পৃথিবীতে একেক রকম এলাকায় একেক রকম ভাষা হওয়ার পেছনে মূল কারন বলা যায় বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষদের ভৌগোলিক অবস্থানগত বৈচিত্র্য।
ধারনা করা হয়ে থাকে যে প্রাচীনকালে হোমিনিডস অর্থাৎ মানব পূর্বপুরুষ সর্বপ্রথম কাঁদতে শুরু করেছিল এবং তার ফলেই আস্তে আস্তে মানুষ কথা বলতে শুরু করে। তবে ভাষাগত যে তারতম্য অঞ্চলভেদে লক্ষ করা যায় তার পিছনে আমরা ভৌগোলিক অবস্থানকেই মূলত দায়ী করতে পারি।
পৃথিবীতে শুরুর দিকে জনসংখ্যা ছিলো কম এবং তারা পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিলো । একেক অঞ্চলের মানুষ একেক ধরনের ধ্বনি , শব্দ, আকার, ইঙ্গিত চিহ্ন ব্যবহার করে তাদের মনের ভাব অপরের কাছে প্রকাশ করতো ।
কিন্তু আস্তে আস্তে প্রাচীন মানুষ যখন জ্ঞান অর্জন করা শুরু করলো নিজেদের ভৌগোলিক সীমানা ছাড়িয়ে অন্যান্য দূরবর্তী স্থানে যাতায়াত শুরু করল তখন তারা অন্য ভাষাভাষী মানুষের সংস্পর্শে আসলো এবং বুঝতে পারলো যে একেক এলাকার লোকেদের মাঝে একেক ভাষা প্রচলিত।
তবে বর্তমান পৃথিবীতে আমরা যেসকল ভাষা দেখতে পাই সেগুলো সৃষ্টির শুরুতে হুবহু এমন ছিল না। বর্তমানে মানুষ ব্যবহার করছে এমন সব ভাষাকেই কালের বিবর্তনের মধ্য দিয়ে গিয়ে
আজকের এই অবস্থানে এসে পৌছেছে। যেমন বর্তমান বাংলা ভাষার প্রাচীন উৎস হলো ইন্দো ইউরোপিয়ান ভাষা। এই ইন্দো ইউরোপিয়ান ভাষা ইন্দো ইরানিয়ান , ইন্দো আরিয়ান , পূর্বাঞ্চলীয় এবং সর্বশেষে আসাম হয়ে বর্তমান বাংলা ভাষায় রূপ নিয়েছে।
আর স্বাভাবিকভাবেই বুঝা যায় যে যেহেতু পৃথিবীর আলাদা আলাদা অঞ্চলে বিভিন্ন এলাকার লোকজন ছড়িয়ে ছিল তাই তাদের ভাষা অলৌকিকভাবেও একই রকম হওয়া সম্ভব না এবং এই কারনেই পৃথিবীর বিভিন্ন এলাকার মানুষ বিভিন্ন ভাষায় কথা বলে থাকে।