শুধু শুক্র গ্রহ নয়, ইউরেনাসও উল্টো দিকে ঘোরে। ইউরেনাসের অক্ষের কৌণিক বিচ্যুতির জন্যে (৯৮ ডিগ্রি) মূলত এটি উল্টো দিকে ঘুরছে বলে মনে হয়। উল্টো দিকে ঘোরার অর্থ হচ্ছে আমাদের পৃথিবীসহ সৌরজগতের অন্য গ্রহগুলো নিজ অক্ষরেখার চারপাশে ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে ঘোরে। কিন্তু শুক্র গ্রহটি ঘোরে ঘড়ির কাঁটার দিকে।
আমরা দেখি সূর্য ওঠে পূর্বাকাশে আর অস্ত যায় পশ্চিমাকাশে। পৃথিবীর আহ্নিক গতি পশ্চিম থেকে পুবে, অর্থাৎ ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে। এ জন্যই আমরা সূর্যকে পুব থেকে পশ্চিমে যেতে দেখি। বিজ্ঞানীরা বলেন, সৌরজগতের সবগুলো গ্রহই আদিতে একই দিকে, অর্থাৎ ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে ঘুরত। কারণ গ্রহগুলোর উদ্ভব হয়েছিল সূর্যের চারপাশে ঘূর্ণায়মান মহাজাগতিক ধূলিকণা থেকে। এই ধূলিকণাগুলো একটি থালার মতো তলে বিস্তৃত ছিল। পরে কিছু কিছু অংশের ধূলিকণা একত্র হয়ে গ্রহগুলোর উদ্ভব ঘটে। তাই ওগুলো সূর্যের চারপাশে একই দিকে, একই কক্ষতলে ও নিজ নিজ অক্ষরেখার একই দিকে আবর্তিত হতে থাকে।
ধারণা করা হয়, শত শত কোটি বছর আগে কোনো গ্রহাণুখণ্ডের আঘাতে হয়তো শুক্র গ্রহের আহ্নিক গতি পরিবর্তিত হয়ে যায়। আবার কোনো কোনো বিজ্ঞানীর ধারণা, যেহেতু শুক্র গ্রহের আহ্নিক গতি খুব কম, সে জন্যই হয়তো ধীরে ধীরে তার ঘূর্ণনের দিক উল্টে গেছে। শুক্র গ্রহ নিজ অক্ষরেখার চারপাশে একবার ঘুরে আসতে সময় নেয় আমাদের প্রায় ২৪৩ দিনের (আর্থ ডে) সমান সময়। এই ধীরগতির কারণে হয়তো একসময় তার আহ্নিক গতির দিক উল্টে গেছে।
তথ্যসূত্র : প্রথম আলো