মমিকরণ কী এবং কীভাবে করা হতো? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+4 টি ভোট
487 বার দেখা হয়েছে
"মিথোলজি" বিভাগে করেছেন (141,850 পয়েন্ট)

1 উত্তর

+1 টি ভোট
করেছেন (141,850 পয়েন্ট)
নির্বাচিত করেছেন
 
সর্বোত্তম উত্তর

হলিউডের বিখ্যাত বিখ্যাত চলচ্চিত্র সিরিজের মূল বিষয়বস্তু "মমি"। প্রাচীন মিশরের নাম শুনলেই মানুষের চোখের সামনে ভেসে উঠে মমি ও পিরামিড। কি এই মমি? কিভাবে মমিকরণ করা হয়? চলুন আলোচনা করা যাক।

মৃতদেহকে বিশেষ প্রক্রিয়ায় সংরক্ষণ করাকে Mummification বা মমিকরণ বলে। মমিকরণ করার জন্য প্রথমে মৃতদেহকে ইবু নামক স্থানে নিয়ে বিশুদ্ধিকরণ করা হতো। বিশুদ্ধিকরণ এর প্রথমে মৃতদেহকে তাড়ি (তালের রস দিয়ে তৈরি মদ) দিয়ে ধুয়ে নীল নদের পানি দিয়ে দেহকে ভালোভাবে পরিষ্কার করা হতো। তারপর মৃতদেহকে পার-নেফার নামক মমিকরণ কক্ষে নিয়ে কাঠের টেবিলে রাখা হতো। তারপর পচনের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য মৃতদেহের ভিতরের সব অঙ্গ প্রতঙ্গ অপসারণ করা হতো।

প্রথমে মৃতদেহের নাকের ভিতর সুচালো কিছু মাথার খুলি পর্যন্ত ঢুকিয়ে লোহার হুকের সাহায্যে নাকের ভিতর দিয়ে মগজ বের করা হতো। যদিও মগজ সংরক্ষণ করা হতোনা, কারণ তাদের ধারণা ছিলো মগজ পরকালে কোন কাজের নয়। তারপর মৃতদেহের বাম পাশের অংশ অবসিডিয়ান পাথরে তৈরি ব্লেড দিয়ে কেটে  ফুসফুস, যকৃত, পাকস্থলী, অন্ত্র বের করে ফেলা হতো। এইসব অঙ্গ ভালোমতো ধুয়ে তারা রজন নামক আঠার প্রলেপ লাগিয়ে পাটের কাপড়ে পেঁচিয়ে তা ক্যানোপিক জার এ সংরক্ষণ করতো। কয়েকটি ক্যানোপিক জার ও তাতে সংরক্ষিত অঙ্গ : Imsety (যকৃত), Hapy (ফুসফুস), Duametef (পাকস্থলী), Qebehsenuef (অন্ত্র)।

মৃতদেহকে তারপর আবারো তাড়ি দিয়ে ধুয়ে ফেলা হতো। অঙ্গ প্রতঙ্গ অপসারণ এর ফলে সৃষ্ট ফাঁকা স্থানগুলোতে ধুপ ও অন্যান্য পদার্থ দিয়ে ভরাট করা হতো। এরপর পুরো দেহটিকে ন্যাট্রন নামক এক ধরনের লবণে ঢেকে ৩৫-৪০ দিন রাখা হতো। এই ন্যাট্রন চামড়া নষ্ট না করেই মৃতদেহ থেকে জলীয় পদার্থ শোষণ করে নিতো। ৪০ দিন পর মৃতদেহ ওয়াবেট নামক বিশুদ্ধিকরণ গৃহে নেওয়া হতো। তারপর দেহের ভিতর থেকে ধুপ ও অন্যান্য পদার্থ বের করে ফাঁকা স্থানে রজনে সিক্ত কাপড়, ন্যাট্রন ও অন্যান্য পদার্থ দিয়ে পূর্ণ করা হতো। তারপর কাটা স্থানগুলো সেলাই করে সম্পূর্ণ দেহে রজনের প্রলেপ দেওয়া হতো।

মৃতদেহকে প্রায় দুই সপ্তাহ সময় নিয়ে রজনের আঠা ও পাটের কাপড় দিয়ে ব্যান্ডেজ করা হতো। মমিকরণে জড়িত লোকজন ব্যান্ডেজ করার সময় মন্ত্র উচ্চারণ করতো। ব্যান্ডেজ শেষে হাত-পা একসাথে বেধে হাতের মাঝে ‘বুক অফ ডেড’ থেকে সংগৃহীত প্যাপিরাসে লেখা মন্ত্র আটকে দেওয়া হতো। তারপর শরীরের বিভিন্ন অংশ শক্ত খাঁচায় আবদ্ধ করা হতো এবং মাথায় একটি মুখোশ পড়িয়ে দেওয়া হতো। এরপর খাঁচায় আবদ্ধ দেহ কফিনে রাখা হতো এবং কফিনে মৃত ব্যক্তির পরকালে ব্যবহারের জন্য নানা খাদ্যদ্রব্য, মূল্যবান গয়না ইত্যাদি দিয়ে দেওয়া হতো।

©সায়েন্স বী

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+5 টি ভোট
1 উত্তর 163 বার দেখা হয়েছে
31 জানুয়ারি 2021 "বিবিধ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Hojayfa Ahmed (135,480 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
1 উত্তর 402 বার দেখা হয়েছে
+9 টি ভোট
1 উত্তর 238 বার দেখা হয়েছে
+2 টি ভোট
1 উত্তর 791 বার দেখা হয়েছে

10,776 টি প্রশ্ন

18,469 টি উত্তর

4,743 টি মন্তব্য

282,739 জন সদস্য

89 জন অনলাইনে রয়েছে
3 জন সদস্য এবং 86 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. StanBfx5191

    100 পয়েন্ট

  2. GradyKisch6

    100 পয়েন্ট

  3. sunwinreisen

    100 পয়েন্ট

  4. j88aapp

    100 পয়েন্ট

  5. gemwinactor

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...