মেরু ভল্লুক ক্যামেরা দিয়ে ক্যাপচার করা যায় না! সাধারণ ক্যামেরা না, আমরা এক ধরণের বিশেষ ক্যামেরার কথা বলছি যার নাম ইনফ্রারেড ক্যামেরা। এই ইনফ্রারেড ক্যামেরাতে মেরু ভল্লুকের ছবি ধরা পড়ে না। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে কেন শনাক্ত হয় না?
ইনফ্রারেড রে (Infrared Ray) হচ্ছে অবলোহিত রশ্মি। সাধারণ আলোর তুলনায় এর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য ও কম্পাঙ্ক দুটোই আলাদা। এই ইনফ্রারেড রশ্মিকে ব্যবহার করে ছবি তোলা হয় যে ক্যামেরায় তার নাম ইনফ্রারেড ক্যামেরা। মূলত কোন বস্তু থেকে কী পরিমাণ তাপ নির্গত হচ্ছে তা বোঝার জন্যেই এই ইনফ্রারেড ক্যামেরা ব্যবহার করে ছবি তোলা হয়ে থাকে।
এখন আসা যাক মেরু ভল্লুকের কথায়। মেরু ভল্লুক ক্যামেরা দিয়ে দেখা যাবে না কথাটি শুনলে প্রথমে অবাক লাগাটা অস্বাভাবিক কিছু না। কিন্তু বাস্তবে কেন এমনটি হয় তা বুঝতে হলে জানতে হবে এসব ভল্লুকের জীবনযাত্রার ব্যাপারে। প্রথমত এর নাম মেরু ভল্লুক কারণ মেরু অঞ্চলে এন্টার্কটিকায় এর বসবাস। সেখানে প্রচন্ড ঠান্ডায় আমরা মানুষের পক্ষে বেঁচে থাকাই কঠিন। সেখানে বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজন তাপ। শরীরে তাপ ধরে রাখলেই বাঁচা সম্ভব, নইলে ঠান্ডায় হিম হয়ে মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী।
আসল কারণ :
আমরা মানুষও কিন্তু শরীরে তাপ ধরে রাখার একটি নির্দিষ্ট ক্ষমতা রয়েছে। সেটি খুব অল্প বলেই আমাদেরকে শীতের পোশাক পড়তে হয়। কিন্তু মেরু ভল্লুকের তো আর আলাদা কোন শীতের জামা কাপড় নেই! কোন একটি বস্তু তাপ নির্গত করলে তা থার্মাল ক্যামেরাতে ধরা পড়ে যা ইনফ্রারেড নামে পরিচিত। কিন্তু মেরু ভল্লুক ক্যামেরা দেখলেই তার সামনে নিজেকে জাহির করতে নারাজ। তারা নিজেদের শরীরে তাপ ধরে রাখতে খুবই পারদর্শী। এজন্য মেরু ভল্লুকের ভেতরাংশ উষ্ণ থাকে কারণ তাদের চামড়ার ভেতর মোটা আবরণ তা ধরে রাখতে সহায়তা করে। ফার কোটের সাথে আমরা মোটামুটি সবাই পরিচিত, সে ফার কোটের মত এই চামড়ার ভেতরের মোটা আবরণ মেরু অঞ্চলের ঠান্ডায় টিকে থাকতে সহায়তা করে।
তথ্যসূত্র : Future BD