুঁকিপূর্ণ, কারণ Sleep Paralysis বা বোবায় ধরা সে কারণেই হয়।

একটা ফ্যাক্ট শেয়ার করি। বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, স্বপ্নে কিছু করতে দেখলে আর বাস্তব জীবনে সেই কাজ সত্যি সত্যি করলে মস্তিষ্কে একই প্রভাব পড়ে। সুতরাং, আপনি কি নিশ্চিত আপনি এখন জাগ্রত, না স্বপ্ন দেখছেন?

Happy Lucid Dreaming!

তথ্যসূত্র: http://www.lucidity.com/SleepAndCognition.html

https://pubmed.ncbi.nlm.nih.gov/19750924/

https://www.sciencedaily.com/releases/2012/07/120727095555.htm
+1 টি ভোট
করেছেন (17,750 পয়েন্ট)

Lucid Dream : স্বপ্ন নিয়ন্ত্রণ

লুসিড ড্রিম বলতে এমন এক ধরনের স্বপ্ন বুঝায় যেখানে একজন মানুষ চাইলে স্বপ্ন নিয়ন্ত্রণ, পরিবর্তন করতে পারেন। একজন লুসিড ড্রিমার স্বপ্নের মাঝেও জেগে থাকেন এবং তিনি যে স্বপ্ন দেখছেন তা বুঝতে পারেন। স্বপ্ন দেখার সময় কোনো কিছু চিনে ফেলা হচ্ছে লুসিড ড্রিম এর প্রথম পর্যায়। আমরা যখন স্বপ্নে কাউকে চিনে ফেলি তখন আমাদের মস্তিষ্কের dorosolateral prefrontal cortex এ সাড়া জাগে এবং তা ঘুমের রেম পর্যায়ে যেতে সাহায্য করে। এখন প্রশ্ন হলো ঘুমের রেম পর্যায় আবার কি? এই পর্যায়ে কেন মানুষ লুসিড ড্রিম দেখে?

মানুষ গড়ে প্রতিদিন ঘুমের মাঝে ৪ থেকে ৬ বার স্বপ্ন দেখে। আমাদের ঘুমকে দুটি পর্যায়ে ভাগ করা যায়। একটি হলো Rapid Eye Movement (REM) এবং অন্যটি হলো Non Rapid Eye Movement (Non-REM)। মানুষ সাধারণত ঘুমের রেম পর্যায়েই লুসিড ড্রিম দেখে। ঘুমের এই সময়ে আমাদের মস্তিষ্ক সবচেয়ে সক্রিয় থাকে। লুসিড ড্রিম দেখার জন্য মানুষের মস্তিষ্কের  ল্যাটারাল প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্স দায়ী। মস্তিষ্কের এই অংশ মানুষের যুক্তিতর্ক ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করে। রেম ঘুমের সময় আমাদের মস্তিষ্কের ল্যাটারাল প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্স সাধারণত নিষ্ক্রিয় ই থাকে। কিন্তু অনেক সময় এই অংশটি সক্রিয় থাকে যার ফলে আমরা যুক্তি দিয়ে বিচার করে স্বপ্ন দেখি এবং তা নিজের মতো নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। science bee

কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করে আমরা লুসিড ড্রিম ঘটাতে পারি। এতোক্ষণে আমরা জেনেছি যে লুসিড ড্রিম হয় ঘুমের রেম পর্যায়ে, এই সময়ে মস্তিষ্ককে সজাগ রাখলে লুসিড ড্রিম দেখা যাবে। এর জন্য আপনার একবার ঘুমানোর ঠিক পাঁচ ঘন্টা পর জেগে উঠতে হবে, তারপর আবার ঘুমিয়ে পড়তে হবে। এর ফলে আপনি সরাসরি ঘুমের রেম পর্যায়ে চলে যাবেন এবং লুসিড ড্রিম দেখতে পারবেন। অন্য একটি পদ্ধতি হলো MILD (Mnemonic Induction of Lucid Dreams)। এটি এক ধরনের আবেশ পদ্ধতি। এক্ষেত্রে আপনি প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে মনে মনে বার বার বলবেন "আমি  আজ লুসিড ড্রিম দেখবো"। এছাড়া আরো একটি পদ্ধতি হচ্ছে নিজের দেখা স্বপ্নগুলো ডায়েরি তে লিখে রাখা এবং প্রতিদিন একবার করে সেগুলো পড়া। এইসব পদ্ধতি অনুসরণ করলে আপনার লুসিড ড্রিম দেখার সম্ভাবনা অনেক বেশি।

তবে যাদের মানসিক অসুস্থতা রয়েছে তাদের জন্য লুসিড ড্রিম ক্ষতিকর হতে পারে। কারণ ঘুমানোর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে মস্তিষ্ককে বিশ্রাম দেওয়া, কিন্তু লুসিড ড্রিম এর ফলে আপনি ঘুমের মাঝেও জেগে থাকবেন। যা আপনার মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলবে। এর ফলে যারা বিষণ্ণতায় ভুগেন তাদের জন্য এবং সাধারণ মানুষের জন্যও লুসিড ড্রিম ক্ষতিকর।

© Nishat Tasnim (Science Bee)

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+1 টি ভোট
1 উত্তর 468 বার দেখা হয়েছে
+15 টি ভোট
2 টি উত্তর 6,598 বার দেখা হয়েছে
20 জুন 2019 "মনোবিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Admin (71,290 পয়েন্ট)
+3 টি ভোট
2 টি উত্তর 5,392 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
1 উত্তর 183 বার দেখা হয়েছে

10,807 টি প্রশ্ন

18,512 টি উত্তর

4,744 টি মন্তব্য

513,074 জন সদস্য

64 জন অনলাইনে রয়েছে
19 জন সদস্য এবং 45 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. আব্দুল্লাহ আল মাসুদ

    1280 পয়েন্ট

  2. Dibbo_Nath

    370 পয়েন্ট

  3. Fatema Tasnim

    340 পয়েন্ট

  4. _Polas

    160 পয়েন্ট

  5. Arnab1804

    140 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ পৃথিবী এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত #ask আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি মাথা স্বাস্থ্য প্রাণী গণিত মহাকাশ বৈজ্ঞানিক পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে ডিম চাঁদ কেন বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং শক্তি উপকারিতা সাপ লাল আগুন মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মাছ মশা শব্দ ঠাণ্ডা ব্যাথা মস্তিষ্ক ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা মন কি বিস্তারিত রঙ পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাংলাদেশ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি কান্না দাঁত বিড়াল আম
...