প্রথমে আমরা সঠিকভাবে জেনে নেই.... আলো কি?
পদার্থবিজ্ঞানে আলো হলো এক প্রকার শক্তি এবং তড়িৎ চুম্বকীয় বিকিরণ, যাহোক বেশি গভীরে যাচ্ছি না, এই তড়িৎ চুম্বকীয় বিকিরণের অন্তর্ভুক্ত যে বিকিরণ আমাদের দৃষ্টিগোচর হয় বা সাধারণভাবে বলতে গেলে দৃশ্যমান; তাকে আমরা আলো বলে থাকি।
কোন পদার্থের পরমাণুর ইলেকট্রন কোন কারণে উত্তেজিত হলে তা পরমাণুর নিম্ন শক্তি স্তর থেকে উচ্চ শক্তিস্তরে চলে আসে এবং কিছুক্ষণ পরে আবার তার পূর্বের নিম্ন শক্তিস্তরে ফিরে যায়। এই উত্তেজিত ইলেকট্রন যখন উচ্চ শক্তিস্তর থেকে তার পূর্বের নিম্ন শক্তিস্তরে ফিরে যায় ঠিক তখনই সে তড়িৎ চুম্বকীয় বিকিরণ আকারে ফোটনের নিঃসরণ ঘটায়। আবার… কোন 'ধনাত্মক আয়ন'(যে পরমাণুতে ইলেকট্রনের ঘাটতি রয়েছে) যদি বাইরে থেকে কোন ইলেকট্রন গ্রহণ করে নিজে তড়িৎ নিরপেক্ষ হয় সেক্ষেত্রেও তড়িৎ চুম্বকীয় বিকিরণ আকারে ফোটনের নিঃসরণ ঘটে। এই ফোটন হল তড়িৎ চুম্বকীয় তরঙ্গ। এর দ্বৈত রূপ রয়েছে, কণা ও তরঙ্গ। বিভিন্ন তরঙ্গ দৈর্ঘ্যের বিকিরণ স্বরূপ এই ফোটনের নিঃসরণ ঘটে।
এই বিকিরিত ফোটনের তরঙ্গদৈর্ঘ্য যদি ০.৪ - ০.৭ মাইক্রোমিটার(μm) হয়... তাহলে তাকে দৃশ্যমান আলোক বলা হয়ে থাকে এবং তা মানুষের দৃষ্টিগোচর(সাধারণভাবে বলতে গেলে) হয়।
যাহোক, আলো উৎপন্ন করতে গেলে পদার্থের ইলেকট্রনকে উত্তেজিত করার জন্য বাইরে থেকে শক্তির যোগান দেওয়া প্রয়োজন, যেমন তাপ, চাপ ঘর্ষণ অথবা অন্য কোনভাবে বলপ্রয়োগ করে ইত্যাদি ইত্যাদির মাধ্যমে। সূর্যের মধ্যে যে ফিউশন বিক্রিয়া ঘটে সেখানে আলো উৎপন্ন হয় না; গামা রশ্মি উৎপন্ন হয়, সূর্য থেকে আলো উৎপন্নের প্রক্রিয়া তার পরবর্তীতে ঘটে থাকে।
collected