প্রথমে উল্লেখ করা যাক, ক্যামেরা লেন্সের যে সব ক্ষেত্রে চোখের লেন্সের বৈশেষ্ট্য অর্জনের প্রয়োজন নেই সেগুলোর বিবরণ। আমাদের অক্ষিগোলকে আছে ব্লাইন্ড স্পট, যেখানে কোনো আলোক সংবেদনশীল কোষ নেই। চোখের লেন্সে যেমনটা থাকে, ক্যামের যদি তেমনভাবে আলোক সংবেদনশীল ফিল্টার বসানো থাকে, তাহলে পুরো দৃশ্য ফুটবে না। তাহলে আমরা কেন ব্লাইন্ড স্পট খেয়াল করি না, পুরো দৃশ্যই দেখি? এর কারণ আমাদের মস্তিষ্ক একটি চোখের নির্দিষ্ট অংশে পতিত আলোর সাথে আরেক চোখে পতিত আলোকের সমন্বয় করে। যেহেতু ক্যামেরা তা পারবে না, সাধারণ ক্যামেরার লেন্সে সংবেদনশীল ফিল্টার যেরকম সমানভাবে সব অংশে ছড়িয়ে থাকে তেমনই থাকুক!
ক্যামেরা যা পারে না তা হলো গতিশীল বস্তুর অবস্থান অনুযায়ী লেন্সের আকৃতি পরিবর্তন। তাই আলোকচিত্রীরা যে বস্তুর ছবি তুলবেন, তার দূরত্ব অনুযায়ী লেন্স পরিবর্তন করেন। যদি গতিশীল বস্তুর অবস্থান ধরার মতো কোনো সেন্সর থাকে, তাহলে ক্যামেরায় সেগুলো বসিয়ে নিজে নিজে হিসেব করে লেন্স পরিবর্তনের প্রোগ্রাম লোড করা যায়। তাতে ক্যামেরা লেন্স চোখের লেন্সের পর্যায়ে চলে যেতে পারে। বর্তমানে তা খুব সম্ভব। তবে চোখের সমপরিমাণ মেগাপিক্সেল (৫৭৬) ক্যামেরা পেতে হলে প্রযুক্তি যেদিন অভাবনীয় উৎকর্ষতা লাভ করবে, ততদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।