Tubarial Gland : চতুর্থ লালাগ্রন্থি?
এটিকে বলা হচ্ছে চার নাম্বার লালাগ্রন্থি। এ নিয়েও মতভেদ আছে। মতভেদ বলার আগে এই গ্রন্থি সম্পর্কে কিছু কথাবার্তা বলা যাক।
টিউবারিয়াল গ্রন্থি (Tubarial Gland) বলার কারণ এটি Torus Tubarius এর উপরে থাকে। Torus Tubarius হলো ইউস্টেশিয়ান টিউবের যে তরুণাস্থি অংশ আছে, সেই তরুণাস্থি গলার (নাসা গলবিল) কাছে একটা টিউবার বা উঁচু স্থান গঠন করে। এই টিউবার বা টরাস টিউবারিয়াসের উপরেই থাকে টিউবারিয়াল গ্রন্থি।
টিউবারিয়াল গ্রন্থি থাকে নাসাগলবিলে (নেকের ছিদ্র গলার ভেতরে যেখানে গিয়ে শেষ হয়)। এর কাজ হলো- লালাক্ষরণ করে গলাকে আর্দ্র রাখা। গলা আর্দ্র থাকলে কথা বলতে সুবিধা।
সেপ্টেম্বর ২০২০ এর আগে এই গ্রন্থি সম্পর্কে আলাদা করে মাতামাতি ছিল না। কারণ চিকিৎসা বিজ্ঞান আগে থেকেই মানে, আমাদের মুখের ভেতরে তিনজোড়া লালাগ্রন্থি নয়, আরো ৮০০-১০০০ লালাগ্রন্থি আছে। তবে সেই ৮০০/১০০০ লালাগ্রন্থির কাজ ততটা ইমপ্যাক্টফুল (প্রভাবশালী) নয়, যতটা তিনজোড়া লালাগ্রন্থি (প্যারোটিড, সাবম্যান্ডিবুলার, সাবলিঙ্গুয়াল লালাগ্রন্থি) প্রভাব রাখে।
তাই এই তিনজোড়াকে মেজর লালাগ্রন্থি, বাকী ৮০০-১০০০ কে মাইনর লালাগ্রন্থি বলা হতো। টিউবারিয়াল লালাগ্রন্থিও এই মাইনর লালাগ্রন্থির অন্তর্ভুক্ত। ফলে এখনো বিজ্ঞানীরা সেভাবে বিষয়টাকে খুব গুরুত্বের সাথে নেননি (পাঠ্যবইগুলোর নতুন এডিশনে যেহেতু এখনো আসে নাই, সেটাকে একটা গুরুত্বের প্যারামিটার হিসেবে নেওয়া যায়)।
টিউবারিয়াল লালাগ্রন্থিকে কেমোথেরাপির সময় পাত্তা দিতে হয়। কারণ এই গ্রন্থি কেমোথেরাপীর কারণে লালাক্ষরণ কমিয়ে দেয় বা বন্ধ করে দেয়। যেকারণে গলা শুকিয়ে যায় (জেরোস্টোমিয়া / Xerostomia)।
লিখেছেন: ডা. রাজীব হোসাইন সরকার