আজ Over Thinking নিয়ে একটু আলোচনা করি। লেখাগুলো বিভিন্ন জায়গায় স্টাডি করে লিখলাম।
প্রথমেই জানবো, ওভার থিংকিং আসলে কি?
মানুষ মাত্রই চিন্তাশক্তির অধিকারী। আমরা সকলেই জানি সকল কাজই চিন্তাভাবনা করে করা উচিত। ব্যবসায় শুরু করবার পূর্বেও পরিকল্পনা জরুরি। এই পরিকল্পনাও চিন্তাভাবনার ফল। কিন্তু কিছু কিছু ক্ষেত্রে আমরা কোনো ছোট খাটো বিষয় নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তা করতে শুরু করি। যেটা প্রয়োজন নেই। অর্থাৎ প্রয়োজনের অতিরিক্ত কোনো বিষয় নিয়ে চিন্তা করাটাকেই বলা হয় ওভার থিংকিং (over thinking)।
এই অতিরিক্ত চিন্তার(over thinking) ফলে পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়াসহ অনেক ধরনের শারীরিক এবং মানসিক সমস্যা তৈরি হতে পারে। এবং এক পর্যায়ে সেটা মানসিক অবসাদ(Depression) এ রূপ নিতে পারে। তাই মানসিক অবসাদ বা ডিপ্রেশন থেকে বাঁচতে ওভার থিংকিং করা বন্ধ করতে হবে।
এবারজানবো ওভার থিংকিং থেকে মুক্তির উপায়:
ওভার থিংকিং থেকে মুক্তি পেতে হলে নিচের বিষয়গুলো ফলো করে দেখতে পারেন।
১/ মানুষের সম্পর্কে পজেটিভ চিন্তা করুন। প্রত্যেক মানুষেরই ভালো খারাপ দুই দিকই বিদ্যমান। মানুষের ভালো দিক গুলো দেখুন। খারাপ দিক গুলো ইগনোর করুন। এতে আপনার মধ্যে পজেটিভ চিন্তার প্রবণতা বৃদ্ধি পাবে।
২/ পর্যাপ্ত শারীরিক ব্যায়াম করুন। প্রতিদিন ১৫/২০ মিনিট হলেও নিয়মিত ব্যায়াম করুন। এতে শরীর মন দুইই ফ্রেশ থাকে।
৩/ নিজেকে যতোটা সময় সম্ভব বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত রাখুন। ঘর গুছান। বাগান করুন। সেলাই করুন। পোষা প্রাণীর যত্ন নিন। ফ্যামিলি মেম্বারদের সাথে গল্প করুন।
৪/ যে কাজগুলো করতে আপনি পছন্দ করেন সেগুলো আবার করতে শুরু করুন। ছবি আঁকতে পারেন, গল্পের বই পড়তে পারেন, গাছ ফুল প্রকৃতির ছবি তুলতে পারেন, সেল্ফি তুলতে পারেন, সাজগোজ করতে পারেন।
৫/ নতুন নতুন মানুষের সাথে মিশুন, অন্যের সমস্যার কথা মন দিয়ে শুনুন। এটা সত্যি, অন্যের সমস্যা শুনলেই বোঝা যায়, আমার সমস্যাটা আসলে অনেক ছোট সমস্যা।
৬/ সব দায়িত্ব নিজে না নিয়ে দায়িত্ব বন্টন করে দিন। কয়েকজনের মাঝে দায়িত্ব বন্টন করে দিলে নিজের দুশ্চিন্তা অনেকাংশেই কমে যায়।
৭/ মেডিটেশন করতে পারেন। মেডিটেশন বা ধ্যান করলে শরীর ও মনে প্রশান্তি আসে। মনে প্রশান্তি আসলে যেকোনো কাজ সহজ হয়ে যায়।
এছাড়াও নিয়মিত রুটিন করে সব কাজ করতে পারেন। আরো কোনো অপশন আপনার জানা থাকলে আমাকে বলতে পারেন। আমিও অনেক ওভার থিংকিং করি মাঝেমাঝে। ওভার থিংকিং থেকে বের হতে না পারলে আসলে কোনো কিছুতেই শান্তি পাওয়া যায় না। এমনকি বিজনেস পরিকল্পনাতেও মনোনিবেশ করা কষ্টকর হয়ে যায়। মন ফ্রেশ থাকলে সব ঠিক থাকে।
ক্রেডিট: রশ্মি শাহ (কোরা)