ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায় যখন ছোট ঘড়ির জন্ম হয়েছিল, তখন বেশিরভাগই তা পকেটে রাখতেন। এ জন্য পকেট ঘড়ির চল সে সময় বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। কবজিতেও যে ঘড়ি পরা যেতে পারে, সে বিষয়ে কারও সে সময় কোনও ধারণা ছিল না।
তবে বোর যুদ্ধের সময় একদল সৈনিক চামড়ার স্ট্র্যাপে ঘড়ি আটকে কবজিতে পরা শুরু করে। তাদের মূল লক্ষ্য ছিল মিলিটারি অপারেশনের প্রতি মিনিটকে নথিবদ্ধ করা। আর এমনটা করতে গেলে বারে বারে পকেট থেকে ঘড়ি বের করা ছিল বেজায় মুশকিলের কাজ।
আর এ জন্যই সে সময় থেকে শুরু হয়েছিল কবজিতে ঘড়ি পরা। তবে তখনও তা আম জনতার মধ্যে সেভাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেনি।
কিন্তু বাঁ-হাতে কেন?
একথা ঠিক যে হাত ঘড়ির জন্মলগ্ন থেকেই বাঁহাতে ঘড়ি পরা শুরু হয়েছিল। কারণ ছিল একটাই। আসলে সে সময়কার হাত ঘড়ি ছিল বেজায় বড় এবং ভঙ্গুর। তাই সহজেই যাতে কোথাও ঠোকা লেগে ঘড়িটা ভেঙে না যায়, তা সুনিশ্চিত করতেই বাঁহাতে ঘড়ি পরা শুরু হয়েছিল।
কারণ বিভিন্ন কাজ করতে ডান হাত যতটা কাজে লাগে, ততটা কিন্তু বাঁহাত কাজে আসে না। তাই যদি বাঁহাতে ঘড়ি পরা যায়, তাহলে ভাঙার আশঙ্কা কম। তাই তখন থেকেই শুরু। তারপর থেকে যত সময় এগিয়েছে বাঁহাতের ঘড়ি পরার চল জনপ্রিয়তা বেড়েছে।