পদার্থের জাড্য ধর্ম বা জড়তা হল নিউটনীয় বলবিদ্যা বা চিরায়ত বলবিদ্যার মতে পদার্থের একটি ধর্ম । তো এটা নিয়ে আলোচরা শুরু করা যাক । পদার্থের এই জাড্য ধর্ম বা জড়তা নিউটনের প্রথম সুত্রের মাধ্যমে ধারণ লাভ করতে পারি ।
১৬৮৭ সালে সম্পাদিত এবং লাতিন ভাষায় প্রকাশিত বই Philosophiæ Naturalis Principia Mathematica -এ নিউটনের প্রথম ও দ্বিতীয় গতিসূত্র।
নিউটনের প্রথম সূত্রঃ বাইরে থেকে কোন বল প্রয়োগ না করলে স্থির বস্তু স্থির এবং গতিশীল বস্তু সুষম গতিতে সরল পথে চলতে থাকে ।
নিউটনের প্রথম সূত্রের থেকে আমরা দেখতে পাই, স্থির বস্তুর স্বাভাবিক ধর্ম স্থির থাকা এবং সচল অর্থাৎ গতিশীল বস্তুর স্বাভাবিক ধর্ম তার গতি বজায় রাখা । স্থির বস্তু নিজে থেকে চলতে পারেনা এবং গতিশীল বস্তু নিজে থেকে থামতে পারেনা । উভয়ক্ষেত্রেই বস্তু নিজে থেকে তার অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে অক্ষম । পদার্থের এই অক্ষমতাকে বলা হয় জড়তা বা জাড্য। এই কারণে নিউটনের প্রথম সূত্রকে জড়তা-এর সূত্র (Law of Inertia) বলা হয় । পদার্থের জড়তা ভরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত – যে পদার্থের ভর যত বেশী, তার জড়তা তত বেশী । জড়তা বা জাড্য সংজ্ঞাস্বরূপ বলা হয় – পদার্থের যে ধর্মের জন্য কোনো স্থির বস্তু বা গতিশীল বস্তু যে অবস্থায় আছে সে সেই অবস্থায় বজায় রাখার চেষ্টা করে, সেই ধর্মকে পদার্থের জাড্য ধর্ম বা জড়তা বলে ।
পদার্থের জাড্যধর্ম দুই প্রকার – (১) স্থিতি জড়তা বা স্থিতিজাড্য ও (২) গতি জড়তা বা গতিজাড্য।
স্থিতি জড়তা – স্থির বস্তুর চিরকাল স্থির থাকার প্রবণতাকে স্থিতিজড়তা বলে।
উদাহরণঃ একটি গাড়ি হঠাৎ চলতে শুরু করলে সীটে বসা যাত্রী পিছন দিকে হেলে পড়ে। গাড়ি যখন স্থির ছিল তখন যাত্রীও স্থির ছিল। গাড়ি চলতে শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে তার দেহের নীচের অংশ গাড়ির সংলগ্ন বলে গতিশীল হয়, উপরের অংশ তখনও স্থির অবস্থায় থাকতে চেষ্টা করে। ফলে যাত্রী পিছন দিকে হেলে পড়ে।
গতি জড়তা– গতিশীল বস্তুর সমগতিতে সরলরেখা বরাবর গতিশীল অবস্থা বজায় রাখার প্রবণতাকে গতি জড়তা বলে।
উদাহরণঃ চলন্ত গাড়ি হঠাৎ থামলে গাড়ির যাত্রী সামনের দিকে ঝুঁকে পড়ে বা হুমড়ি খেয়ে পড়ে যায়। গাড়ি যখন চলমান ছিল তখন যাত্রীর সমগ্র দেহই গতিশীল
পদার্থের জড়তা বা জাড্য : প্রথম সূত্রের আলোচনা থেকে আমরা দেখতে পাই, স্থির বস্তুর স্বাভাবিক ধর্ম স্থির থাকা এবং সচল অর্থাৎ গতিশীল বস্তুর স্বাভাবিক ধর্ম তার গতি তার গতি বজায় রাখা। স্থির বস্তুর নিজে থেকে চলতে পারেনা এবং গতিশীল বস্তু নিজে থেকে থামতে পারেনা। উভয়ক্ষেত্রেই বস্তু নিজে থেকে তার অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে অক্ষম। পদার্থের এই অক্ষমতাকে বলা হয় জড়তা বা জাড্য। এই কারণে নিউটনের প্রথম সূত্রকে জড়তা-এর সূত্র (Law of Inertia) বলা হয়। পদার্থের জড়তা ভরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত – যে পদার্থের ভর যত বেশী, তার জাড়তা তত বেশী। জড়তা বা জাড্য সংজ্ঞাস্বরূপ বলা হয় – পদার্থের যে ধর্মের জন্য কোনো স্থির বস্তু বা গতিশীল বস্তু যে অবস্থায় আছে সে সেই অবস্থায় বজায় রাখার চেষ্টা করে, সেই ধর্মকে পদার্থের জাড্য ধর্ম বা জড়তা বলে।
collected