পরমাণু হলো একটি মৌলের সেই ক্ষুদ্রতম একক যা ওই মৌলের রাসায়নিক ধর্ম অক্ষুন্ন রাখতে পারে, অর্থাৎ পরমানু হলো কোন মৌলের ক্ষুদ্রতম প্রতিনিধি। পরমানুকে, বিশেষ করে পরমানুর নিউক্লিয়াসের প্রোটনগুচ্ছকে ভেঙে ফেললে সে আর ওই মৌলের ধর্ম অক্ষুন্ন রাখে না।
অতীতকালে যখন পরমানু বা atom এর নামকরন করা হয়েছিল, তখন ভাবা হয়েছিল যে এটিই পদার্থের ক্ষুদ্রতম অবিভাজ্য একক হবে। এটা ছিল মূলত একটি কল্পবিজ্ঞান। আধুনিক বিজ্ঞানের যুগে যখন সত্যি সত্যি পরমানু সম্পর্কে জানা গেল তখন থেকে কেউ আর একে অবিভাজ্য বলে না। শুধু নামটুকু আগের মতই রয়ে গেছে। বলতে গেলে, এখন a-tomos (অ-বিভাজ্য) এর আক্ষরিক অর্থের চেয়ে গুনগত অর্থ জানাটা বেশি জরুরী।
প্রকৃতপক্ষে-
- পরমানু হলো যেকোন মৌলের ক্ষুদ্রতম প্রতিনিধি।
- এটি অবিভাজ্য নয়, বরং আরো ক্ষুদ্রতর কণা ইলেক্ট্রন, প্রোটন ও নিউট্রনের সমন্বয়ে তৈরী।
- পরমানু নিরেট কোন বস্তু নয়, বরং এর প্রায় পুরোটাই ফাঁকা।
- প্রোটন এবং নিউট্রন নিজেও ক্ষুদ্রতম কণা নয়, বরং এগুলো বিশেষ ৩টি করে কোয়ার্কের সমন্বয়ে তৈরী।
- এখন পর্যন্ত জানা যেসব মৌলিক কণার কথা আমরা জানি, সেগুলো আসলেই কণা নাকি শক্তির তরঙ্গ সেটা নিশ্চিত করে বলার উপায় নেই। কারণ এরা উভয় রূপেই স্বচ্ছন্দ। সুতরাং “ক্ষুদ্রতম-কণা” যদি বলতেই হয়, তাহলে এদের নীচে হয়ত আর নামা যাবে না, কিন্তু আমরা কেউই সেব্যাপারে নিশ্চিত নই।
সংগৃহীত