Ubaeid Hasan
চিৎকার করে নিন: সাইকোলজিস্টদের মতে আমরা যখন চিৎকার করি তখন আমাদের মস্তিষ্কে যে হরমোনের সৃষ্টি হয় তা মন খারাপের বিষয়টি দূর করে দেয়। তাই অনেক বেশি মন খারাপ লাগলে চিৎকার করুন একলা বসে, আপন মনেই। লুকিয়ে নিঃশব্দে কাঁদবেন না। চিৎকার করেই কেঁদে নিন খানিকক্ষণ।
নিজের জন্য কিছু করুন: অনেক সময় আমাদের মন খারাপ হয় যখন আমরা অনেক কিছু আশা করে থাকি এবং তা ভেঙে যায়। এটি আমাদের মানসিকতার উপর অনেক বেশি প্রভাব ফেলে থাকে। তাই সাইকোলজিস্টগন বলেন, এই ধরনের মন খারাপ দূর করতে চাইলে নিজের মনের শান্তির জন্য কিছু করা উচিত। এতে করে নিজ থেকেই মন খারাপ দূর হয়ে যাবে।
মন খারাপ বিষয়টি মাথা থেকে সরিয়ে রাখুন: নিজেকে অন্য কাজে ব্যস্ত রেখে হলেও মন খারাপের বিষয়টি ভুলে থাকার চেষ্টা করুন। কারণ বিষয়টি যতোটা সময় আপনার মাথায় থাকবে ততোই তা আপনার কষ্ট বাড়াবে। সৃজনশীল কোনো কাজে মন দিন। নিজের যা পছন্দ হয় করতে থাকুন। এতে করে মন থেকে দূর হয়ে যাবে মন খারাপের বিষয়টি।
আপন মানুষের সাথে কথা বলুন: যে বিষয়টি নিয়ে বেশি মন খারাপ লাগছে সে বিষয়টি নিয়ে যতো কথা বলবেন ততো আপনার মন ভালো হবে। কারণ, কারো সাথে দুঃখটা ভাগ করে নিলে তা অর্ধেক হয়ে যায়। তাই মন ভালো করতে চাইলে আপন কারো কাছে বিষয়টি নিয়ে কথা বলুন।
বাইরে ঘুরতে যান: মন ভালো করার আরেকটি ভালো উপায় হচ্ছে এক জায়গায় বসে না থেকে ঘুরে আসা। বাসায় বসে থাকা কিংবা অন্য কোনো স্থানে বসে থাকলে মন ভালো হবে না মোটেই। বেরিয়ে পড়ুন। ঘোরাঘুরি এবং হাঁটাহাঁটির মধ্যমে ও প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখার মাধ্যমেও মন খুব দ্রুত ভালো হয়ে যায়।
পানি পান করুন: অনেক সময় ডিহাইড্রেশনের জন্য আমাদের মানসিক চাপ বেড়ে যায় এবং মন খারাপটি আরও বেশি করে আমাদের সামনে চলে আসে। তাই মন খারাপ দূর করতে পানি পান করে নিন এক নিঃশ্বাসে ১ গ্লাস। পানি পানের ফলে অনেকটা হালকা হয়ে যাবে মন।
নিজেকে উপহার দিন মজার খাবার: নিজের পছন্দের মজার কোনো খাবার খেয়ে নিন। বিশেষ করে চকলেট ধরণের কিছু খাবার। এতে করে ভালোলাগা আপনাআপনি উৎপন্ন হবে। কারণ পছন্দের কিছু করলে এবং খেলে মস্তিষ্কে ‘সেরেটেনিন’ নামক ভালোলাগার হরমোন উৎপন্ন হয়।
বড় করে শ্বাস নিন: যখন অনেক বেশি মন খারাপ হবে তখন তা আমাদের মস্তিষ্কে চাপ ফেলবে এবং মানসিক অশান্তি ও চাপ বাড়তে থাকবে। এই জিনিসটি দূর না করতে পারলে মন ভালো হবে না। তাই বড় করে শ্বাস নিন ও ধীরে ধীরে ছাড়ুন। এতে মস্তিষ্ক রিলাক্স হবে ও মানসিক চাপ কমতে থাকবে। সেই সাথে কমবে মন খারাপের মাত্রাও।