গ্রহ নক্ষত্র গুলো শুন্যে কিভাবে ভেসে আছে? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+4 টি ভোট
1,609 বার দেখা হয়েছে
"জ্যোতির্বিজ্ঞান" বিভাগে করেছেন (71,130 পয়েন্ট)

4 উত্তর

+1 টি ভোট
করেছেন (71,130 পয়েন্ট)
অনেকেরই প্রশ্ন- গ্রহ নক্ষত্র গুলো শুন্যে ভেসে আছে কিভাবে? কেনোই বা তারা সূর্যকে কেন্দ্র করেই ঘুরছে? কেনো তারা ছিটকে বা অন্যভাবে দূরে চলে যাচ্ছেনা? আমাদের চারপাশে আমরা যে বলের বা আকর্ষন বিকর্ষনের ঘটনা দেখি এগুলো কেনো হয়?

প্রথমেই আসি গ্রহ নক্ষত্রের ব্যাপারে। তারা ভেসে আছে কি করে?

আমরা অনেকেই হয়তো স্পেস টাইম কার্ভেচারের নাম শুনেছি। অনেকেই হয়তো কিছুটা বুঝি আবার কেউ কেউ হয়তো বুঝিনা। আসুন জিনিসটা আবার বুঝা যাক।

ধরুন আপনি একটি রাবারের পাতলা চাদরকে অনেক টান টান করে চারপাশে আটকালেন। তখন সেটা একটা সমতল পৃষ্ঠ এর ন্যায় দেখাবে। কিন্তু যদি এখন আপনি এর মধ্যে একটি ১ কেজি বা ৮০০ গ্রাম ওজনের বল রাখেন।তাহলে সেই বলটি উক্ত চাদরকে বাকাবে এবং একটু গর্তের ন্যায় তৈরি করবে।

এখন কথা হচ্ছে, যদি আপনি ঐ চাদরের একদম উপরে বা মাঝের যেকোনো কোথাও একটি ছোট মার্বেল রাখেন, সেটি গড়িয়ে গিয়ে সেই ১ কেজি ওজনের বলের সাথে গিয়ে লাগতে চাইবে।কেননা সে একটি বাকানো পথ তৈরি করেছে যার ফলে তার থেকে কম ওজনের যাই দেওয়া হবে সেটা সেই বাক তৈরির উৎস্যের দিকেই যাবে। ঠিক যেভাবে নিচু গর্তে পানি গড়িয়ে যায়।

তবে উক্ত চাদরে যদি আপনি কোনো মার্বেলকে একটু অনুভূমিক বরাবর গতি প্রদান করতে পারেন তবে দেখবেন অনেক্ষণ ধরে তা ঘুরপাক খাবে।মাঝে মধ্যে গর্তে গিয়ে আবার বেরিয়ে এসে ঘুরতে থাকবে এবং শক্তি হারাতে হারাতে এক সময় থেমে গিয়ে গর্তে পতিত হবে।

এবার আসুন, গ্রহের বেলায় এটা কিভাবে কাজ করে। বিজ্ঞানীদের মতে, বিগব্যাং হওয়ার পরে আমাদের এই মহাবিশ্বের মধ্যে ৪র্থ মাত্রার একটি চাদর বিস্তৃত হয়ে গিয়েছিলো। যার উপরেই মহাবিশ্বের সকল কিছু অবস্থান করছে। বলে রাখা ভালো এটি একটি ৪র্থ মাত্রার চাদর যা ঘর্ষণহীন এবং যার নাম দেওয়া হয়েছে স্পেস-টাইম। তো এই চাদরও ঠিক রাবারের ওই চাদরের মতনই ক্রিয়া করে। উদাহরণ স্বরূপ, আমাদের সৌরজগতের মধ্যে সবচেয়ে ভারী বস্তু হলো সূর্য। অর্থাৎ, সবচেয়ে বেশি স্পেস-টাইমকে বাঁকাবেও সেই সূর্য। আর যেহেতু পৃথিবীসহ সকল গ্রহই সূর্যের নিকট নগণ্য, তাই তারা সবাই সূর্যের দিকেই ধাবিত হতে চাইবে ঠিক যেভাবে মার্বেলটি হতে চাইতো।

কিন্তু অনেকে এখানে প্রশ্ন করবে,মার্বেলটি তো একসময় থেমে গিয়ে কেন্দ্রে পতিত হয়েছিলো। তাহলে পৃথিবী এবং অন্যান্য গ্রহগুলো কেনো পতিত হচ্ছেনা?

উত্তর হলো, যেহেতু আগেই বলেছি স্পেস-টাইম একটি ৪র্থ মাত্রার ঘর্ষণহীন চাদর, তাই পৃথিবী বা অন্যান্য গ্রহগুলো ঘর্ষণহীন ভাবে ঘুরতে পারছে। যেহেতু ঘর্ষণহীনভাবে ঘুরছে, তাই তাদের শক্তিও হারাচ্ছে না। অর্থাৎ, মার্বেলের মতো গ্রহদের একদম কেন্দ্রে পতিত হবার কোনো রাস্তা নেই(এ নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে)। তাদের কোনো বিরাট বাহ্যিক শক্তি দ্বারা বিকৃত না করা হলে যতদিন সূর্য আছে, তারা ততোদিনই একই ভাবে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে থাকবে। এ কারণেই বলা হয় পৃথিবী এবং অন্যান্য গ্রহগুলো নির্দিষ্ট কক্ষপথে ঘুরছে। কারণ,তারা এখনও বিকৃত হয়নি। সূর্য স্পেস-টাইমকে বেশি বাকিয়েছে, তাই সূর্যের চেয়ে কম ভরের যারা রয়েছে সকলেই সূর্যের দিকে ধাবিত হতে চেয়েছে এবং তাদের পূর্বের আদিবেগের কারনে গোলাকার বা পরাবৃত্তাকারে অববরত প্রদক্ষিণ করে যাচ্ছে।

ঠিক প্রাকৃতিক উপগ্রহগুলোও কিন্তু এভাবেই কাজ করে। যেমন পৃথিবীর ভর চাঁদের চেয়ে বেশি। তাই পৃথিবী স্পেস-টাইমকে চাঁদের থেকে বেশি বাকিয়েছে এবং ফলস্বরুপ, চাঁদ পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে আর পৃথিবী সূর্যকে। এই গ্রহের ঘুর্ণনের ব্যাপারে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে আমাদের কেন্দ্রমুখী এবং কেন্দ্রবিমুখী বলের সমান হওয়ার ব্যাখ্যাগুলো দেওয়া হয়। কিন্তু কেন্দ্রমুখী এবং কেন্দ্রবিমুখী বলগুলো কেনো সমান হলো? কিভাবে সমান হলো? এগুলোর ব্যাখ্যা কেউ চায় ও না,কেউ দেয় ও না। তাই, এটার মূল কারণ এবং থিওরি এটাই যা সবচেয়ে লেটেস্ট।

এবার আসা যাক বলের দিকে। আমরা সকলেই চারটি মৌলিক বলের নাম জানি। মহাকর্ষ বল তার মধ্যে একটি যা একটি দুর্বল বল। কেনো দুর্বল হয় এই মহাকর্ষ বল?

এটারও মূল থিওরি স্পেস-টাইমই।

যেমন আমাদের পৃথিবীর মধ্যেই যদি আমরা কিছু দূরে দূরে দুইটি কলম রাখি তারা কিন্তু মিলিত হচ্ছেনা। কারণ, তাদের অতো বেশি পরিমানের ভর নেই যার দ্বারা তারা স্পেস-টাইম বাকিয়ে অন্যদের আকর্ষণ করবে। তবে তারা যে আকর্ষণ করছে না এমনটি নয়।তারাও করছে, তবে তা এতোই কম যে তাদের অগ্রসর হওয়ার জন্য যথেষ্ঠ নয়। অর্থাৎ, যেই বস্তু যতো বেশি স্পেস-টাইমকে বাকাতে পারবে, সে ততো বেশি অন্য বস্তুকে তার দিকে টেনে নেওয়ার প্রবণতা দেখাবে। এমনকি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অণুসমূহের কাছাকাছি আসার মধ্যেও এই স্পেস-টাইম এর প্রভাব রয়েছে। খেয়াল করলে দেখা যায় আকর্ষন+বিকর্ষণ+ প্রায় সকল ধরনের বলই এই স্পেস-টাইমের গর্তের উপরই নির্ভর করছে। গর্তই তৈরি করছে বল। যার কারণে এই মহাবিশ্ব এতো সুশীলভাবে চলছে,রহস্যজনকভাবে,সুন্দরভাবে।

ব্ল্যাকহোলও স্পেস-টাইমকে কাজে লাগিয়েই সমস্ত কিছুকে গ্রাস করে।যেহেতু ব্ল্যাকহোলগুলো মহাবিশ্বের সবচেয়ে ভারী বস্তুগুলো হিসেবে কাজ করে তাই এরা স্পেস-টাইমকে এতোই বাকায় যে তা ছিদ্রের ন্যায় হয়ে যায়।যার দরুন, উহার ভিতরে কিছু চলে গেলে তার ফিরে আসার মতো শক্তি থাকেনা।আলো 3X10^8 মি/সে. গতি নিয়েও তা থেকে বের হতে পারেনা। কেনো পারেনা? যেহেতু আলো মূলত ফোটন কণার প্রবাহ। আর কণা অবশ্যই স্পেস-টাইমের ফাঁদে পা দিতেই পারে, দেওয়াটাই স্বাভাবিক।
@Harun Rashid
0 টি ভোট
করেছেন (28,310 পয়েন্ট)
পূনঃপ্রদর্শিত করেছেন
যেভাবে আপনি একটি বল আকাশের দিকে ছুড়ে দিলে এটি কিছুক্ষনের জন্যে শূন্যে ভেসে থাকবে, সেভাবেই সবকিছু আকাশে ভেসে আছে বা (আসলে বলা দরকার যে) ভেসে বেড়াচ্ছে।

 

মানে, আপনার ছুড়ে দেয়া বলটি যেমন প্রথমে উপরের দিকে উঠবে, ধীরে ধীরে তার গতির দিক পরিবর্তন হবে, তারপর একসময় পৃথিবীতে ফিরে আসবে। ততক্ষণে কিছু সময় অতিবাহিত হয়ে যাবে। বলটি উপরের দিকে ছুড়ে দেয়ার পর থেকে আবার ভূমিতে ফিরে আসতে কতক্ষণ লাগবে, সেটা নির্ভর করছে আপনি কত গতিতে তাকে ছুড়তে পেরেছেন, তার উপর। কিন্তু সময় যত কম-বেশিই হোক না কেন, আপনি কিন্তু নিশ্চিতভাবেই বলতে পারেন যে, বলটা কিছুক্ষণ শূন্যে ভাসমান ছিল।

 

আকাশের সব বস্তুই এভাবে একটা আদিবেগ প্রাপ্ত হয়ে, তারপর কারো না কারো দিকে পড়ে যাওয়া টর চেষ্টা করছে। কিন্তু কারো কারো জন্যে সময়টা লাগছে বেশী। কারণ, তাদের পড়ে যাওয়ার দিকটা এমনভাবে বাঁকানো, যে তাদের ক্ষেত্রে সময়টা লাগছে অত্যাধিক। এভাবে সবকিছুই কিন্তু মাত্র কিছু সময়ের জন্যেই ভেসে বেড়াচ্ছে।

 

আসলে ভেসে বেড়াচ্ছে মানে হলো- সবাই পদার্থবিদ্যার নিয়ম মেনে অন্য সবার দিকে একটা পড়ে যাচ্ছে। সবাই একে অপরের দিকে পড়ে যেতে চাইছে, কিন্তু আদি বেগের কারণে পারছে না। “পারছে না” মানে সময়টা অনেক বেশি লাগছে।

 

লক্ষ্য করুন যে, আপনার ছুড়ে দেয়া বলটি যেমন সাময়িক কিছু সময়ের জন্যে আকাশে ভেসে ছিল, সবাই তেমন কিছু সময়ের জন্যেই ভেসে আছে। গতির দিক এবং আদি ভরবেগের কারণে এই “কিছু সময়” টা একেকজনের একেক রকম।

 

যাদের এই সময়টা কম, তারা অল্প সময়ের মধ্যে অন্যের সাথে মিশে যাচ্ছে।

যাদের আদি ভরবেগ বেশি, তারা আকর্ষন বলের সীমা কাটিয়ে দুরে চলে যাচ্ছে।

এই দুয়ের কাউকেই কিন্তু আমরা বহুকাল ধরে ঘুরতে দেখছি না, কারণ তারা হয় অধিক ভরের বস্তুটির সঙ্গে মিশে যাচ্ছে, নয়ত ছিটকে বহু দুরে হারিয়ে যাচ্ছে। আমরা তাদেরকে ঘূর্ণায়মান বস্তু বলে মনেই করি না।

 

বাকী যারা ফিরেও আসছে না আবার ছেড়েও চলে যাচ্ছে না (সেরকম কেউ নেই আসলে) তাদেরকে আমরা অনেকদিন ধরে একই নিয়মে চলতে দেখার সুযোগ পাচ্ছি। আর ভাবছি যে তারা ঘুরছে।

 

পৃথিবীর চারপাশে আমরা একটি সাময়িক স্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করতে দেখছি, কিন্তু কোনকিছুই চিরস্থায়ী নয়। সুদীর্ঘ কাল ধরে অনেক অনেক তোলপাড় হয়েছে, আরো অনেক তোলপাড় এখনো হচ্ছে, আরো অনেক তোলপাড় হতেই থাকবে।

 

এরই মাঝে ক্ষুদ্র একটি সময়ের জন্য জীবনের বিকাশ হয়েছে এবং আমরা একটি গোলযোগপূর্ণ ঘটনাপ্রবাহের একটুখানি খণ্ডচিত্রকেই সাময়িকভাবে স্থিতিশীল বলে ভাবছি, কারণ আমাদের সময়ের জ্ঞান মহাবিশ্বের সময়ের মাপের তুলনায় অত্যাধিক ক্ষুদ্র।

 

এবার বৈজ্ঞানিক কারণটা বলি। কেন ফ্রি-ফল মানেই একটা ছুড়ে দেয়া বলের মত ধুপ করে পড়ে যাওয়া নয়। ফ্রি-ফল আরও অনেক রকম হতে পারে। চলুন দেখে নিই।

 

মনে করুন আপনি একটি উঁচু স্থানে (এভারেস্টের চূড়ায় বা উঁচু দালানের ছাদে) দাঁড়িয়ে আছেন। ওখান থেকে একটি বলকে ছেড়ে দিলেন। বলটি তখন সোজা নিচে নেমে গেল।

 

 

বলটি পড়ন্ত বস্তুর সূত্র মেনে সোজা নিচে পড়ছে।

 

পরের বার বলটিকে শুধু ছেড়ে না দিয়ে, আলতো করে পূর্বদিকে ছুড়ে মারলেন, এবারও বলটি নিচে পড়বে, তবে একটু দুরে গিয়ে পড়বে।

 

 

বলটিকে যেদিকে ছুড়ে দিলেন, সেদিকে একটু এগিয়ে যাচ্ছে। একই সাথে কিন্তু পড়েও যাচ্ছে।

 

এবার আপনি যদি আরেকটু বেশি শক্তি দিয়ে আরো জোরে ছুড়তে পারেন, তাহলে সেটি আরো দুরে গিয়ে পড়বে। তাই না? এই যে নিচের ছবিতে দেখুন।

 

 

এবার আরও জোরে যদি ছুড়তে পারেন বলটিকে, খুব স্বাভাবিকভাবেই সেটি আরো দূরে গিয়ে পড়বে। নিচের ছবিতে বেশি দূরত্ব বোঝাতে আপনার উচ্চতা কমিয়ে দেখানো হয়েছে।

 

 

এর পরের বার আরও জোরে ছুড়তে পারবেন? এবার একই ঘটনা ঘটবে। কিন্তু দেখুন যে, বলটি পড়ার সাথে সাথে পৃথিবীর নিজের পৃষ্ঠতলের বক্রতা দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে।

 

 

আপনি নিশ্চয় ধারনা করতে পারছেন যে, এবার বলটিকে আরও জোরে ছুড়লে ঘটনা কী হবে!

 

 

এভাবে আপনি যদি আরো বেশি শক্তি দিয়ে ছুড়ে মারতে পারেন, তাহলে দেখা যাবে বলটি আসলে পড়ছে ঠিকই, কিন্তু পৃথিবীর গোলকীয় তলকে কিছুতেই স্পর্শ করতে পারছে না। যতোই সামনে যাচ্ছে আর পড়ে যেতে চেষ্টা করছে, পৃথিবীর পৃষ্ঠ ততোই দুরে থাকছে। ফলে পুরো ৩৬০ ডিগ্রী ঘুরে বলটি একসময় আবার পশ্চিম দিক দিয়ে আপনার কাছে ফেরত চলে আসছে।

 

 

এখানে পৃথিবীকে একটা সুষম গোলক ধরা হয়েছে এবং বাতাস বা অন্য সব বাঁধাকে অস্বীকার করা হয়েছে। কারণ, অনেক দূর দিয়ে পৃথিবীকে কেন্দ্র করে যারা ঘুরছে, তাদের ক্ষেত্রে এগুলো প্রযোজ্য হয় না।

 

তো ওভাবেই, ওই একই নিয়মে পৃথিবীর চারপাশে চাঁদ ঘুরছে, আর ওভাবেই পৃথিবীও (চাঁদ সহ) ঘুরছে সুর্যের চারপাশে।

 

থেমে থাকতে পারবে না কেউ। থেমে গেলেই আর ঘুরতে পারবে না, যার চারপাশে ঘোরার কথা, কিছুক্ষনের মধ্যেই তার সাথে মিশে যাবে। এভাবে বহুযুগ ধরে বহুরকমের বস্তু একসাথে মিশেই বড় বড় জিনিসের জন্ম হয়েছে। এখনো মিশে যাচ্ছে। তার মধ্যে কেউ কেউ মোটামুটি স্থিতিশীলভাবে ঘুরলে, তারাই কেবল আমাদের নজরে আসে।

 

এখন চিন্তা করুন, আরো বেশি বেগে যদি ছুড়তেন বলটাকে, ও বেচারা ধীরে ধীরে দুরে চলে যেত পৃথিবী থেকে। ঘুরত ঠিকই, কিন্তু আবার দুরে চলে যেতেও থাকত।

 

 

রকেট ছোড়ার ব্যাপারটি অনেকটা এভাবেই কাজ করে।

 

এখন যে কিনা পৃথিবীতে ফিরে এসে আছড়ে পড়ল তাকে আপনি ভাববেন পৃথিবীর অংশ। আর যে চলে গেল তাকে পরবর্তীতে আর ফিরে আসতে দেখতে পেলেন না, তাই জানতেও পারবেন না তার কথা।

 

আর বাকি যারা একটা মোটামুটি সাম্যাবস্থা তৈরী করতে পারল, তাদেরকে ভাবলেন যে এরা একেবারে হাতে ধরে হিসেব করে বসানো, যাতে ঘুরতে থাকে, পড়েও না যায় আবার সরেও না যায়। আসলে সবাই পড়ছে বা দুরে চলে যাচ্ছে। কারো কারো সময়টা খুব বেশি লাগছে। সেকারণে মনে হচ্ছে তারা বুঝি ঘুরছে আর চিরকাল ঘুরতেই থাকবে।

 

এখন একটা প্রশ্ন থাকে যে, ঘুর্ণায়মান বস্তুগুলোর এই আদি বেগটি এলো কোথা থেকে, কে ছুড়ে দিল প্রথমে!

 

আসলে দুটো বস্তু বহু দুর থেকে যখন একে অপরের আকর্ষণে, একে অপরের দিকে পড়তে শুরু করে, সেটা কখনো কখনো যেমন একেবারে মুখোমুখি হতে পারে, ফলে একটা ক্র্যাশ-ল্যান্ডিং ঘটে। আবার কখনো কখনো একেবারে মুখোমুখি হয় না, পাশ কেটে চলে যায় দুরে। একে অপরের দিকে পড়ার সময় পরস্পরের আকর্ষণে তাদের গতি বাড়তে থাকে, সেই গতিতে বহুদুর ছুটে চলে যায়, আবার বহুদিন পর অন্য পাশ দিয়ে ফিরে আসতে থাকে। এভাবেই চলতে থাকে যুগের পর যুগ। কেউ কেউ ধীরে ধীরে দুরে যাওয়ার পরিমান কমাতে থাকে এবং একসময় প্রায় বৃত্তাকার পথে ঘুরতে থাকে। কিন্তু কারো পথই পুরোপুরি বৃত্তাকার হতে পারে না।

 

যেমন - হ্যালির ধুমকেতু ৭০-৮০ বছর পরে পরে ফিরে আসে, আবার ছুটে চলে যায় দুরে কোথাও। তারপর আবার সেদিক থেকে ছুটে আসতে থাকে। একেবারে পৃথিবীর দিকে মুখ করে যদি আসত, তাহলে আমরা বহু আগেই ওকে হারাতাম, ঘুরতে দেখতাম না কখনো।

 

চাঁদ আর পৃথিবীর কথা তো বললাম। সৌরজগতে আরো বহু জিনিস আছে, যারা তাদের বর্তমান আকৃতি পাওয়ার বহু আগে থেকে ঘুরছে। একেবারে যখন গ্যাসের মেঘ ছিল, বা ধূলিকণার মেঘ ছিল, তখন থেকে। কারণ সেই একই - আকর্ষনের কারণে ফ্রি-ফল, অন্যের আকর্ষনে সেটা আবার কিছুটা বিচ্যুত হওয়া, তারপর ধাক্কা খাওয়া থেকে বেঁচে গেলেই একটা কিছু হবে। পৃথিবীর বর্তমান আকৃতি এবং বিশাল জলরাশি তৈরী হয়েছে এরকম বহু বস্তুর আছড়ে পড়ার কারণে। এই প্রক্রিয়া এখনো চলমান। ৪৫০ কোটি বছর ধরে একেকটি বস্তুর আবির্ভাবে আমাদের এই বর্তমান অবস্থা।

 

এরকম পুরো সৌরজগৎটাও একটা সংঘবদ্ধ বস্তু হিসেবে ঘুরছে গ্যালাক্সীর কেন্দ্রের চারপাশে। আকাশে আমরা যত তারা দেখি, সেগুলো আমাদের গ্যালাক্সির খুব ক্ষুদ্র একটা অংশ, তারাও একই কারণে ঘুরছে গ্যালাক্সীর কেন্দ্রের কোন বৃহৎ বস্তু বা বস্তুসমূহের চারপাশে।

 

অ্যান্ড্রোমিডা আর আমাদের মিল্কীওয়ে - এরাও পরস্পরের আকর্ষণে একে অপরের দিকে পড়ে যাচ্ছে এবং একটি অবধারিত সংঘর্ষের দিকে এগোচ্ছে। যদিও সেই সংঘর্ষ হতে বহু দেরী আর সেটা হলেই যে আমাদের পৃথিবী বা সৌরজগৎ খুব নড়েচড়ে উঠবে এমন নাও হতে পারে। কারণ, অধিকাংশ জায়গায় তো ফাঁকা।

 

আর গ্যালাক্সীগুলোর মধ্যে আরো অন্যধরনের আরো কিছু বল নাকি কাজ করে, যার কারণ স্থানের প্রসারণ ঘটে আর মহাজগতের ব্যপ্তি বাড়ে, সেসম্পর্কে আমরা তেমন কিছু এখনো জানি না।

- পার্থিব প্রকাশ
0 টি ভোট
করেছেন (28,310 পয়েন্ট)

যেভাবে আপনি একটি বল আকাশের দিকে ছুড়ে দিলে এটি কিছুক্ষনের জন্যে শূন্যে ভেসে থাকবে, সেভাবেই সবকিছু আকাশে ভেসে আছে বা (আসলে বলা দরকার যে) ভেসে বেড়াচ্ছে।

মানে, আপনার ছুড়ে দেয়া বলটি যেমন প্রথমে উপরের দিকে উঠবে, ধীরে ধীরে তার গতির দিক পরিবর্তন হবে, তারপর একসময় পৃথিবীতে ফিরে আসবে। ততক্ষণে কিছু সময় অতিবাহিত হয়ে যাবে। বলটি উপরের দিকে ছুড়ে দেয়ার পর থেকে আবার ভূমিতে ফিরে আসতে কতক্ষণ লাগবে, সেটা নির্ভর করছে আপনি কত গতিতে তাকে ছুড়তে পেরেছেন, তার উপর। কিন্তু সময় যত কম-বেশিই হোক না কেন, আপনি কিন্তু নিশ্চিতভাবেই বলতে পারেন যে, বলটা কিছুক্ষণ শূন্যে ভাসমান ছিল।

আকাশের সব বস্তুই এভাবে একটা আদিবেগ প্রাপ্ত হয়ে, তারপর কারো না কারো দিকে পড়ে যাওয়া টর চেষ্টা করছে। কিন্তু কারো কারো জন্যে সময়টা লাগছে বেশী। কারণ, তাদের পড়ে যাওয়ার দিকটা এমনভাবে বাঁকানো, যে তাদের ক্ষেত্রে সময়টা লাগছে অত্যাধিক। এভাবে সবকিছুই কিন্তু মাত্র কিছু সময়ের জন্যেই ভেসে বেড়াচ্ছে।

আসলে ভেসে বেড়াচ্ছে মানে হলো- সবাই পদার্থবিদ্যার নিয়ম মেনে অন্য সবার দিকে একটা পড়ে যাচ্ছে। সবাই একে অপরের দিকে পড়ে যেতে চাইছে, কিন্তু আদি বেগের কারণে পারছে না। “পারছে না” মানে সময়টা অনেক বেশি লাগছে।

লক্ষ্য করুন যে, আপনার ছুড়ে দেয়া বলটি যেমন সাময়িক কিছু সময়ের জন্যে আকাশে ভেসে ছিল, সবাই তেমন কিছু সময়ের জন্যেই ভেসে আছে। গতির দিক এবং আদি ভরবেগের কারণে এই “কিছু সময়” টা একেকজনের একেক রকম।

  • যাদের এই সময়টা কম, তারা অল্প সময়ের মধ্যে অন্যের সাথে মিশে যাচ্ছে।
  • যাদের আদি ভরবেগ বেশি, তারা আকর্ষন বলের সীমা কাটিয়ে দুরে চলে যাচ্ছে।

এই দুয়ের কাউকেই কিন্তু আমরা বহুকাল ধরে ঘুরতে দেখছি না, কারণ তারা হয় অধিক ভরের বস্তুটির সঙ্গে মিশে যাচ্ছে, নয়ত ছিটকে বহু দুরে হারিয়ে যাচ্ছে। আমরা তাদেরকে ঘূর্ণায়মান বস্তু বলে মনেই করি না।

বাকী যারা ফিরেও আসছে না আবার ছেড়েও চলে যাচ্ছে না (সেরকম কেউ নেই আসলে) তাদেরকে আমরা অনেকদিন ধরে একই নিয়মে চলতে দেখার সুযোগ পাচ্ছি। আর ভাবছি যে তারা ঘুরছে।

পৃথিবীর চারপাশে আমরা একটি সাময়িক স্থিতিশীল অবস্থা বিরাজ করতে দেখছি, কিন্তু কোনকিছুই চিরস্থায়ী নয়। সুদীর্ঘ কাল ধরে অনেক অনেক তোলপাড় হয়েছে, আরো অনেক তোলপাড় এখনো হচ্ছে, আরো অনেক তোলপাড় হতেই থাকবে।

এরই মাঝে ক্ষুদ্র একটি সময়ের জন্য জীবনের বিকাশ হয়েছে এবং আমরা একটি গোলযোগপূর্ণ ঘটনাপ্রবাহের একটুখানি খণ্ডচিত্রকেই সাময়িকভাবে স্থিতিশীল বলে ভাবছি, কারণ আমাদের সময়ের জ্ঞান মহাবিশ্বের সময়ের মাপের তুলনায় অত্যাধিক ক্ষুদ্র।

এবার বৈজ্ঞানিক কারণটা বলি। কেন ফ্রি-ফল মানেই একটা ছুড়ে দেয়া বলের মত ধুপ করে পড়ে যাওয়া নয়। ফ্রি-ফল আরও অনেক রকম হতে পারে। চলুন দেখে নিই।

মনে করুন আপনি একটি উঁচু স্থানে (এভারেস্টের চূড়ায় বা উঁচু দালানের ছাদে) দাঁড়িয়ে আছেন। ওখান থেকে একটি বলকে ছেড়ে দিলেন। বলটি তখন সোজা নিচে নেমে গেল।

image

বলটি পড়ন্ত বস্তুর সূত্র মেনে সোজা নিচে পড়ছে।

পরের বার বলটিকে শুধু ছেড়ে না দিয়ে, আলতো করে পূর্বদিকে ছুড়ে মারলেন, এবারও বলটি নিচে পড়বে, তবে একটু দুরে গিয়ে পড়বে।

image

বলটিকে যেদিকে ছুড়ে দিলেন, সেদিকে একটু এগিয়ে যাচ্ছে। একই সাথে কিন্তু পড়েও যাচ্ছে।

এবার আপনি যদি আরেকটু বেশি শক্তি দিয়ে আরো জোরে ছুড়তে পারেন, তাহলে সেটি আরো দুরে গিয়ে পড়বে। তাই না? এই যে নিচের ছবিতে দেখুন।

image

এবার আরও জোরে যদি ছুড়তে পারেন বলটিকে, খুব স্বাভাবিকভাবেই সেটি আরো দূরে গিয়ে পড়বে। নিচের ছবিতে বেশি দূরত্ব বোঝাতে আপনার উচ্চতা কমিয়ে দেখানো হয়েছে।

image

এর পরের বার আরও জোরে ছুড়তে পারবেন? এবার একই ঘটনা ঘটবে। কিন্তু দেখুন যে, বলটি পড়ার সাথে সাথে পৃথিবীর নিজের পৃষ্ঠতলের বক্রতা দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে।

image

আপনি নিশ্চয় ধারনা করতে পারছেন যে, এবার বলটিকে আরও জোরে ছুড়লে ঘটনা কী হবে!

image

এভাবে আপনি যদি আরো বেশি শক্তি দিয়ে ছুড়ে মারতে পারেন, তাহলে দেখা যাবে বলটি আসলে পড়ছে ঠিকই, কিন্তু পৃথিবীর গোলকীয় তলকে কিছুতেই স্পর্শ করতে পারছে না। যতোই সামনে যাচ্ছে আর পড়ে যেতে চেষ্টা করছে, পৃথিবীর পৃষ্ঠ ততোই দুরে থাকছে। ফলে পুরো ৩৬০ ডিগ্রী ঘুরে বলটি একসময় আবার পশ্চিম দিক দিয়ে আপনার কাছে ফেরত চলে আসছে।

image

এখানে পৃথিবীকে একটা সুষম গোলক ধরা হয়েছে এবং বাতাস বা অন্য সব বাঁধাকে অস্বীকার করা হয়েছে। কারণ, অনেক দূর দিয়ে পৃথিবীকে কেন্দ্র করে যারা ঘুরছে, তাদের ক্ষেত্রে এগুলো প্রযোজ্য হয় না।

তো ওভাবেই, ওই একই নিয়মে পৃথিবীর চারপাশে চাঁদ ঘুরছে, আর ওভাবেই পৃথিবীও (চাঁদ সহ) ঘুরছে সুর্যের চারপাশে।

থেমে থাকতে পারবে না কেউ। থেমে গেলেই আর ঘুরতে পারবে না, যার চারপাশে ঘোরার কথা, কিছুক্ষনের মধ্যেই তার সাথে মিশে যাবে। এভাবে বহুযুগ ধরে বহুরকমের বস্তু একসাথে মিশেই বড় বড় জিনিসের জন্ম হয়েছে। এখনো মিশে যাচ্ছে। তার মধ্যে কেউ কেউ মোটামুটি স্থিতিশীলভাবে ঘুরলে, তারাই কেবল আমাদের নজরে আসে।

এখন চিন্তা করুন, আরো বেশি বেগে যদি ছুড়তেন বলটাকে, ও বেচারা ধীরে ধীরে দুরে চলে যেত পৃথিবী থেকে। ঘুরত ঠিকই, কিন্তু আবার দুরে চলে যেতেও থাকত।

image

রকেট ছোড়ার ব্যাপারটি অনেকটা এভাবেই কাজ করে।

এখন যে কিনা পৃথিবীতে ফিরে এসে আছড়ে পড়ল তাকে আপনি ভাববেন পৃথিবীর অংশ। আর যে চলে গেল তাকে পরবর্তীতে আর ফিরে আসতে দেখতে পেলেন না, তাই জানতেও পারবেন না তার কথা।

আর বাকি যারা একটা মোটামুটি সাম্যাবস্থা তৈরী করতে পারল, তাদেরকে ভাবলেন যে এরা একেবারে হাতে ধরে হিসেব করে বসানো, যাতে ঘুরতে থাকে, পড়েও না যায় আবার সরেও না যায়। আসলে সবাই পড়ছে বা দুরে চলে যাচ্ছে। কারো কারো সময়টা খুব বেশি লাগছে। সেকারণে মনে হচ্ছে তারা বুঝি ঘুরছে আর চিরকাল ঘুরতেই থাকবে।

এখন একটা প্রশ্ন থাকে যে, ঘুর্ণায়মান বস্তুগুলোর এই আদি বেগটি এলো কোথা থেকে, কে ছুড়ে দিল প্রথমে!

আসলে দুটো বস্তু বহু দুর থেকে যখন একে অপরের আকর্ষণে, একে অপরের দিকে পড়তে শুরু করে, সেটা কখনো কখনো যেমন একেবারে মুখোমুখি হতে পারে, ফলে একটা ক্র্যাশ-ল্যান্ডিং ঘটে। আবার কখনো কখনো একেবারে মুখোমুখি হয় না, পাশ কেটে চলে যায় দুরে। একে অপরের দিকে পড়ার সময় পরস্পরের আকর্ষণে তাদের গতি বাড়তে থাকে, সেই গতিতে বহুদুর ছুটে চলে যায়, আবার বহুদিন পর অন্য পাশ দিয়ে ফিরে আসতে থাকে। এভাবেই চলতে থাকে যুগের পর যুগ। কেউ কেউ ধীরে ধীরে দুরে যাওয়ার পরিমান কমাতে থাকে এবং একসময় প্রায় বৃত্তাকার পথে ঘুরতে থাকে। কিন্তু কারো পথই পুরোপুরি বৃত্তাকার হতে পারে না।

যেমন - হ্যালির ধুমকেতু ৭০-৮০ বছর পরে পরে ফিরে আসে, আবার ছুটে চলে যায় দুরে কোথাও। তারপর আবার সেদিক থেকে ছুটে আসতে থাকে। একেবারে পৃথিবীর দিকে মুখ করে যদি আসত, তাহলে আমরা বহু আগেই ওকে হারাতাম, ঘুরতে দেখতাম না কখনো।

চাঁদ আর পৃথিবীর কথা তো বললাম। সৌরজগতে আরো বহু জিনিস আছে, যারা তাদের বর্তমান আকৃতি পাওয়ার বহু আগে থেকে ঘুরছে। একেবারে যখন গ্যাসের মেঘ ছিল, বা ধূলিকণার মেঘ ছিল, তখন থেকে। কারণ সেই একই - আকর্ষনের কারণে ফ্রি-ফল, অন্যের আকর্ষনে সেটা আবার কিছুটা বিচ্যুত হওয়া, তারপর ধাক্কা খাওয়া থেকে বেঁচে গেলেই একটা কিছু হবে। পৃথিবীর বর্তমান আকৃতি এবং বিশাল জলরাশি তৈরী হয়েছে এরকম বহু বস্তুর আছড়ে পড়ার কারণে। এই প্রক্রিয়া এখনো চলমান। ৪৫০ কোটি বছর ধরে একেকটি বস্তুর আবির্ভাবে আমাদের এই বর্তমান অবস্থা।

এরকম পুরো সৌরজগৎটাও একটা সংঘবদ্ধ বস্তু হিসেবে ঘুরছে গ্যালাক্সীর কেন্দ্রের চারপাশে। আকাশে আমরা যত তারা দেখি, সেগুলো আমাদের গ্যালাক্সির খুব ক্ষুদ্র একটা অংশ, তারাও একই কারণে ঘুরছে গ্যালাক্সীর কেন্দ্রের কোন বৃহৎ বস্তু বা বস্তুসমূহের চারপাশে।

অ্যান্ড্রোমিডা আর আমাদের মিল্কীওয়ে - এরাও পরস্পরের আকর্ষণে একে অপরের দিকে পড়ে যাচ্ছে এবং একটি অবধারিত সংঘর্ষের দিকে এগোচ্ছে। যদিও সেই সংঘর্ষ হতে বহু দেরী আর সেটা হলেই যে আমাদের পৃথিবী বা সৌরজগৎ খুব নড়েচড়ে উঠবে এমন নাও হতে পারে। কারণ, অধিকাংশ জায়গায় তো ফাঁকা।

আর গ্যালাক্সীগুলোর মধ্যে আরো অন্যধরনের আরো কিছু বল নাকি কাজ করে, যার কারণ স্থানের প্রসারণ ঘটে আর মহাজগতের ব্যপ্তি বাড়ে, সেসম্পর্কে আমরা তেমন কিছু এখনো জানি না।

- পার্থিব প্রকাশ

0 টি ভোট
করেছেন (5,600 পয়েন্ট)

View other drafts

 

volume_up

গ্রহ, নক্ষত্র এবং অন্যান্য মহাকাশীয় বস্তুর মহাশূন্যে ভেসে থাকার কারণ হল মহাকর্ষ। মহাকর্ষ হল একটি আকর্ষণীয় শক্তি যা দুটি বস্তুর মধ্যে ক্রিয়া করে। দুটি বস্তুর ভর যত বেশি হবে, তাদের মধ্যে মহাকর্ষ তত বেশি হবে।

গ্রহ এবং নক্ষত্রগুলি তাদের নিজস্ব সূর্যের চারপাশে ঘোরে। এই ঘূর্ণন তাদের নিজস্ব মহাকর্ষ দ্বারা প্রভাবিত হয়। গ্রহ এবং নক্ষত্রগুলির নিজস্ব মহাকর্ষ তাদেরকে তাদের সূর্যের চারপাশে ঘোরানোর জন্য যথেষ্ট শক্তি প্রদান করে।

গ্রহ এবং নক্ষত্রগুলির মধ্যে মহাকর্ষীয় শক্তিও তাদেরকে তাদের নিজস্ব কক্ষপথগুলিতে ধরে রাখে। এই শক্তি তাদেরকে তাদের কক্ষপথ থেকে বেরিয়ে যেতে বাধা দেয়।

মহাশূন্যের অন্যান্য বস্তুর মধ্যে, যেমন ধূমকেতু এবং গ্রহাণু, তাদের নিজস্ব মহাকর্ষ নেই। এই বস্তুগুলিকে তাদের কক্ষপথগুলিতে ধরে রাখতে সূর্যের মহাকর্ষীয় শক্তির প্রয়োজন হয়।

মহাশূন্যে ভেসে থাকা বস্তুগুলির জন্য মহাকর্ষ হল একটি গুরুত্বপূর্ণ শক্তি। এটি তাদেরকে তাদের কক্ষপথগুলিতে ধরে রাখে এবং মহাশূন্যে তাদের চলাচলের পথ নির্ধারণ করে।

মহাশূন্যে ভেসে থাকা বস্তুগুলির জন্য মহাকর্ষের প্রভাবের কিছু উদাহরণ হল:

  • গ্রহ এবং নক্ষত্রগুলি তাদের সূর্যের চারপাশে ঘোরে।
  • গ্রহাণু এবং ধূমকেতু তাদের কক্ষপথে থাকে।
  • উল্কাপথ পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে এবং পুড়ে যায়।
  • সূর্যের আলো পৃথিবীর পৃষ্ঠে পৌঁছায়।

মহাকর্ষ হল মহাবিশ্বের একটি মৌলিক শক্তি। এটি মহাবিশ্বে ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+1 টি ভোট
1 উত্তর 460 বার দেখা হয়েছে
+1 টি ভোট
4 টি উত্তর 659 বার দেখা হয়েছে
+1 টি ভোট
3 টি উত্তর 248 বার দেখা হয়েছে
27 ডিসেম্বর 2021 "জ্যোতির্বিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Rishad Ud Doula (5,760 পয়েন্ট)

10,772 টি প্রশ্ন

18,455 টি উত্তর

4,742 টি মন্তব্য

263,054 জন সদস্য

98 জন অনলাইনে রয়েছে
0 জন সদস্য এবং 98 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Tasfima Jannat

    110 পয়েন্ট

  2. rhb88

    100 পয়েন্ট

  3. ae888sporkonline

    100 পয়েন্ট

  4. Sonia162994

    100 পয়েন্ট

  5. IBWAlva03064

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত #ask আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী চিকিৎসা #science পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...