প্রোফেজ মাইটোসিসের প্রথম পর্যায়। এ পর্যায়ে কোষের নিউক্লিয়াস আকারে বড় হয়। ক্রোমোজোম থেকে পানি হ্রাস পেতে থাকে। ফলে ক্রোমোজোমগুলো ক্রমান্বয়ে সংকুচিত হয়ে মোটা ও খাটো হতে শুরু করে। ক্রমাগত জল বিয়োজনের ফলে ক্রোমোসোম গুলোতে রঞ্জন ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং রঞ্জন করলে এরা আলোক অনুবীক্ষণেই দৃষ্টিগোচর হয়।[১] এ পর্যায়ে প্রতিটি ক্রোমোজোম সেন্ট্রামিয়ার ব্যতীত দুটি ভাগে ভাগ হয়ে ক্রোমাটিড উৎপন্ন করে। এক্ষেত্রে ক্রোমোজোম গুলো অনুদৈর্ঘ্যে দুটি সূত্রে বিভক্ত থাকে। এ পর্যায়ের শেষের দিকে নিউক্লিওলাস ও নিউক্লিয়ার মেমব্রেনের বিলুপ্তি ঘটে। এ পর্যায়ের ধারাবাহিক কর্মকান্ডে কোনরূপ গুণগত পার্থক্য ঘটে না। তাই এ পর্যায়কে কোন উপ-পর্যায়ে বিভক্ত করা হয় না। এ পর্যায় স্বল্প স্থায়ী। ক্রোমোমিয়ার দেখা যায় না। কোনো প্রকার কায়াজামা ও ক্রসিং ওভার ঘটে না। সমসংস্থ ক্রোমোজমের মধ্যে কোনো প্রকার সিন্যাপসিস ঘটে না। ক্রোমোটিডের মধ্যে অংশের কোনোরূপ বিনিময় ঘটে না। তাই জিন বিন্যাসের কোনো পরিবর্তন হয় না।