জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং জিনিসটা কি সেটা বুঝতে গেলে আগে বুঝতে হবে ‘জিন’ জিনিসটা কি!
আচ্ছা তোমাদের মনে কি কখনো প্রশ্ন জাগে না, সন্তানের চেহারা যে বাবা মার মত হয় এর কারণটা কী? এর উত্তর টাই হচ্ছে ‘জিন’। ‘জিন’ এর কারণেই সন্তানের চেহারা বাবা মার মত হয়। শুধু চেহারা না অনেক কিছুতেই মিল থাকে। তার মানে তোমরা আবার ভেবে বসো না, কোন জ্বিন ভুত এসে জাদু টাদু করে এসব করে দিয়ে যায়!!!এই জিন সেই জ্বিন নাহ! এই জিন থাকে মানুষের শরীরে। এখন তোমাদের প্রশ্ন জাগতে পারে, মানুষের শরীরের কোন জায়গায় থাকে এই জিন??
পদার্থ যেমন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অনু দিয়ে গঠিত মানুষের শরীরও তেমন কোষ দিয়ে গঠিত। আর কোষের মধ্যে ক্রোমোসোম নামে প্যাঁচানো কিছু বস্তু থাকে। এই ক্রোমোসোমেই থাকে DNA(Deoxyribonucleic Acid)। আর DNA এর একটা অংশ হচ্ছে জিন।
আচ্ছা জিন তো বুঝলাম। তাহলে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং জিনিসটা কী?
মূলত DNA কে কাটাছেড়া এবং জোড়া লাগানোর বিষয়টি হচ্ছে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বা বাংলায় বলতে গেলে জিন প্রকৌশল।
এভাবে DNA জোড়া লাগানোর পর যে নতুন DNA পাওয়া যায় তাকে বলে Recombinent DNA.
১৯৭৩ সালে হার্ভার্ট বয়ার ও স্ট্যানলি কোহেন দুটি একই ধরনের ব্যাকটেরিয়ার মধ্যে DNA কাটাছেড়া করে এবং প্রতিস্থাপন করে দেখান। পরবর্তীতে ব্যাঙ এবং ব্যাকটেরিয়ার মধ্যে এ কাজটা চালানো হয়! মূলত তখন থেকেই আধুনিক জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এর সূচনা বলা যেতে পারে!