অতিরিক্ত চিন্তা থেকে মুক্তির উপায় কী? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+3 টি ভোট
4,867 বার দেখা হয়েছে
"স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা" বিভাগে করেছেন (28,310 পয়েন্ট)

2 উত্তর

+2 টি ভোট
করেছেন (28,310 পয়েন্ট)

আজ Over Thinking নিয়ে একটু আলোচনা করি। লেখাগুলো বিভিন্ন জায়গায় স্টাডি করে লিখলাম।

প্রথমেই জানবো, ওভার থিংকিং আসলে কি?

মানুষ মাত্রই চিন্তাশক্তির অধিকারী। আমরা সকলেই জানি সকল কাজই চিন্তাভাবনা করে করা উচিত। ব্যবসায় শুরু করবার পূর্বেও পরিকল্পনা জরুরি। এই পরিকল্পনাও চিন্তাভাবনার ফল। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমরা কোনো ছোট খাটো বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করতে শুরু করি। যেটা প্রয়োজন নেই। অর্থাৎ প্রয়োজনের অতিরিক্ত কোনো বিষয় নিয়ে চিন্তা করাটাকেই বলা হয় ওভার থিংকিং (over thinking)।

এই অতিরিক্ত চিন্তার(over thinking) ফলে পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়াসহ অনেক ধরনের শারীরিক এবং মানসিক সমস্যা তৈরি হতে পারে। এবং এক পর্যায়ে সেটা মানসিক অবসাদ(Depression) এ রূপ নিতে পারে। তাই মানসিক অবসাদ বা ডিপ্রেশন থেকে বাঁচতে ওভার থিংকিং করা বন্ধ করতে হবে।

এবারজানবো ওভার থিংকিং থেকে মুক্তির উপায়:

ওভার থিংকিং থেকে মুক্তি পেতে হলে নিচের বিষয়গুলো ফলো করে দেখতে পারেন।

১/ মানুষের সম্পর্কে পজেটিভ চিন্তা করুন। প্রত্যেক মানুষেরই ভালো খারাপ দুই দিকই বিদ্যমান। মানুষের ভালো দিক গুলো দেখুন। খারাপ দিক গুলো ইগনোর করুন। এতে আপনার মধ্যে পজেটিভ চিন্তার প্রবণতা বৃদ্ধি পাবে।

২/ পর্যাপ্ত শারীরিক ব্যায়াম করুন। প্রতিদিন ১৫/২০ মিনিট হলেও নিয়মিত ব্যায়াম করুন। এতে শরীর মন দুইই ফ্রেশ থাকে।

৩/ নিজেকে যতোটা সময় সম্ভব বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত রাখুন। ঘর গুছান। বাগান করুন। সেলাই করুন। পোষা প্রাণীর যত্ন নিন। ফ্যামিলি মেম্বারদের সাথে গল্প করুন।

৪/ যে কাজগুলো করতে আপনি পছন্দ করেন সেগুলো আবার করতে শুরু করুন। ছবি আঁকতে পারেন, গল্পের বই পড়তে পারেন, গাছ ফুল প্রকৃতির ছবি তুলতে পারেন, সেল্ফি তুলতে পারেন, সাজগোজ করতে পারেন।

৫/ নতুন নতুন মানুষের সাথে মিশুন, অন্যের সমস্যার কথা মন দিয়ে শুনুন। এটা সত্যি, অন্যের সমস্যা শুনলেই বোঝা যায়, আমার সমস্যাটা আসলে অনেক ছোট সমস্যা।

৬/ সব দায়িত্ব নিজে না নিয়ে দায়িত্ব বন্টন করে দিন। কয়েকজনের মাঝে দায়িত্ব বন্টন করে দিলে নিজের দুশ্চিন্তা অনেকাংশেই কমে যায়।

৭/ মেডিটেশন করতে পারেন। মেডিটেশন বা ধ্যান করলে শরীর ও মনে প্রশান্তি আসে। মনে প্রশান্তি আসলে যেকোনো কাজ সহজ হয়ে যায়।

এছাড়াও নিয়মিত রুটিন করে সব কাজ করতে পারেন। আরো কোনো অপশন আপনার জানা থাকলে আমাকে বলতে পারেন। আমিও অনেক ওভার থিংকিং করি মাঝেমাঝে। ওভার থিংকিং থেকে বের হতে না পারলে আসলে কোনো কিছুতেই শান্তি পাওয়া যায় না। এমনকি বিজনেস পরিকল্পনাতেও মনোনিবেশ করা কষ্টকর হয়ে যায়। মন ফ্রেশ থাকলে সব ঠিক থাকে।

 

ক্রেডিট: রশ্মি শাহ (কোরা)

+1 টি ভোট
করেছেন (12,550 পয়েন্ট)

আমরা অনেকে অতিরিক্ত টেনশন এবং অহেতুক উদ্বেগে ভুগি। অতিচিন্তা ও ভাবুক এই শব্দ দুইটি কিন্তু এক নয়। আমরা যারা আমাদের এই অহেতুক দুশ্চিন্তা করার সমস্যাটিকে সাধারণ ভাবুক হয়ে যাওয়া ভাবছি। তারা কিন্তু অনেক বড় ভুল করছি। শৈল্পিক মনের মানুষেরা যখন তখন ভাবুক হয়ে যেতে পারেন, যখন তখন কল্পনার সাগরে ডুব দিতে পারেন। কিন্তু যারা সবসময়েই চিন্তাযুক্ত থাকেন তাদের সমস্যাটা একদমই আলাদা। সাধারণত কল্পনাবিলাসী মন মানসিকতার মানুষেরা কল্পনাপ্রবণ হয়ে থাকেন।

তারা তাদের ভাবনা বিলাসী মনে কল্পনার রঙ মিশিয়ে ও কবিত্বতা দিয়ে স্বপ্নের জগত তৈরি করে নেন। কারণ এরা শিল্পী মনের অধিকারী হয়ে থাকেন। কিন্তু যারা সারাক্ষণই অতি ক্ষুদ্র ব্যপার থেকে শুরু করে অতি বৃহৎ ব্যপার পর্যন্ত সকল ব্যপারেই অহেতুক চিন্তা করেন তাদের বেশির ভাগই নানা রকম মানসিক ও শারীরিক সমস্যায় ভোগেন। বেশির ভাগ সময়টাতেই চিন্তামগ্ন থাকার কারণে তারা ঠিকমতো ঘুমাতে পারেন না। কেননা ঘুমের মধ্যেও এদের মস্তিষ্ক চিন্তামগ্ন থাকে। মস্তিষ্ক বিশ্রাম পায় না। তখন মানুষ ব্রেইন স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক, উচ্চরক্ত চাপ ও ডায়বেটিসের মতো রোগে আক্রান্ত হয়ে যায়।

অকারণ চিন্তা, অহেতুক কল্পনা যারা করেন এটা তাদের অভ্যাসে পরিণত হয়ে যাচ্ছে। অহেতুক দুশ্চিন্তা হওয়ার কারণে এরা কাজে মন বসাতে পারেন না ফলে নানাবিধ সমস্যার সৃষ্টি হয়। এই সমস্যাটিকে বাড়তে না দিয়ে এর প্রতিকার করা অতীব জরুরী। আপনিও যদি এই সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্যই। তাহলে চলুন দেড়ি না করে জেনে নেই কেনো আপনারা অতি মাত্রায় দুশ্চিন্তায় ভুগছেন এবং কী এর প্রতিকার।

অহেতুক দুশ্চিন্তা হওয়ার কারণ ও প্রতিকার 

অহেতুক দুশ্চিন্তা হওয়ার কারণ 

নানান কারণেই এমনটা হতে পারে। তেমনি কিছু কারণ নিয়ে আমরা আজকে আলোচনা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেই অহেতুক দুশ্চিন্তা হওয়ার কিছু কারণ সম্পর্কে।

  • আপনার অতিপ্রিয় কিংবা কাছের কারো সাথে মনমালিন্য হলে আপনি সারাক্ষণই সেটা নিয়ে ভাবতে থাকেন। আশেপাশের অন্যান্যরা আপনাকে নিয়ে কি ভাবছে সেটা নিয়েও আপনি দুশ্চিন্তা করেন।
  • ঝগড়া কিংবা তর্কে হেরে গেলে আপনি সেটা নিয়ে অতিরিক্ত আত্মগ্লানিতে ভোগেন। রাতভর চিন্তা করতে থাকেন যে কি করলে বা কি বললে আপনি তর্কে কিংবা ঝগড়াটিতে জিতে যেতেন।
  • আপনি সারাক্ষণই এটা নিয়ে আতঙ্কিত থাকেন যে হয়তো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসে পরছে।
  • আশেপাশের কেউ কিছু বললে আপনি সেটার নেপথ্যের কারণ খুঁজতে থাকেন এবং এতে করে আপনার দুশ্চিন্তা বাড়ে।
  • আপনার সহকর্মী, বন্ধু কিংবা অন্যান্যদের চেয়ে আপনি কিভাবে বেশি ভালো করবেন সেটা নিয়েও আপনার চিন্তা আসে।
  • যদি, কিন্তু, অথচ এর মায়াজালে আবদ্ধ হয়ে জর্জরিত হয়ে যান আপনি।
  • জীবনে যা কিছু ভুল করেছেন তা বারবার মনে করে পিড়ায় ভুগতে থাকেন।
  • অতীতের ভুলত্রুটির কথা আপনি কখনোই ভুলতে পারেন না যা আপনার বরবাদের এক অন্যতম কারণ।

কিভাবে চিন্তামুক্ত হবেন? 

আপনার যদি মনে হয় আপনি একাই এই সমস্যায় ভুগছেন তাহলে সেটা আপনার ভুল ধারণা। সারা পৃথিবীর প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষেরই এই সমস্যাটি রয়েছে। তাই ভয় না পেয়ে চেষ্টা করুন নিজেকে দুশ্চিন্তামুক্ত রাখার। চলুন জেনে নেই কিভাবে আপনি চিন্তামুক্ত হবেন।

১) সমস্যার সমাধান খুঁজুন

সমস্যার কথা চিন্তা না করে এর সমাধানের পথ খুঁজুন। তাহলে আপনার সমস্যার সমাধানও হবে এবং আপনিও চিন্তামুক্ত হবেন।

২)  বুঝেশুনে চিন্তা করুন

যেটা আপনার বশে নেই সেটা নিয়ে চিন্তা করতে যাবেন না। নিজেকে বোঝানোর চেষ্টা করুন যে যা আপানার নিয়ন্ত্রণের বাইরে তা কখনোই আপানার হবে না। এতে আপানার চিন্তার পাহাড় নিজে নিজেই কমে যাবে।

৩)  নিজেকে চিনুন ও জানুন

কোন পরিস্থিতিতে আপনার অবস্থা কেমন হবে সেটা আপনি নিজেই ভালো করে বুঝবেন। নিজের সমস্যা জানতে পারলে আপনি আগেভাগেই সতর্ক হয়ে যাবেন এবং ভবিষ্যতে আপনাকে পিড়া দেয় এমন কাজ আপনি আর করবেন না।

৪) ধ্যান 

নিজেকে চিন্তামুক্ত রাখার জন্য ধ্যানের বিকল্প নেই। যুগযুগ ধরে বিভিন্ন ডাক্তার ও মনিষীরা ধ্যান কিংবা যোগাসনের মাধ্যমে চিন্তা দূর করার কথা বলে থাকেন। রোজ নিয়ম করে ২০-৩০ মিনিট মেডিটেশন কিংবা যোগাসন করলে খুব সহজেই আপনি চিন্তামুক্ত হতে পারেন।

৫)  ছিঁড়ে ফেলুন চিন্তার জাল

যখনই মনে হবে যে আপনি চিন্তাযুক্ত হয়ে পরছেন তখন ব্যস্ত হয়ে যান। এমন কোন কাজ করেন যেটাতে আপনি আপনার সম্পূর্ন মনযোগ দিয়ে দিয়ে দিতে পারবেন। গান শুনুন, সিনেমা দেখুন, ছবি আঁকুন, বই পড়ুন কিংবা গাছ লাগান। দেখবেন দুশ্চিন্তা কখন আপনাকে ছেঁড়ে পালিয়েছে আপনি টেরও পাবেন না।

৬)  কথা বলুন

মনে কথা জমিয়ে রাখা দুশ্চিন্তা সৃষ্টির অন্যতম একটি কারণ। যখনই মনে হবে মনে কথা জমে যাচ্ছে তখনই সব কথা খুলে বলুন কাছের মানুষটিকে। কোনো সমস্যা মনে হলে তাঁর মতামত নিন। এতে আপনার নিজেকে যথেষ্ট ভারমুক্ত মনে হবে।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+1 টি ভোট
4 টি উত্তর 1,553 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
1 উত্তর 480 বার দেখা হয়েছে
+1 টি ভোট
1 উত্তর 507 বার দেখা হয়েছে
+3 টি ভোট
2 টি উত্তর 2,842 বার দেখা হয়েছে
28 ফেব্রুয়ারি 2021 "লাইফ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন মেহেদী হাসান (141,850 পয়েন্ট)
+2 টি ভোট
3 টি উত্তর 2,052 বার দেখা হয়েছে
28 ফেব্রুয়ারি 2021 "মনোবিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Hojayfa Ahmed (135,480 পয়েন্ট)

10,772 টি প্রশ্ন

18,455 টি উত্তর

4,742 টি মন্তব্য

263,059 জন সদস্য

49 জন অনলাইনে রয়েছে
2 জন সদস্য এবং 47 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Tasfima Jannat

    110 পয়েন্ট

  2. MichelleU26

    100 পয়েন্ট

  3. 33winflorist

    100 পয়েন্ট

  4. ChandaSoundy

    100 পয়েন্ট

  5. qh88dangnhapvip

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর রক্ত #ask আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী চিকিৎসা #science পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...