ক্লাউড সিডিং এর মূল মন্ত্র হলো – ঝড়ো মেঘের মধ্যে কৃত্রিম নিউক্লিয়াস প্রবেশ করানো৷ এর ফলে মেঘ ঐ নিউক্লিয়াসের সঙ্গে ঘনীভূত হয়ে ছোট ছোট বরফে পরিণত হয়, যেটাকে বলা হয় ‘সিলভার আয়োডায়িড পার্টিকেল'৷ কেবল রুশ সেনাবাহিনী নয়, জার্মানির ওয়াইন প্রস্তুতকারী চাষীরাও এই পদ্ধতি ব্যবহার করেন আঙুর ক্ষেতে ক্ষতি এড়ানোর জন্য৷ তবে এক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকরী হলো বিমানের মাধ্যমে পুরো এলাকায় নিউক্লিয়াস সলিউশন স্প্রে করা৷ ঝড়ো মেঘের উপরে বা মধ্যে বিমানটি প্রবেশ করিয়ে এই স্প্রে করা হয়, কণাগুলো এত ছোট হয় যে মাটিতে পড়ার আগে বৃষ্টির কণায় রূপ নেয়৷
এই পদ্ধতিতে পরিবেশের কোনো ক্ষতি হয় না৷ কেননা যে পরিমাণ সিলভার আয়োডায়িড বৃষ্টির পানির সঙ্গে মাটিতে দ্রবীভূত হয়, তাতে রাসায়নিক ক্ষতিকর পদার্থের পরিমাণ এতই সামান্য, যে তাতে পরিবেশের কোনো ক্ষতি হয় না৷