ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউন্সেলর মরিয়ম সুলতানা বলেন, কিশোর বয়স থেকে এই সমস্যা দেখা দেয় কারও কারও মধ্যে। বয়ঃসন্ধিকালের বিভিন্ন বিষয় যেমন, পরিবেশ কিংবা পারিবারিক রীতিনীতি সবকিছু মিলিয়ে দেখা দিতে পারে। পরিবার থেকেও এটা হতে পারে। পরিবেশ কিংবা পরিবার যেভাবেই হোক না কেন, এর থেকে বেরিয়ে আসতে হবে নিজেকেই। কেননা, অতিরিক্ত চিন্তাভাবনা (দুশ্চিন্তার) রয়েছে নানা বিপত্তি।
এর কারন হলো
১. আত্মবিশ্বাস কমিয়ে ফেলা
কথায় আছে, ‘বিশ্বাসে মেলায় বস্তু’। আর আপনি যদি শুরুতেই ধরে নেন আপনার দ্বারা হবে না, তাহলে মানসিকভাবেই এটি আপনার জন্য নেতিবাচক হয়ে দাঁড়াবে। আপনার যেই কর্মপরিকল্পনা, পুরোটাই এই একমুহূর্তেই নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই কী হবে কিংবা হবে না, সবকিছু ঝেড়ে ফেলে কাজটা সঠিকভাবে করুন।
২. শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা
মানসিক বিপত্তি ছাড়াও দেখা দেবে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যাও। ক্ষুধামান্দ্য থেকে শুরু করে নিদ্রাহীনতা, উচ্চরক্তচাপ, মাথাব্যথা, বহুমূত্র এমনকি হৃদ্‌রোগও দেখা দিতে পারে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তার কারণে। অনেকেরই ‘টেনশন হেডেক’ বা অতিরিক্ত মাথাব্যথা দেখা দেয়। যার ফলে আপনার ঘাড় ও চোখের ব্যথাও হতে পারে।
৩. মানসিক সমস্যা
খিটখিটে মেজাজ, হতাশা, উৎসাহ হারিয়ে ফেলা থেকে শুরু করে অল্পতেই রেগে যাওয়া, সহজেই ভুলে যাওয়া কিংবা বিভিন্ন অসামাজিক আচরণ দেখে দেবে আপনার মধ্যে। দেখা গেল আগে যেসব বিষয় সহজেই গুছিয়ে নিতে পারতেন, সেটা আর কিছুতেই হচ্ছে না। উল্টো সবার সামনে সহজেই রেগে যাচ্ছেন। এটা কিন্তু আপনার পরিবার ও কর্মক্ষেত্র দুটোর জন্যই ক্ষতিকর।
৪. সঠিকভাবে কাজ করায় বাধা
যদি শুরুতেই ধরে নেন যে কাজটি আপনার দ্বারা হবে না, কিংবা আপনি পারবেন না, তাহলে সঠিকভাবে কাজ করার উদ্দীপনাই নষ্ট হয়ে যায়। স্বাভাবিক জীবনযাপন নষ্ট হয়ে যাবে।
৫. অল্পতেই ভেঙে পড়া
বেঁচে থাকার জন্য নিত্যদিন সংগ্রাম করতে হয়। আর আপনি যদি কোনো কিছুতে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েন, তাহলে সাহসের সঙ্গে বেঁচে থাকার প্রবণতাটাই নষ্ট হয়ে যাবে, যা আপনার ব্যক্তিত্বের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।