ক্লাউড সিডিং বলতে কী বোঝায়? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+1 টি ভোট
1,584 বার দেখা হয়েছে
"পরিবেশ" বিভাগে করেছেন (20,400 পয়েন্ট)

2 উত্তর

0 টি ভোট
করেছেন (20,400 পয়েন্ট)
বৃষ্টি সবসময়েই প্রকৃতির এক দিন হিসেবে ধরা হয়। অর্থাৎ মনুষ্যকূলের এর ওপরে কোন নিয়ন্ত্রণ নেই। তবে এই বৃষ্টি একসময় মানুষ নিয়ন্ত্রণ করবে। যখন চাইবে বৃষ্টি পাওয়া যাবে, আবার অতিরিক্ত বৃষ্টিতে বিরক্ত? চাইলে সেটাও রোধ করা যাবে। আর সেটাই হলো ক্লাউড সিডিং।

কৃত্রিম বৃষ্টিপাত কি ও এর আবিষ্কারক:
আকাশে ভেসে থাকা বৃষ্টির অনুপযোগী মেঘগুলোকে জোরপূর্বক মাটিতে নামিয়ে আনাই হলো মূলত কৃত্রিম বৃষ্টিপাত। ১৯৪৬ সালে ভিনসেন্ট সেইফার সর্বপ্রথম কৃত্রিম বৃষ্টিপাতের মূলনীতি আবিষ্কার করেন। এবং ওই বছরের ১৩ই নভেম্বর আরেক নোবেলবিজয়ী বিজ্ঞানী ল্যাংমুর কে সাথে নিয়ে পরীক্ষামূলক ভাবে কৃত্রিম বৃষ্টিপাত ঘটাতে সফল হোন।

ক্লাউড সিডিং কিভাবে ঘটে?
মূলত রেফ্রিজারেটরের মূলনীতি ব্যবহার করেই কৃত্রিম বৃষ্টিপাত ঘটানো হয়। বৃষ্টির অনুপযোগী মেঘগুলো বৃষ্টি হয়ে মাটিতে ঝরে পড়ার জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত ঘনীভবন। আর এ ঘনীভবনে ব্যবহার করা ড্রাই আইস অথবা সিলভার আয়োডাইড। ড্রাই আইসের তাপমাত্রা মাইনাস-৭৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়ে থাকে। ট্রপোস্ফিয়ার স্তরে ভেসে থাকা মেঘের উপর এই ড্রাই আইসের গুড়া ছড়িয়ে দিলেই সেটা ঘনীভূত হয়ে বৃষ্টি হয়ে মাটিতে পড়ে।
ড্রাই আইস বিমানে বা রকেটে করে মেঘের উপর ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে বর্তমানে মিসাইল পদ্ধতি অধিক জনপ্রিয়।

ক্লাউড সিডিং এর উপকারিতা কী/কেন প্রয়োজন?
বিশ্বের সব দেশ মিলিয়ে যতবার কৃত্রিম বৃষ্টিপাত ঘটিয়েছে, চীন একাই তার চেয়ে বেশি ঘটিয়েছে। ২০০৮ সালের বেইজিং অলিম্পিক গেমসে প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানান আবহাওয়াবিদরা। চীনের বিজ্ঞানীরা অলিম্পিক শুরু হওয়ার কয়েকদিন আগেই প্রচুর কৃত্রিম বৃষ্টিপাত ঘটিয়ে সেই আশঙ্কা নাকচ করে দিয়েছিলো।

ভারত অবশ্য চীনকে বৃষ্টিচোর বলে। কারণ ভারতে খড়া বৃদ্ধির কয়েকটা কারণের মধ্যে চীনের অধিক কৃত্রিম বৃষ্টিপাতকেও দায়ী করা হয়।

ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় এ বছরের জানুয়ারীতে প্রবল বৃটিপাতের ফলে প্রথম ৩ দিনেই প্রাণ হারায় ৪৩জন ৷ আবহাওয়াবিদরা বলেন দু’সপ্তাহ চলবে এ বৃষ্টিপাত। পরে বিজ্ঞানীরা মেঘগুলো জাকার্তায় পৌঁছানোর আগেই নদীর উপর কৃত্রিম বৃষ্টিপাত ঘটিয়ে শতশত মানুষের প্রাণ রক্ষা করে।

ক্লাউড সিডিং এখন বিশ্বের অনেক দেশেই ঘটানো হচ্ছে। বলাবাহুল্য এ প্রযুক্তি অনেক ব্যয়বহুলও বটে ৷ এজন্য বিজ্ঞানীরা লেজার প্রযুক্তির মাধ্যমে বৃষ্টিপাত ঘটানোর প্রক্রিয়া আবিষ্কারের চেষ্টা করছে।

©
0 টি ভোট
করেছেন (9,000 পয়েন্ট)
ক্লাউড সিডিং এর মূল মন্ত্র হলো – ঝড়ো মেঘের মধ্যে কৃত্রিম নিউক্লিয়াস প্রবেশ করানো৷ এর ফলে মেঘ ঐ নিউক্লিয়াসের সঙ্গে ঘনীভূত হয়ে ছোট ছোট বরফে পরিণত হয়, যেটাকে বলা হয় ‘সিলভার আয়োডায়িড পার্টিকেল'৷ কেবল রুশ সেনাবাহিনী নয়, জার্মানির ওয়াইন প্রস্তুতকারী চাষীরাও এই পদ্ধতি ব্যবহার করেন আঙুর ক্ষেতে ক্ষতি এড়ানোর জন্য৷ তবে এক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকরী হলো বিমানের মাধ্যমে পুরো এলাকায় নিউক্লিয়াস সলিউশন স্প্রে করা৷ ঝড়ো মেঘের উপরে বা মধ্যে বিমানটি প্রবেশ করিয়ে এই স্প্রে করা হয়, কণাগুলো এত ছোট হয় যে মাটিতে পড়ার আগে বৃষ্টির কণায় রূপ নেয়৷

 

এই পদ্ধতিতে পরিবেশের কোনো ক্ষতি হয় না৷ কেননা যে পরিমাণ সিলভার আয়োডায়িড বৃষ্টির পানির সঙ্গে মাটিতে দ্রবীভূত হয়, তাতে রাসায়নিক ক্ষতিকর পদার্থের পরিমাণ এতই সামান্য, যে তাতে পরিবেশের কোনো ক্ষতি হয় না৷

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

0 টি ভোট
1 উত্তর 154 বার দেখা হয়েছে
+2 টি ভোট
1 উত্তর 628 বার দেখা হয়েছে
+2 টি ভোট
1 উত্তর 224 বার দেখা হয়েছে
0 টি ভোট
1 উত্তর 1,738 বার দেখা হয়েছে
16 এপ্রিল 2021 "প্রযুক্তি" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Ubaeid (28,330 পয়েন্ট)
+4 টি ভোট
4 টি উত্তর 1,386 বার দেখা হয়েছে
27 এপ্রিল 2021 "পদার্থবিজ্ঞান" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন PabonAhsanIvan (2,620 পয়েন্ট)

10,775 টি প্রশ্ন

18,459 টি উত্তর

4,742 টি মন্তব্য

265,999 জন সদস্য

77 জন অনলাইনে রয়েছে
2 জন সদস্য এবং 75 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Nafis Hasan

    220 পয়েন্ট

  2. Farhan Anjum

    140 পয়েন্ট

  3. sobujalam

    110 পয়েন্ট

  4. Saif Sakib

    110 পয়েন্ট

  5. Tasfima Jannat

    110 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...