Maskawat Al Sium - জ্বলন বা দহন (burning) মূলত রাসায়নিক বিক্রিয়া যেখানে দাহ্য বস্তুটি বায়ুর অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে। সাধারণত পরমাণুর ভিতরে ইলেকট্রনগুলি তাদের সব থেকে কম শক্তি স্তরে (energy state) অবস্থান করে – এবং সব সময় তার সর্বনিম্ন শক্তি মাত্রায় থাকার চেষ্টা করে। দহনের তাপে উত্তপ্ত পরমাণুর ইলেক্ট্রনগুলি শক্তি সংগ্রহ করে উত্তেজিত হয়ে উচ্চ শক্তিস্তরে পৌঁছায়। ইলেক্ট্রনগুলি উচ্চ শক্তিস্তর থেকে নিম্ন শক্তিস্তরে ফিরে আসার সময় শক্তি (quantum of energy) নিঃসরণ করে যা ফোটন হিসেবে বের হয়। তাই দহনের ফলে উৎপন্ন হয় দৃশ্যমান আলো যা আসলে তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গ। এই তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গের ৪.৪×১০^-৭ থেকে ৭×১০^-৭ মিটার অবধি স্পেকট্রামকে দৃশ্যমান আলোক তরঙ্গ বলা হয় যা আবার বেগুনী, নীল,লাল ইত্যাদি বিভিন্ন বর্ণের সমাহার। সহজে বলতে গেলে তরঙ্গদৈর্ঘ্য ও কম্পাঙ্ক আলাদা হলেই আলোর রঙ বদলায়।
কোন কিছুকে দহন করলে ওই বস্তুর অনু (যদি দহনযোগ্য হয়) অক্সিজেনের সাথে বিক্রিয়া করে তাপ উৎপন্ন করে। যেমন মোমবাতি জ্বালালে বায়ুর অক্সিজেনের সাথে মোম (হাইড্রো-কার্বন যৌগ) বিক্রিয়া করে জলীয় বাষ্প, কার্বন ডাই অক্সাইড, কার্বন মনো অক্সাইড ইত্যাদি তৈরি করে। মোমবাতির শিখার চারপাশের তাপমাত্রা থাকে প্রায় ৭৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস কিন্তু ঠিক শিখার মধ্যে (core) ওই উষ্ণতা প্রায় ১৫০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভাল করে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে মোমবাতির শিখায় নীলচে আভা ও শিখার বাইরে আগুনের রঙ অনেকটা লালাভ-কমলা অর্থাৎ শিখার ভেতর থেকে বাইরের রঙ বেশ আলাদা। সুতরাং তাপমাত্রা আলাদা হলে আগুনের রঙ পাল্টে যাবে।