খেলার সময় সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বকরক্ষায় অনেকেই সানস্ক্রিন ব্যবহার করেন। এটা ব্যবহার করলে মানুষের চামড়ার উপরিভাগ রোদে পোড়া থেকে রক্ষা পায়। সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে ব্যবহার করার জন্য জিংক ক্রিম ব্যবহার করা হয়।
ক্রিকেট খেলার সময় অনেক খেলোয়াড়কেই মুখে বা ঠোঁটে সাদা ক্রিম ব্যবহার করতে দেখা যায়। খেলোয়াড়রা মুখে যে সানব্লক ক্রিম ব্যবহার করেন, তাই হলো প্রকৃত সানস্ক্রিন। এগুলো মূলত জিংকসমৃদ্ধ উপাদান দিয়ে তৈরি। এই ক্রিমের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হচ্ছে জিংক শুধু ক্ষতিকর সূর্যরশ্মিকেই বাধা দেয়।সানস্ক্রিন ক্রিম/লোশন ব্যবহারে ত্বকে ট্যানিং কম হয়। আর তাই দেহের খোলা অংশের রঙকে দেহের ঢাকা অংশের মতোই দেখতে লাগে। এছাড়াও যদি কারও কোনও বিশেষ ধরনের ত্বকের রোগ থাকে, যা সূর্যের আলোতে বেড়ে যায় বা ত্বকে জ্বালার সৃষ্টি করে, তাঁদের জন্য সানস্ক্রিন ব্যবহার করা খুব জরুরি।
এছাড়া, সানব্লকের মূল বিষয়টা হচ্ছে সান প্রটেকশান ফ্যাক্টর। সান প্রটেকশান ফ্যাক্টরের সংক্ষিপ্ত রুপ বচ্ছে এসপিএফ (SPF)। এটি এমন একটি উপাদান, যা সানস্ক্রিনে উপস্থিত থেকে ত্বককে সূর্যরশ্মির ক্ষতিকারক UVB থেকে রক্ষা করে।
শুধু তাই নয়, SPF 30 থেকে আমাদের ত্বককে ৯৭ শতাংশ পর্যন্ত UVB রশ্মির হাত থেকে রক্ষা করে থাকে।সবথেকে বড় কথা হল, সানস্ক্রিন ছাড়া আমাদের ত্বক ১৫ মিনিটের মধ্যে ক্ষতির সম্মুখিন হতে শুরু করে।
তবে সমস্যার ব্যাপার হলো, ক্রিমগুলো মাখলে মুখে সাদা রঙের পুরু প্রলেপ পড়ে থাকে, যা দেখতে খুব একটা ভালো লাগে না। জিংকের আণবিক গঠনের কারণেই এই ক্রিমগুলো পুরু হয়ে থাকে। ক্রিকেট খেলোয়াড়দের অনেকটা সময় বিশেষ করে টেস্ট ম্যাচের সময় মাঠে ফিল্ডিং করতে হয় বলে তাঁরা এই ক্রিম ব্যবহার করে থাকেন।
মূলত সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বকরক্ষায় খেলোয়াড়রা এই জিংকসমৃদ্ধ ক্রিম মুখে বা ঠোঁটে ব্যবহার করে থাকেন।
সানস্ক্রিন ব্যবহার করার সময় খেয়াল রাখতে হবে যে রোদে আসার ঠিক আধ ঘণ্টা বা বিশ মিনিট আগে সানস্ক্রিন মেখে নিতে হবে।
ক্রেডিট : M J H Hridoy (সায়েন্স বী)