Deepfake প্রযুক্তি কিভাবে কাজ করে? কোনটা রিয়েল কোনটা ফেইক বুঝার উপায় কি? - ScienceBee প্রশ্নোত্তর

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রশ্নোত্তর দুনিয়ায় আপনাকে স্বাগতম! প্রশ্ন-উত্তর দিয়ে জিতে নিন পুরস্কার, বিস্তারিত এখানে দেখুন।

+11 টি ভোট
813 বার দেখা হয়েছে
"প্রযুক্তি" বিভাগে করেছেন (65,620 পয়েন্ট)

2 উত্তর

+3 টি ভোট
করেছেন (110,330 পয়েন্ট)
Ayesha Akhter-
ডিপফেক টেকনোলজি : মিথ্যাকে সত্য বানিয়ে দেওয়া এক অভিশপ্ত প্রযুক্তি❗

এই প্রযুক্তি আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স এর মাধ্যমে ছবি থেকে চেহারা হুবুহু নকল করতে সক্ষম। দুর্ভাগ্যজনভাবে এই প্রযুক্তি এখন খারাপ লোকদের হাতে। Deep Fake Technology  দিয়ে এখনো পর্যন্ত যতগুলো কাজ হয়েছে তার ৯৬% ই পর্ণোগ্রাফি। আপনার একটি ছবি ব্যবহার করে তারা কোন নগ্ন মানুষের মুখের সাথে একেবারে নিখুঁত  ভাবে প্রতিস্থাপন করতে পারবে। এটি এখনো পর্যন্ত ১ লক্ষের অধিক মেয়ের জীবন ধ্বংস করেছে। তাই যারা এখনো নিজের ছবি ফেসবুক-ইন্সাগ্রাম এ দিয়ে রেখেছেন তারা দ্রুত ছবিগুলো সড়িয়ে নিন কোন ক্ষতি হয়ে যাওয়ার আগে। যারা এ ব্যাপারে জানেনা তাদের জানিয়ে দিন।

একটি দৃশ্য কল্পনা করুন। অন্যান্য দিনগুলোর মতোই স্বাভাবিকভাবে আপনার দিন কাটছিল। হঠাৎ কাছের একজন মানুষ ইন্টারনেটে আপনাকে একটি ভিডিও পাঠায়। ভিডিওটি চালু করার পর আপনি রীতিমতো আকাশ থেকে পড়লেন। এটি একটি অশ্লীল ভিডিও এবং ভিডিওর মানুষটি আপনি নিজেই। আপনার কাছে এটা একেবারে স্পষ্ট যে, এমন কোনো ভিডিওতেই আপনি নেই। কিন্তু ভিডিওর মানুষটি দেখতে অবিকল আপনার মতো। চোখ, নাক, হাসি, গলার স্বর হুবহু এক। এখন মানুষ কি আপনার কথা বিশ্বাস করতে চাইবে? আপনার আপনজনেরাই বা কীভাবে এর ব্যাখা করবে? খুব দ্রুত এই আপত্তিকর ভিডিও চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ছে। পরিবার ও সমাজে আপনি মুখ দেখাতে পারছেন না। অথচ এখানে আপনার কোনো দোষই নেই।

ফটোশপ ও  অন্যান্য কিছু সফটওয়্যার আসার পর থেকে ইচ্ছামতো ও নিখুঁতভাবে নকল ছবি তৈরি করা যায়। তবে নকল ভিডিও বানানো অতটা সহজ ছিল না। ছবিতে একজনের মাথা কেটে অন্য জায়গায় বসানো যতটা সহজ, ভিডিওর ক্ষেত্রে তা ততটা সহজ নয়। কারণ মানুষের গলার আওয়াজ, অভিব্যক্তি, তাকানোর ধরন ইত্যাদি হুবহু নকল করা যেত না। এটি অসম্ভব ছিল একটি নতুন প্রযুক্তি আসার আগ পর্যন্ত।

নকল ভিডিও বানানোর এই প্রযুক্তির নাম ডিপফেক বা ডিপফেক টেকনোলজি। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে যেকোনো মানুষের হুবহু নকল ভিডিও বানানো সম্ভব। মেশিন লার্নিংয়ের প্রয়োগ ঘটানোর মাধ্যমে দিন দিন এই অভিশপ্ত প্রযুক্তিটি আরো নিখুঁতভাবে নকল ভিডিও তৈরি করতে সক্ষম হচ্ছে।

ডিপফেক আসলে কীভাবে কাজ করে❓

ডিপফেক বলতে নকল ভিডিও বা অডিওকে বোঝায়। আপাতদৃষ্টিতে তা দেখতে আসল মনে হলেও তা মোটেই আসল নয়। ডিপফেক নামটির মাঝেই এর সংজ্ঞা নিহিত রয়েছে। ডিপ মানে গভীর এবং ফেক মানে নকল। অর্থাৎ ডিপফেক বলতে এমন কিছুকে বোঝায় যা খুবই গভীরভাবে নকল করা হয়েছে। মেশিন লার্নিং হলো ডিপফেক ভিডিও বানানোর প্রধান অস্ত্র। মেশিন লার্নিংয়ের একটি কৌশলের নাম "জেনারেল অ্যাডভারসেরিয়াল নেটওয়ার্ক" (GAN)। এর মাধ্যমে প্রথমে একজন ব্যক্তির বিভিন্ন অভিব্যক্তির হাজারখানেক ছবি সংগ্রহ করা হয়। এরপর সেই ছবিগুলো মেশিন লার্নিংয়ের মাধ্যমে প্রক্রিয়া করে তার মুখের সব ধরনের অভিব্যক্তির একটি সিমুলেশন তৈরি করা যায়। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উত্তরোত্তর উন্নতির ফলে ব্যক্তির গলার আওয়াজও হুবুহু নকল করা সম্ভব। এসব ভিডিও ও অডিও নানাভাবে প্রক্রিয়া করে এমন একটি নকল ভিডিও তৈরি করা হয় যা খালি চোখে শনাক্ত করা অনেক কঠিন।

আমাদের দৃষ্টিসীমার পর্যায়কাল ০.১ সেকেন্ড। অর্থাৎ ১০০ মিলি সেকেন্ডের কম সময়ে ঘটে যাওয়া কোনো দৃশ্য আমাদের চোখে বাঁধবে না। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি করা ভিডিওগুলোতে নানা ধরনের রূপান্তর ঘটে এর থেকেও কম সময়ে। তাই খালি চোখের পক্ষে আসল-নকলের যাচাই করা সম্ভব হয় না।

ডিপফেক কতটা বিপজ্জনক❓

আধুনিক যুগ ইন্টারনেটের যুগ। আরো স্পষ্ট করে বলতে গেলে সোশ্যাল মিডিয়ার যুগ। একটা খবর সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে যত দ্রুত মানুষের কাছে পৌঁছায়, অন্য কোনো মাধ্যম দ্বারা তা সম্ভব না। তাই বিভ্রান্তি ছড়ানোর জন্য এটি একটি উৎকৃষ্ট জায়গা। কোনো রকম সত্যতা যাচাই করা ছাড়াই খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। গুজব সংবাদ দ্রুত মানুষের মুখে মুখে পৌঁছে যায়। মানুষের চিন্তাধারাকে নিয়ন্ত্রণ করার এর থেকে সহজ পন্থা আর নেই। আর এখানেই ডিপফেক টেকনোলজির জয়জয়কার।

এভাবে সামাজিক, রাজনৈতিক সকল ক্ষেত্রে এটি ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করতে পারে। একটি সুখী দম্পতির মধ্যকার ভালোবাসা ও বিশ্বাস নিমেষে ভেঙে চুরমার করে দিতে পারে এই প্রযুক্তি। সৃষ্টি করতে পারে রাজনৈতিক অরাজকতা। কোনটি আসল আর কোনটি নকল তা নিয়ে এক বিশাল দ্বন্দ্ব দেখা দিবে মানুষের মনে। আর আপত্তিকর ভিডিও ছড়ানোর আশঙ্কা তো রয়েছেই। অন্তত পোস্ট টি একটি শেয়ার করে প্রিয়জন দের সতর্ক করুন। সম্ভব হলে মেনশন করবেন। আরেকটি কথা মনে রাখবেন সময় শেষ হওয়ার পরে যেনো নিজেকেই নিজে না বলতে হয় "ভাবিয়া করিনি কাজ করিয়া ভাবছি" তখন আর কিছুই করার থাকবেনা!
[সংগ্রহীত]
0 টি ভোট
করেছেন (135,480 পয়েন্ট)

সম্পর্কিত প্রশ্নগুচ্ছ

+2 টি ভোট
2 টি উত্তর 497 বার দেখা হয়েছে
+2 টি ভোট
1 উত্তর 1,015 বার দেখা হয়েছে
28 ফেব্রুয়ারি 2021 "লাইফ" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন মেহেদী হাসান (141,850 পয়েন্ট)
0 টি ভোট
3 টি উত্তর 343 বার দেখা হয়েছে
20 সেপ্টেম্বর 2023 "প্রযুক্তি" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Dark stone (170 পয়েন্ট)
+10 টি ভোট
6 টি উত্তর 3,305 বার দেখা হয়েছে
10 নভেম্বর 2020 "প্রযুক্তি" বিভাগে জিজ্ঞাসা করেছেন Nirjon Barua (7,990 পয়েন্ট)

10,775 টি প্রশ্ন

18,456 টি উত্তর

4,742 টি মন্তব্য

265,725 জন সদস্য

167 জন অনলাইনে রয়েছে
1 জন সদস্য এবং 166 জন গেস্ট অনলাইনে
  1. Farhan Anjum

    140 পয়েন্ট

  2. Saif Sakib

    110 পয়েন্ট

  3. Tasfima Jannat

    110 পয়েন্ট

  4. go88vfunn

    100 পয়েন্ট

  5. ok9tube

    100 পয়েন্ট

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্মুক্ত বিজ্ঞান প্রশ্নোত্তর সাইট সায়েন্স বী QnA তে আপনাকে স্বাগতম। এখানে যে কেউ প্রশ্ন, উত্তর দিতে পারে। উত্তর গ্রহণের ক্ষেত্রে অবশ্যই একাধিক সোর্স যাচাই করে নিবেন। অনেকগুলো, প্রায় ২০০+ এর উপর অনুত্তরিত প্রশ্ন থাকায় নতুন প্রশ্ন না করার এবং অনুত্তরিত প্রশ্ন গুলোর উত্তর দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। প্রতিটি উত্তরের জন্য ৪০ পয়েন্ট, যে সবচেয়ে বেশি উত্তর দিবে সে ২০০ পয়েন্ট বোনাস পাবে।


Science-bee-qna

সর্বাপেক্ষা জনপ্রিয় ট্যাগসমূহ

মানুষ পানি ঘুম পদার্থ - জীববিজ্ঞান চোখ এইচএসসি-উদ্ভিদবিজ্ঞান এইচএসসি-প্রাণীবিজ্ঞান পৃথিবী রোগ রাসায়নিক শরীর #ask রক্ত আলো মোবাইল ক্ষতি চুল কী #science চিকিৎসা পদার্থবিজ্ঞান সূর্য প্রযুক্তি স্বাস্থ্য মাথা প্রাণী গণিত বৈজ্ঞানিক মহাকাশ পার্থক্য #biology এইচএসসি-আইসিটি বিজ্ঞান খাওয়া গরম শীতকাল #জানতে কেন ডিম চাঁদ বৃষ্টি কারণ কাজ বিদ্যুৎ রাত রং উপকারিতা শক্তি লাল আগুন সাপ মনোবিজ্ঞান গাছ খাবার সাদা আবিষ্কার দুধ উপায় হাত মশা শব্দ মাছ ঠাণ্ডা মস্তিষ্ক ব্যাথা ভয় বাতাস স্বপ্ন তাপমাত্রা গ্রহ রসায়ন উদ্ভিদ কালো পা কি বিস্তারিত রঙ মন পাখি গ্যাস সমস্যা মেয়ে বৈশিষ্ট্য হলুদ বাচ্চা সময় ব্যথা মৃত্যু চার্জ অক্সিজেন ভাইরাস আকাশ গতি দাঁত কান্না আম হরমোন বাংলাদেশ
...