ব্ল্যাকহোলের ভিতর থেকে যদি কোন কিছুই বের হতে না পারে, তবে এর ভিতরে যে সকল বস্তু বা পদার্থ প্রবেশ করে ঐ সব বস্তু বা পদার্থগুলো কোথায় যায়? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

0 টি ভোট
490 বার দেখা হয়েছে
"জ্যোতির্বিজ্ঞান" বিভাগে করেছেন (560 পয়েন্ট)

1 উত্তর

+2 টি ভোট
করেছেন (33,350 পয়েন্ট)
প্রথমেই বলে রাখি ব্ল্যাক হোলের ভিতর থেকেও কণা বের হয়ে আসা সম্ভব!

অবাক হলেন তাইনা? আচ্ছা একটু ধৈর্য ধরুণ।
এটা বোঝার জন্য শূন্যস্থান কী এবং শূন্যস্থান বলতে আদৌ কিছু কি আছে? সেটা একটু ব্যাখ্যা করে নেই।

সাধারণভাবে যেখানে কিছু নেই সেই জায়গাকে আমরা শূন্যস্থান বলি। অর্থাৎ খালি কোনো জায়গাকে শূন্যস্থান(vacuum) বলি। তবে এই শূন্যস্থান আসলে শূন্যস্থান নয়।
কোয়ান্টাম মেকানিক্স অনুযায়ী মাঝে মাঝে এখানে কণার জন্ম হতে পারে।
1- আইনস্টাইনের E=mc^2 হতে বলা যায়, ভরকে যেমন শক্তিতে তেমনি শক্তিকে ভরে রুপান্তর করা যায়।

2-হাইজেনবার্গের অনিশ্চয়তা সূত্রানুসারে,

অবস্থানের অনিশ্চয়তা যদি ∆x এবং ভরবেগের অনিশ্চয়তা যদি ∆ p হয় তাহলে ∆x ছোট হলে ∆p বড় আবার ∆p বড় হলে ∆x ছোট হয়।

3-তবে এই সূত্রটির আরেকটি রূপ হচ্ছে, শক্তি (E) এবং সময়(t)হলে,

∆t যদি খুব ছোট হয় ∆E হবে অনেক বড়।
অর্থাৎ অতি ক্ষুদ্র সময় বিবেচনা করলে শক্তির অনিশ্চয়তা অনেক বড়। যার অর্থ: এই শক্তি এই সময়ের মধ্যে যা ইচ্ছে তাই হয়ে যেতে পারে।

ঠিক তেমনই বাস্তবে শূন্যস্থানে হঠাৎ করে খানিকটা শক্তি চলে আসতে পারে যার স্থায়িত্ব খুবই অল্প। আমরা একটু আগে পড়ে আসলাম কম সময়ে শক্তির অনিশ্চয়তা অনেক বড়। তাই এখানে অনেক বেশি শক্তি সৃষ্টি হবে। আর এই শক্তি থেকে একটি পদার্থ(particle) আরেকটি প্রতি পদার্থ(anti-particle) কণাও তৈরি হতে পারে।আবার ∆t শেষ হওয়ার আগেই সেই কণা দুটি শক্তিতে পরিণত হয়ে যাবে। আসলে সময়টা এতো ক্ষুদ্র যে বোঝার উপায় নেই এখানে কোনো কণার জন্ম হয়েছিলো। যা কিনা আবার শক্তিতেও পরিণত হয়েছে। তাই এই কণাগুলোর নাম দেওয়া হয়েছে, ভার্চুয়াল কণা।

অবশেষে আমরা বলতে পারলাম শূন্যস্থান আসলে শূন্য নয়, সেখানে অসংখ্য ভার্চুয়াল কণা বিদ্যমান।

এবার আসি স্টিফান হকিংয়ের কাছে, তিনি এই ভার্চুয়াল কণা আর ব্ল্যাক হোলের সাথে একটা যোগসূত্র তৈরি করেছেন।
তিনি বলেন, এই ভার্চুয়াল কণা দুটি যখন ইভেন্ট হরাইজনের খুব কাছাকাছি উৎপন্ন হয় তখন একটি সম্ভাবনা থাকে যে তাদের একটি কণা ব্ল্যাক হোলের ভিতরে ঢুকে যাবে অন্যটি একা হয়ে যাবে। আহা বেচারা তার সঙ্গীকে হারিয়ে ফেললো। এখন সেকি আর ভার্চুয়াল থাকতে পারে? হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন সেটি তখন হয়ে যায় সত্যিকারের কণা। তখন এটি ব্ল্যাক হোলের অকর্ষণ থেকে মুক্ত হয়ে বাইরে বের হয়ে যায়। তখন মনে হবে কণাটি যেনো ব্ল্যাক হোল থেকে বের হয়ে এসেছে।

সবসময় বলা হয়ে থাকে ব্ল্যাক হোলে সবকিছু ঢুকে যায়।কিন্তু এই বিশেষ ক্ষেত্রে দেখা যায় সেখান থেকে একটি কণা বের হয়ে আসছে। আর এভাবে কণা বের আসার প্রক্রিয়াকে (হকিংয়ের নামানুসারে) হকিং রেডিয়েশন বলে।

এতক্ষণ তো বললাম ব্ল্যাক হোল থেকেও কণা বের আসা পসিবল। কিন্তু ব্ল্যাক যেগুলো নিজের ভিতরে নিয়ে নিচ্ছে সেগুলো আসলে কোথায় যায়?

যখন কোনো পদার্থ একটি ব্ল্যাক হোলের ইভেন্ট হরাইজনের মধ্যে পড়ে বা তার কাছাকাছি আসে, তখন এটি স্থান-কাল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সেখান থেকে আর ফিরে আসতে পারে না। তখন সেটি ধীরে ধীরে অদৃশ্য হয়ে যাবে। ব্ল্যাক হোলের ভিতরে সেই পদার্থটি তার ক্ষুদ্রতম উপ-পরমাণু উপাদানগুলিতে বিচ্ছিন্ন হয়ে ক্ষুদ্র হতে আরো ক্ষুদ্রতর হয়ে যাবে এবং শেষ পর্যন্ত সিঙ্গুলারিটিতে চলে যাবে। সিঙ্গুলারিটিতে যত বেশি পদার্থ জমা হয়, ব্ল্যাক হোলের ইভেন্ট হরাইজন আনুপাতিক হারে বৃদ্ধি পায়।

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+1 টি ভোট
1 উত্তর 200 বার দেখা হয়েছে
+3 টি ভোট
2 টি উত্তর 302 বার দেখা হয়েছে

10,853 টি প্রশ্ন

18,551 টি উত্তর

4,746 টি মন্তব্য

851,689 জন সদস্য

23 জন অনলাইনে রয়েছে
0 জন সদস্য এবং 23 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. RashedSarwar

    140 পয়েন্ট

  2. Sadia Akter Soa

    120 পয়েন্ট

  3. sicavienchien

    120 পয়েন্ট

  4. clubmy

    120 পয়েন্ট

  5. v9bet1dev

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ পৃথিবী এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল #science ক্ষতি চুল কী চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত মহাকাশ বৈজ্ঞানিক #biology পার্থক্য এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান গরম খাওয়া #জানতে শীতকাল ডিম বৃষ্টি চাঁদ কেন কারণ কাজ বিদ্যুৎ রং রাত শক্তি উপকারিতা সাপ লাল মনোবিজ্ঞান আগুন গাছ খাবার সাদা মস্তিষ্ক আবিষ্কার শব্দ দুধ উপায় হাত মাছ মশা ঠাণ্ডা ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন কালো উদ্ভিদ পা মন কি বিস্তারিত রঙ পাখি গ্যাস সমস্যা বাচ্চা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাংলাদেশ সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি কান্না দাঁত বিড়াল আম
...