এ ধরনের কান্নাকে বলে ইমোশনাল টিয়ারস। এর আরেক নাম সাইকিক টিয়ারস, যা চাইলেই ইচ্ছাকৃতভাবে বের করা যায় না, কারণ এর সাথে আবেগ জড়িয়ে থাকে।
অতিরিক্ত আনন্দ বা কষ্ট কোনোটাই চেপে রাখা আপনার জন্য ভালো ফল বয়ে আনবে না। তাই কান্নার মাধ্যমে সেই সুখের বা দুঃখের আবেগকে প্রশমিত করাই হলো ইমোশনাল টিয়ার্সের কাজ। আবেগের সাথে সম্পর্কিত মানব মস্তিষ্কের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল হাইপোথ্যালামাস এবং বেসাল গ্যাংলিয়া। এগুলো ল্যাক্রিমাল গ্ল্যান্ডের সাথে যুক্ত থাকায় আবেগ প্রশমিত করার জন্য মস্তিষ্ক থেকে সংকেত পাঠায়। কিন্তু বিজ্ঞানীরা এখনও নিশ্চিত নন কেন এমনটা ঘটে।
ইমোশনাল টিয়ারস এ অনেক বেশি মাত্রার স্ট্রেস হরমোন থাকে। ACTH (Adrenocorticotropic hormones) এমন একটি হরমোন। এছাড়াও লিউসিন, এনকেফালিনের মতো রাসায়নিক পদার্থ থাকে, যা ব্যথানাশকের কাজে দেয়। তাই হয়তো একটু কান্নার পর আপনি বেশ স্বস্তি অনুভব করেন, মন হালকা হয়। কাজে উদ্যম ফিরে আসে। তাছাড়া ইমোশনাল টিয়ার্স আপনার শরীরের স্ট্রেস কমিয়ে দেয়। তাই কান্নার কিন্তু বেশ কিছু উপকারিতাও আছে। যদিও খুব বেশি কাঁদলে ডিহাইড্রেটেড হয়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে।
Answered by: Nishat Tasnim