শিয়ালদের বিয়ের সময় রোদ ওঠে আর বৃষ্টি পড়ে। এই নিয়ে আকিরা কুরোসওয়ার বিখ্যাত শর্ট ফিল্ম অছে। কিন্তু কেন শিয়ালদের বিয়েতে রোদে রোদে বৃষ্টি হয়? এর ইতিহাস নাকি অনেক পুরোনো। নানা পুঁথি ঘেঁটে যা জানা গিয়েছে তা হল এই। বহু বছর আগের কথা। তখন নাকি মানুষ পশু পাখির মতো গাছেরাও হেঁটে চলে বেড়াত।
যাই হোক ঘটনাটা বলা যাক। দুপুর বেলা। বেশ রোদ। কেউ কোথাও নেই। একা একা একটা আঙুর গাছ ছাতা মাথায় দি্য়ে হেলে দুলে পথ দিয়ে হেঁটে হেঁটে টিফিন করতে যাচ্ছিল। যেতে যেতে গুন গুন করে গানও গাইছিল গাছটা। এমন সময় রাস্তার ধারের ঝোপ থেকে একটা শিয়াল বেরিয়ে রাস্তা পার হতে গিয়ে আঙুর গাছকে দেখেই সাঁ করে ফের ঝোপের ভিতরে ঢুকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করল। কিন্তু পারল না। আঙুর গাছটা শিয়ালটাকে দেখেই গাছের ডাল দিয়ে পা জড়িয়ে কাছে টেনে নিয়ে খপ করে ঘাড় চেপে ধরল। আর শিয়ালটা ধরা পড়ে, ছেড়ে দাও ছেড়ে দাও, আমি নয়, আমি নয়, ওটা অন্য শিয়াল বলে চেঁচাতে লাগল। কিন্তু কে শোনে কার কথা। চোখ কট মট করে গাছটা শিয়ালকে চুপ, একটাও কথা নয় বলে এক ধমক লাগাল। চিরকাল আঙুর ফল টক বলে বলে আমার নাম খারাপ করে দিয়েছিস তুই। সেই কবে থেকে মানুষ আমাদের ফল তুলে কথা শোনায়! বহু দিন ধরে তোকে খুঁজছি। আজ তোকে দেখে নেব আমি! ধমক খেয়ে শিয়ালটা কেমন আমতা আমতা করে বলল, আজ নয়, আজ নয়, আজ আমাকে কিছু বোলো না। আজ আমার বিয়ে। এখন আমি টোপোর কিনতে যাচ্ছি। এই শুনে আঙুর গাছটা মুচকি হেসে বলল, যা ভাগ! তবে আমিও অভিশাপ দিলাম, এখন থেকে চিরকাল তোদের বিয়েতে রোদের মধ্যেই বৃষ্টি হবে। সেই থেকে লোকে বলে এসেছে, রোদে রোদে বৃষ্টি হয়, খ্যাঁক শিয়ালের বিয়ে হয়।