চিকিৎসকদের মতে, ত্বক কতটা পুরু তার উপর নির্ভর করে শিরা দেখা যাবে কি না। বয়সের সঙ্গে ত্বকের নীচের ফ্যাটের স্তর পাতলা হতে শুরু করে। ঠিক এই কারণে বয়স্কদের হাতে বা পায়ে বাইরে থেকে অনেক বেশি শিরা দেখা যায়।
কিছু মানুষের আবার ত্বক ছোট থেকেই খুব পাতলা কিংবা তাঁদের শিরার বিন্যাস ত্বকের একেবারে উপরের দিকেই থাকে। যার জন্য তাঁদেরও শিরা বাইরে থেকে দেখা যায়।
খুব কসরতের পরও এমন দেখা যায়। খুব বেশি কসরত করলে পেশী খুব সক্রিয় হয়ে যায় এবং ফুলে ওঠে। ফুলে উঠলে শিরাগুলোকে ত্বকের আরও কাছে ঠেলে দেয়। তাই লক্ষ্য করবেন জিম করার সময় শিরা অনেক বেশি দেখা যায়।
অন্তঃসত্ত্বা মহিলারাও অনেক সময় এরকম লক্ষ্য করে থাকেন। কারণ, যে সব মহিলা অন্তঃসত্ত্বা হন, অন্যদের তুলনায় তাঁদের দেহে রক্তের পরিমাণ অনেক বেশি হয়। বেশি পরিমাণ রক্ত সরবরাহ করার জন্য শিরাগুলো ফুলে যায়। ফলে চোখেও পড়ে।
যাঁদের শরীরে মেদের পরিমাণ খুব কম অর্থাৎ যাঁরা রোগা হয়, তাঁদেরও ত্বক পাতলা হয়ে থাকে। ফলে বাইরে থেকে শিরাগুলো খুব স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
এখনও পর্যন্ত যেগুলো বলা হয়, সেগুলোর কোনওটাই চিন্তার বিষয় নয়। তা বলে সবক্ষেত্রে ফুলে ওঠা শিরাকে হালকা ভাবে নেবেন না। এটা মারাত্মক কোনও বিপদের সঙ্কেতও। কী রকম?
বাইরে থেকে স্পষ্ট দেখতে পাওয়া শিরার সঙ্গে যদি বুকে ব্যথা, শ্বাস নিতে কষ্ট, শিরার পাশে ঘা বা শিরা ফুলে ওঠা & এগুলোর কোনও লক্ষণ দেখেন তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। শিরা সংক্রান্ত নানারকম অসুখের লক্ষণ এগুলো।
Shaikh Bayzid