কিটো ডায়েট অনুসরণ করলে ওজন তো কমেই, তাছাড়াও এর আরো অনেক উপকারিতা রয়েছে। কিটো ডায়েটে ঠিকঠাক মেনে চললে শরীরে ক্ষুধা সৃষ্টিকারী হরমোন কম তৈরি হয়। যার ফলে ক্ষুধা কমে যায় এবং এতে করে শরীরের ওজনও কমতে শুরু করে। আমাদের ত্বকের জন্যও কিটো ডায়েট অনেক উপকারী। যাদের ত্বকে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা বেশি, এ ডায়েট অনুসরণের ফলে তা একেবারে কমে যেতে পারে।
বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের চিকিৎসায় কিটো ডায়েট পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহার করা হয়। গবেষণা মোতাবেক, কেমোথেরাপি ও রেডিয়েশন থেরাপির পাশাপাশি এই ডায়েট ক্যান্সারের চিকিৎসায় কাজে আসে। এ ডায়েট অনুসরণ করে ক্যান্সার কোষ ও টিউমারের বৃদ্ধি কমিয়ে ফেলা যায়। তবে এ সেক্টরে গবেষণার ক্ষেত্র অনেক সীমিত। তাই এ ব্যাপারে আরো বিস্তর গবেষণা প্রয়োজন।
যাদের হৃদরোগের সমস্যা রয়েছে, এ ডায়েট তাদের বিশেষ কাজে আসতে পারে। বিভিন্ন প্রকার হৃদরোগের প্রধান কারণ হলো দেহে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যাওয়া। কিটো ডায়েট দেহের জন্য ক্ষতিকর কোলেস্টেরল লো-ডেনসিটি লিপোপ্রোটিনের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। অপরদিকে দেহের জন্য উপকারী কোলেস্টেরল হাই-ডেনসিটি লিপোপ্রোটিনের মাত্রা বৃদ্ধি করে।
এই কিটো ডায়েট মূলত বিভিন্ন স্নায়ুরোগের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। দেহে যে কিটোন তৈরি হয়, তা আমাদের মস্তিষ্কের জন্য বিশেষ উপকারী। আলঝেইমার ও মৃগী রোগের চিকিৎসায় রোগীদের এ ডায়েট অনুসরণের মাধ্যমে চিকিৎসা করা হয়ে থাকে।
লিখেছেন: Rakib Hasan Oasie