ধারণা করা হচ্ছে, থিয়া একটি ছোট গ্রহ পৃথিবীর অবস্থানে থাকা আরেকটি গ্রহের সাথে সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষ এতটাই ব্যাপক ছিল যে দুটো মিশ্রিত হয়ে যায় এবং দুটি সম-আয়তনের গ্রহতে পরিণত হয় এবং আবারো সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। তারপর, আলাদা হয়ে একটি বড় গ্রহ পৃথিবী এবং এর চারপাশে ডিস্ক তৈরি হয় যা পরবর্তীতে চাঁদে পরিণত হয়। এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল প্রায় ৪৫০ কোটি বছর আগে। এবং পৃথিবীর অবস্থানে থাকা গ্রহটির বয়স তখন ছিল ১০ কোটি বছর। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, ৪৫ ডিগ্রি কোণায় থিয়া পৃথিবীর অবস্থানে থাকা গ্রহটিকে আঘাত করেছিল। এ জন্যই পৃথিবীতে থাকা ক্যামিক্যালের সাহিত চাঁদের ক্যামিক্যলের মিল পাওয়া গিয়েছে। বিজ্ঞানীরা আপেলো ১২, ১৫ এবং ১৭ মিশন দিয়ে চাঁদ থেকে আনা ৭টি পাথর পরীক্ষা করে দেখেন। অন্যদিকে, পৃথিবীর অগ্নিগিরিতে পাওয়া পাথর নিয়ে একই পরীক্ষা চালানো হয়। এজন্য পৃথিবীতে পাওয়া অক্সিজেনকে বেচে নেওয়া হয়। O-16 অক্সিজেনের ব্যাপক ভাবে পাওয়া পরমাণু যা মোট অক্সিজেনের ৯৯%, অন্যদিকে ভারী অক্সিজেনের পরিমাণ খুব কম। ভারী অক্সিজেন হল, 0-17 যেখানে একটি নিউট্রন কণা বেশী থাকে এবং O-18 যেখানে দুইটি নিউট্রন কণা বেশী থাকে, উল্লেখ্য যে O-16 এ ৮টি প্রটোন এবং ৮টি নিউট্রন থাকে। বিজ্ঞানীরা আগে ধারণা করতেন, পৃথিবীর অক্সিজেনের মত অনুপাত চাঁদের অক্সিজেনের আইসোপটোপের অনুপাত এক নয়। এর ভিত্তিতে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, চাঁদ অন্য একটি গ্রহের বাকি অংশ। কিন্তু নতুন পরীক্ষায় এইটাই প্রমাণিত হয় যে, চাঁদ এবং পৃথিবীর অক্সিজেনের আইসোপ্টোপের অনুপাত প্রায় একই রকম।
source: quora