পরমাণু বস্তুর এমন এক চূড়ান্ত পর্যায় যাকে আর ভাঙা যায় না বলে মানুষ জানত,কিন্তু উনবিংশ শতাব্দির শেষাংশ এবং বিংশ শতাব্দির প্রথমাংশে আবিষ্কৃত হয় পরমাণুর অভ্যন্তরে তিনটি কণা। যথা:- ইলেকট্রন (জে জে থমসন দ্বারা ১৮৯৭ সালে আবিষ্কৃত), প্রোটন (আর্নেস্ট রাদারফোর্ড দ্বারা ১৯১৯ সালে আবিষ্কৃত) এবং নিউট্রন (জেমস চ্যাডউইক দ্বারা ১৯৩২ সালে আবিষ্কৃত)।
অর্থাৎ পরমাণুকেও ভাঙা যায়। কিন্তু কণা ত্বরক (Particle accelerator) আবিষ্কার হওয়ার পর দেখা গেছে যে প্রোটন ও নিউট্রন আর মৌলিক কণা নয়। তারা এক ধরনের ক্ষুদ্র কণা দিয়ে তৈরি যার নাম কোয়ার্ক (Quark)। তখন ইলেকট্রনকে মৌলিক কণা ধরলেও অতি সম্প্রতি দেখা গেছে যে ইলেকট্রনকেও বিভাজন করা যায়। ১৯৬৪ খ্রিষ্টাব্দে তাত্ত্বিকভাবে এই কণার বিষয় উপস্থাপন করেন মারে গেল-মান (Murray Gell-Mann) এবং জর্জ জিউইগ (George Zweig)। ১৯৬৮ সালে এটি পরীক্ষায় পাওয়া যায়। কোয়ার্করা একে অপরের সঙ্গে যুক্ত থাকে গ্লুওন (Gluon) দ্বারা। বলতে গেলে গ্লুওন গ্লু-এর মতো কোয়ার্কগুলোকে জুড়ে রাখে।