***"দুটি ব্লাকহোলের সংঘর্ষ হলে যা ঘটবে"***
যখন দুটি ব্লাকহোল এতটা কাছাকাছি চলে আসে যে তারা আর নিজেদের মধ্যাকর্ষন বল এড়াতে পারে না তখন তারা নিজেদের মধ্যকার ভরকেন্দ্রকে প্রদক্ষিন করতে থাকে।একসময় প্রদক্ষিন করতে করতে তারা মিলেমিশে একাকার হয়ে আরও বড় ব্লাকহোলে পরিনত হয়(ধারনা করা হয় সুপার ম্যাসিভ ব্লাকহোল এভাবেই তৈরি)। এই ঘটনা এতটাই ধ্বংসাত্বক যে শক্তিশালী কম্পিউটারেও এ ঘটনা পুরোপুরি বিশ্লেশন করা সম্ভব না।এরকম একটি ঘটনা বিপুল পরিমানে শক্তি সৃষ্টি করে যে মহাবিশ্বের স্থান কাল ফেব্রিক্সের মধ্যে মোচর তৈরি করে ফলে সংঘর্সস্থল থেকে তরঙ্গ প্রেরিত হয় যাকে মহাকর্ষীয় তরঙ্গ(gravitational wave)বলে।এই তরঙ্গ শনাক্ত করা হয়েছে 130 মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে। সূর্য হতে যথাক্রমে 29গুন ও 36গুন ভরের ব্লাকহোল পরস্পরের সাথে মেশার সময় তরঙ্গ সৃষ্টি করেছিল।
২০১৫ সালের লিগো এর দুইটি ল্যাবে প্রায় যুগপৎভাবে একই সিগনাল ধরা পড়ে। সেখান থেকে জানা যায় ১৩০ মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরের ২৯ ও ৩৫ সৌরভরের ও প্রায় ১০০ কিমি ব্যাসের দুইটি ব্লাকহোল মিলিত হয়ে ৬২ সৌরভরের একটি বৃহৎ ব্লাকহোল তৈরি করে। সেটি ৩ সৌরভরের সমান শক্তি বিকিরণ করে যা আমরা একটি খুবই স্পর্শকাতর যন্ত্রাংশের মাধ্যমে শুনতে পারি। কিন্তু এই তরঙ্গ মানুষের শোনার মত নয়, কাজেই অত্যন্ত স্পর্শকাতর যন্ত্রাংশে এটি ডিটেক্ট করা হয়।
যখন দুটি ব্লাকহোল মিলিত হয় তখন ২০ মিলিসেকেন্ড ব্যাপী সময়ে স্থানকালে অত্যন্ত শক্তিশালী সংঘর্ষ ঘটে ও দুনিয়ার সকল তারার যত শক্তি তার ৫০ গুণ শক্তি তৈরি হয়। কিন্তু সময়কাল খুবই কম ছিল বলে মাত্র ৩ সৌরভরের সমপরিমাণ শক্তি বিকিরিত হয়।
এই দুটি ব্লাকহোল মিলিত হয়েছিল আমাদের ছায়াপথের গ্রেট ম্যাজেলানিক ক্লাউডের কোন স্থানে ।
( বিদেশি ফিচারের সাহায্য নেওয়া হয়েছে )