টক্সোপ্লাজমা গন্ডী বলে বিচিত্র এক পরজীবি আছে। এদের মূল পোষক হলো বিড়াল। একমাত্র বিড়ালের দেহের মধ্যেই এরা বংশবৃদ্ধি করে। তাই সে এমন বাহক খুঁজে বেড়ায় যাকে কিনা বিড়াল খেতে পারে। যেমন ধরা যাক ইঁদুর। সাধারণত ইদুর বিড়ালের মূত্র এড়িয়ে চলে। কিন্তু টক্সোপ্লাজমা আক্রান্ত ইঁদুর বিড়ালের মূত্রের প্রতি দুর্নিবার আকর্ষণ অনুভব করে। ফলাফল একটাই – বিড়ালের সহজ শিকারে পরিণত হওয়া। ইদুরের সাথে সাথে টক্সোপ্লাজমাও বেড়লের দেহের ভিতরে গিয়ে বংশবৃদ্ধি করে, ছড়িয়ে দেয় নিজেকে।
খারাপ খবর এই যে, টক্সোপ্লাজমা মানুষের মাথাতেও বাসা বাঁধতে পারে। সেখানে সে সাধারণত ঘুমিয়েই থাকে। কিন্তু ঘুম শেষে জেগে উঠলে সে কিছু রাসায়নিক ক্ষরণ করে। এই রাসায়নিকগুলো মানুষের আচরণের উপর প্রভাব ফেলে। সে উত্তেজনা-প্রবণ হয়ে যায়, কম সময়ের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে।
ক্রেডিট : বিজ্ঞান পত্রিকা