বাড়তি ওজন : দেহের বাড়তি ওজনের কারণে টেস্টোস্টেরন হরমোনের অভাব দেখা দেয়। কারণ ফ্যাট সেল তখন টেস্টোস্টেরনকে ইস্ট্রোজেনে রূপান্তর করে। স্থূলকায় মানুষের দেহে এমনিতেই এই হরমোনের ঘাটতি থাকতে পারে। স্বাস্থ্যকর খাবার, নিয়মিত ব্যায়াম ও ওজন নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে এ অভাব থেকে মুক্তি মিলতে পারে।
অবসাদ : দুপুরের খাবারের পর অনেকেরই দুর্বল ভাব চলে আসে। অফিসের টেবিলে প্রায়ই উদ্দীপনা হারিয়ে যায়। যেকোনো উদ্যমী কাজে উত্সাহ মেলে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন ঘটলে টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা পরীক্ষা করানো উচিত।
ঘুমে ব্যাঘাত : যে পুরুষের এই হরমোনের ঘাটতি আছে তার সাধারণত নিয়মিত ঘুম হয় না। এই ঘুম না হওয়া আবার হৃদরোগ, মেজাজ বিগড়ে যাওয়া এবং স্মৃতিশক্তিতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
বিষণ্নতা : ‘জার্নাল অব সেক্সুয়াল স্টাডি’তে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, টেস্টোস্টেরনের অভাব রয়েছে—এমন ৫৬ শতাংশ পুরুষ বিষণ্নতায় ভোগে।
অস্বস্তি ও ব্যথা : এই হরমোনের অভাবে প্রতিনিয়ত অস্বস্তি বোধ হতে পারে। এ ছাড়া পেশি তার শক্তি হারায় এবং হাড়ের সংযোগস্থলে ব্যথা অনভূত হয়। এর প্রভাবে পরবর্তী সময়ে বড় ধরনের আঘাতের সম্মুখীন হয় মানুষ।
হাড়ের সমস্যা : ধারণা করা হয়, এই সমস্যা কেবল নারীদেরই দেখা দেয়। কিন্তু যে পুরুষদের টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে যায়, তাদেরও এই রোগে আক্রান্ত হতে দেখা গেছে। কারণ এ হরমোনের অভাবে হাড়ের ঘনত্ব কমে যায়।
স্তনের আকার বৃদ্ধি : এ হরমোন কম থাকলে দেহে ইস্ট্রোজেন ও টেস্টোস্টেরনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। এতে পুরুষের স্তনের আকার বেড়ে যেতে পারে। এ সমস্যাকে বলা হয় ‘গাইনেকোমাস্টিয়া’।
মনোযোগের অভাব : মস্তিষ্ক ‘ঘোলাটে’ করে দেয় এই হরমোনের অভাব। এতে মনোযোগ নষ্ট হয়। স্মৃতিশক্তিও কমে আসে ধীরে ধীরে।
ফক্স নিউজ