স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটের প্রতিবেদনের আলোকে জানানো হয় ভিটামিন ই ক্যাপসুলের বিভিন্ন অঙ্গে ব্যবহারের পদ্ধতি ও তার গুণাগুণ সম্পর্কে।
নখের যত্নে:
হাত দিয়ে সারাদিন কত কাজই না করা হয়। আর প্রায় সব কাজই হাতের নখের ওপর কিছু না কিছু প্রভাব রেখে যায়। বিশেষ করে রান্নার বিভিন্ন কাজ, থালা-বাসন ও কাপড় ধোয়া, বাগান পরিচর্যা ইত্যাদি কাজে নখের ওপর যথেষ্ট ধকল যায়।
তাই নখের পর্যাপ্ত যত্ন নেওয়াটাও জরুরি। অন্যথায় তা হলুদ হয়ে যেতে পারে, ভেঙে যেতে পারে। আর সেই কাজের জন্য ভিটামিন ই ক্যাপসুল আদর্শ।
ক্যাপসুল খুলে তার ভেতরের তেল নখ ও এর চারপাশে ভালোভাবে মাখাতে হবে। রাতে ঘুমানোর আগে কাজটি করা ভালো। এতে সারারাত নখ ‘ময়েশ্চার’ পাবে।
ওভারনাইট ক্রিম:
ভিটামিন ই ক্যাপসুল তার ‘ময়েশ্চারাইজিং’ গুণের জন্য বেশ সমাদৃত। তাই ওভারনাইট ক্রিম হিসেবেও তা বেশ কার্যকর।
যে ওভারনাইট ক্রিম বর্তমানে ব্যবহার করছেন তাতে কয়েক ফোঁটা ভিটামিন ই ক্যাপসুলের তেল মিশিয়ে দিলেও উপকার পাবেন। তবে আগে অবশ্যই মুখ ধুয়ে নিতে হবে।
তেলটি সেরাম হিসেবে কাজ করবে এবং রাতভর ত্বকে আর্দ্রতা যোগাবে।
মনে রাখতে হবে রাতে ঘুমানোর কমপক্ষে আধা ঘণ্টা আগে তা ত্বকে প্রয়োগ করতে হবে। এতে ত্বক ই ক্যাপসুলের তেল শোষিত হওয়ার সুযোগ পাবে এবং বালিশে লেগে যাবে না।
চুলের যত্নে:
ভিটামিন ই ক্যাপসুল চুল পড়া রুখতে এবং নতুন চুল গজাতে অত্যন্ত উপকারী। সাধারণত চুলে যে তেল ব্যবহার করেন তাতেই মিশিয়ে নিতে হবে ক্যাপসুলে থাকা তেল।
এবার তা চুল ও মাথার ত্বকের প্রয়োগ করে দুতিন ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে ফেলতে হবে, কুসুম গরম পানি ব্যবহার করলে বেশি ভালো।
সপ্তাহে দুদিন এই তেল ব্যবহার করা উচিত। আর সুফল চোখের পড়বে দুতিনবার ব্যবহারেই।
বলিরেখা দূর করতে:
ত্বকের বিভিন্ন বলিরেখা, কুঁচকে যাওয়া ত্বক ও অন্যান্য দাগ দূর করতেও উপকারী ভিটামিন ই ক্যাপসুল। ‘অ্যান্টি-এইজিং’ ক্রিম হিসেবেও এটি ব্যবহারযোগ্য। প্রচুর ‘অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে এতে যা ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। ত্বকে ভিটামিন ই তেল মালিশ করলে ত্বকের গঠন স্বাস্থ্যকর হয়, উজ্জলতা বাড়বে।
রোদপোড়া ঠেকাতে:
অল্পতেই যাদের ত্বক রোদে পুড়ে যায় তাদের জন্য ভিটামিন ই ক্যাপসুল অত্যন্ত জরুরি। এর ‘ময়েশ্চারাইজিং’ গুণ ত্বকের শুষ্কতা দূর করার মাধ্যমে রোদপোড়া থেকে সুরক্ষা দেয়।
রোদপোড়ার কারণে ত্বকে জ্বালাপোড়া বা চুলকানি হলে ‘কুলিং ক্রিম’য়ের সঙ্গে ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশিয়ে ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়। তবে সানস্ক্রিন ব্যবহার করাই সবচাইতে ভালো হবে।