বায়োপ্লাস্টিকের ব্যাগ উদ্ভিদ পদার্থের মতোই পচে যায়৷ তা সত্ত্বেও বায়োপ্লাস্টিকের ফয়েল সহজে ছেঁড়ে না; তার উপর ছাপা যায়; মেশিনে কাট-ছাঁট করা যায়৷
প্লাস্টিকের ব্যাগ আমরা সবাই চিনি৷ দৈনন্দিন ব্যবহারের আর কোনো বস্তু এতটা হালকা-পলকা, অথচ এতটা দীর্ঘস্থায়ী নয়৷ জামাকাপড়, খাবারদাবার, ওষুধপত্র – সব কিছুই প্লাস্টিকের ব্যাগে করে বাড়ি নিয়ে যাওয়া যায়৷ তারপর সেটা ফেলে দেওয়া হয়৷ আলাদা করে অন্যান্য আবর্জনার সঙ্গে পোড়ানো না হলে ঐ প্লাস্টিকের ব্যাগ রাস্তায় গিয়ে পড়ে, এমনকি শেষমেষ সাগরে৷ মুশকিল এই যে, প্লাস্টিক ক্ষয় হতে ৫০০ বছর অবধি সময় লাগে৷
একটি সমাধান হলো বায়োপ্লাস্টিকের ব্যাগ৷ এই ব্যাগগুলো ‘মিশ্র সারের' উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা চলে, কেননা এগুলো শেষমেষ উদ্ভিদ পদার্থের মতোই পচে যায়৷ তা সত্ত্বেও বায়োপ্লাস্টিক ফয়েল সহজে ছেঁড়ে না; তার উপর ছাপা যায়; মেশিনে কাট-ছাঁট করা যায়৷
বায়োপ্লাস্টিকের ব্যাগ আবর্জনা কমায়
প্যাকিং বিশেষজ্ঞ হ্যার্বার্ট পিয়েডে-র মতে, বায়োপ্লাস্টিকের ব্যাগের কারণে শহরে আবর্জনার পরিমাণ বাড়ে না: ‘‘বায়োপ্লাস্টিক ব্যাগের সুবিধা হলো এই যে, তা সাধারণ প্লাস্টিক ব্যাগের মতো সরানো বা পোড়ানোর কোনো দরকার পড়ে না৷ কাজেই বায়োপ্লাস্টিকের রিসাইক্লিং-এর জন্য আলাদা করে কোনো পদ্ধতির প্রয়োজন নেই৷ বায়োপ্লাস্টিকের ব্যাগ কিছুকাল পরে নিজে থেকেই পচে যায়, কাজেই তা আলাদা করে অপসারণ করতে হয় না৷'
Sijan