এসিড নিক্ষেপ অপরাধে অধিকাংশ ক্ষেত্রে সালফিউরিক এসিড বা হাইড্রোক্লোরিক এসিড ব্যবহার করা হয়। এই এসিডগুলো মারাত্নক ক্ষয়কারক যা চামড়ায় ৩য় বা ৪র্থ মাত্রার পোড়া ক্ষতের সৃষ্টি করে এবং এ ধরণের ক্ষত সুস্থ হতে ন্যূনতম চার মাস সময় প্রয়োজন হয়। ৩য় বা ৪র্থ মাত্রার পোড়া ক্ষত বলতে এমন ক্ষত বোঝানো হয় যেখানে পোড়া ক্ষত চামড়া ছড়িয়ে হাড় পর্যন্ত পৌঁছায়। এসিডে পোড়া রোগীর আহত স্থানের চামড়া, স্নায়ু ও সূক্ষ পেশি গলে যায়, তাই ক্ষত সারলেও তা আগের মত দেখায় না। ক্ষত স্থানটি হাইপারট্রফিক ( ফোলা-ফোলা, উঁচু, লালচে) ধরণের চামড়ার দাগ নিয়ে সুস্থ হয়। তবে প্লাস্টিক সার্জারির স্কিন গ্রাফটিং অপারেশনের সাহায্যে আহত ব্যক্তির বিকৃত মুখাবয়ব অনেকটাই আগের মত করা যায়। কিন্তু সম্পূর্ণ আগের মত অর্থাৎ ১০০% আগের চেহারায় ফেরানো সম্ভব না হলেও অনেকখানি বিকৃতভাব কমিয়ে আনা যায়। তবে এধরনের সার্জারি যথেষ্ট সময় সাপেক্ষ এবং ব্যয়বহুল।