ট্যারা চোখকে চিকিৎসাবিজ্ঞানে বলে স্কুইন্ট বা স্ট্রাবিসমাস। এতে একটি চোখ সামনে কোনো কিছুর দিকে ফোকাস করার সময় অন্য চোখটি সেদিকে না তাকিয়ে বরং ওপর-নিচে বা ডানে-বাঁয়ে যেকোনো দিকে ফোকাস করে। সাধারণত ট্যারা চোখ শিশুবয়সেই দেখা যায়। পরিসংখ্যান বলে, প্রতি ৫০০ শিশুর মধ্যে একজন ট্যারা। স্কুলে যাওয়ার আগেই, বলতে গেলে তিন বছর বয়সের আগে মা-বাবার কাছে ধরা পড়ে যে তার শিশুর চোখ দুটো একই সময়ে একই দিকে তাকায় না। শিশুটি তখন ভালো দেখার সুবিধার্থে আক্রান্ত চোখ দিয়ে দেখা বন্ধ করে দেয়। চিকিৎসা না হলে ওই চোখটি ধীরে ধীরে দৃষ্টি হারাতে পারে।
কেন হয় ট্যারা
ট্যারা চোখ আসলে চোখের সমস্যা নয়, বরং চোখের অন্তর্গত পেশির সমস্যা। আমাদের চোখ এদিক-ওদিক নাড়াচাড়ার জন্য আমরা কিছু সূক্ষ্ম পেশি ব্যবহার করি। কোনো এক দিকে তাকানোর সময় এই পেশিগুলোর একযোগে সম্মিলিতভাবে কাজ করার কথা। কোনো কারণে এদের মধ্যে ভারসাম্য নষ্ট হয়ে গেলে দুই চোখ দুই দিকে তাকাতে শুরু করে। কোনো কোনো শিশু জন্মগতভাবে ট্যারা—একে বলে কনজেনিটাল স্কুইন্ট। ছয় মাস বয়সের মধ্যেই তা দৃশ্যমান হয়। অনেকের ট্যারা চোখ আবার বংশগত। আবার দৃষ্টিশক্তির সমস্যায়, যেমন হ্রস্বদৃষ্টি বা দীর্ঘদৃষ্টিতে আক্রান্ত শিশুরা কোনো কিছুতে ফোকাস করতে গিয়ে ধীরে ধীরে ট্যারা হতে থাকে। জন্মগতভাবে সমস্যাযুক্ত শিশু, যেমন: ডাউনস সিনড্রোম, সিরিব্রাল পালসি বা মস্তিষ্কের টিউমার, চোখের টিউমার ইত্যাদি রোগেরও একটা উপসর্গ হতে পারে ট্যারা চোখ।
সূত্র: এনএইচএস, প্যাশেন্ট কো ইউকে|